ভাই প্রথমে আপনাকে বলি যে খাটি মধু যদি জমে যায় তাহলে সেটি হবে মিশ্রিদানার মত অর্থাৎ চিনি দানার মত হবে আর এরকম হলেও তার গুনাগুন কিন্তু কমে যায় না বরং তা বৃদ্ধি পায়।
আপনার
-
ক্রয় কৃত মধুর ধরন কেমন ছিলো বা জমে কেমন হয়েছে তা জানান নি।
-
আপনি নির্দিষ্ট কোন ফুলের মধু কিনেছেন কিনা তা জানান নি।
-
আপনি মৌচাকের মধু কিনেছেন কিনা তা বললেন না।
তবে আপনাকে মৌচাক মধুর সম্পর্কে বলছি যতটুকু অবিজ্ঞাতা আছে।
মৌচাকের মধু যখন মৌচাকে থাকে তখন তেমন কিন্তু জমে থাকে না আর তা মৌচাকে দির্ঘদিন /দির্ঘমাস থাকলে তা হালকা জমে থাকার মত থাকে তবে সম্পূর্ন জমে না,কিন্তু যখন মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করা হয় তখন ২/৩ মাসের মধ্যেই ঐ মধু লাল হয়ে যায় । সেটা হচ্ছে মধু যখন জমে যায় তখন ওইটা দেখতে একদম চিনির মতো দেখা যায়। চিনি যেমন জমে গেলে যে কালার হয় সে রকম দেখতে লাগে, মধু জমে গেল ওই রকমই দেখা যায় চিনির মতো সাদা সাদা। এজন্যই সাধারণ’ মধু ক্রেতাগণ স্বাভাবিকভাবে ধরে নেন যে এটা চিনি মিশ্রিত ভেজাল মধু। এজন্যই জমে গেছে।প্রতিটি মধুর একটা নির্দিষ্ট সময় আছে। ওই সময়ের মধ্যে মধু যদি না জমে তবে সম্ভাবনা আছে যে ওই মধুতে ভেজাল আছে।তবে শরিষা ফুলের মধু তারাতারি জমে যায়।
আপনি যদি ৩ দিন আগে মৌচাকের তরল মধু কিনে আনেন আর সেটা ৩ দিন পরেই জমে যায় বা যদি সেটা ফ্রিজে রাখার কারনে জমে গেছে তাহলে সেটা ভেজাল ।