মুতআ বিবাহঃ সাময়িক সময়ের জন্য চুক্তিভিত্তিক বিবাহ যা ইসলামে নিষিদ্ধ বা হারাম সেই নিষিদ্ধ বিষয়টিকে কিছু শীয়া সম্প্রদায় হালাল ঘোষণা করে। অবশ্য মুতআ বিবাহ ইসলামের প্রাথমিক পর্যায়ে বৈধ ছিল।
তারা বলে একজন ব্যক্তি পরিপূর্ণ মুমিন হতে পারবেনা যতক্ষন না সে অবিভাবক ও সাক্ষী ব্যতিত মুতা বিবাহ করে। এমনকি তারা বলে, একজন মুমিন নারীর সাথে মুতআ বিবাহ করা সত্তর বার কাবা যিয়ারতের থেকেও উত্তম। (মিসবাহুত তাহাজ্জুদঃ পৃষ্টা ২৫২)।
শীয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচলিত মুতআ তথা কেবল যৌনক্ষুধা নিবারণের লক্ষ্যে কয়েক দিন বা কয়েক ঘণ্টার জন্য সাময়িকভাবে চুক্তিবিবাহ হয়ে থাকে।
কিন্তু কুরআন হাদিসের দলিল থেকে প্রমাণিত হয় যে, শীয়া সম্প্রদায়ের প্রচলিত মুতআ বিবাহ বাতিল।
কারণ, এতে মহিলাকে সব সময়ের জন্য বিবাহ বন্ধনে রাখা উদ্দেশ্য হয় না, বরং প্রচলিত নিয়মানুযায়ী এই বিবাহ কেবল নির্দিষ্ট সময়ের জন্য হয়।
বিঃ দ্রষ্টব্যঃ সুরা নিসার ২৪ নাম্বার আয়াতের 'ইস্তিমতা' শব্দ থেকে শীয়া সম্প্রদায় মুতআ বিবাহের বৈধতা সাব্যস্ত করে। অথচ এর অর্থ হল, বিবাহের পর সহবাসের মাধ্যমে যৌনসুখ উপভোগ করা; যেমন এ কথা পূর্বেও বলা হয়েছে। অবশ্য মুতআ বিবাহ ইসলামের প্রাথমিক পর্যায়ে বৈধ ছিল, কিন্তু তার বৈধতা সুরা নিসা ২৪ নাম্বার আয়াতের ভিত্তিতে ছিল না, বরং সেই প্রথা অনুযায়ী ছিল, যা ইসলামের পূর্বে থেকেই চলে আসছিল।
অতঃপর নবী করীম (সাঃ) একেবারে পরিষ্কার ভাষায় কিয়ামত পর্যন্ত তা হারাম ঘোষণা করে দিলেন।