যে শিশুর এখনো মাসিক শুরু হয়নি তার সাথে বিবাহ বৈধ হবে।
ইসলামে বিবাহ সম্পাদনের বিষয়টি মেয়েদের ক্ষেত্রে মাসিক শুরুর সাথে সম্পর্কিত নয়। এছাড়াও ইসলামের মেয়েদের বিবাহের কোন বয়সসীমা নির্দিষ্ট করে দেয়নি। নাবালেগের বিবাহও শুদ্ধ হয়ে যায়। (আলবাহরুর রায়েকঃ ৩/২০৬)।
কম বয়সী মেয়ের সাথে বিবাহ জায়েয ও বৈধ হবার ব্যপারটি পবিত্র কুরআনের নিম্নক্ত আয়াত দ্বারা প্রমাণিতঃ
وَاللَّائِي يَئِسْنَ مِنَ الْمَحِيضِ مِن نِّسَائِكُمْ إِنِ ارْتَبْتُمْ فَعِدَّتُهُنَّ ثَلَاثَةُ أَشْهُرٍ وَاللَّائِي لَمْ يَحِضْنَ
“আর তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যারা ‘হায়েয’ হতে বিরাশ হয়ে গেছে, তোমাদের যদি সন্দেহ সৃষ্টি হয়, তাহলে তাদের ইদ্দতকাল হল তিন মাস। আর এই ইদ্দতকাল ওইসকল মেয়েদের জন্যেও, যাদের ‘এখনও’ হায়েয আসেনি। (সূরা তালাকঃ ৪)।
এই আয়াতে প্রাপ্তবয়ষ্কা নারীদের পাশাপাশি ওইসকল মেয়েদের ‘ইদ্দত’ সম্পর্কে বর্ণনা দেয়া হয়েছে, যাদের এখনও পর্যন্ত হায়েয আসেনি। বলাবাহুল্য, ইদ্দতের প্রশ্নই তো আসে তখন, যেক্ষেত্রে প্রথমে বিয়ে, রুখসতী এবং তালাক সংঘটিত হয়ে যায়। এ থেকে বোঝা গেল, কুরআন কারিমের দৃষ্টিতে নাবালেগা হবার আগেও বিয়ে সম্পাদিত হতে পারে এবং শরীয়তের দৃষ্টিতে তা গ্রহনযোগ্য।
তবে প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পর বিবাহ করা উচিত। আর শিশুটির অনিচ্ছায় বা ফুঁসলিয়ে যৌনমিলন করা ঠিক হবে না। কেননা বিবাহিত জীবন যাপনের বিষয়টি অবশ্যই একজন পুরুষ ও নারী উভয়ের জন্যই শারীরিক ও মানসিকভাবে উপযুক্ত হবার সাথে সম্পৃক্ত। এজন্য তার শারীরিক ও মানসিকভাবে উপযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।