আমি একটি মেয়েকে ভালবাসি এবং বিয়ে করতে চাই । আগে জানতাম না যে সে আমার বাবার খালাত বোন জামাইয়ের আপন চাচাত বোন । এখন কি তার সাথে আমার বিবাহ জায়েজ?? আর কীভাবে আমি দুই পরিবারকে রাজি করাতে পারব??
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

জি , জায়েজ। কীভাবে রাজি করাবেন সেটা নির্ভর করবে আপনার এবং আপনার পরিবারের উপর। প্রথমত দুই পরিবারের মধ্যে কোন দ্বন্দ না থাকলে ভাল হয় এবং আপনি যদি প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকেন তাহলে পরিবারকে আপনাদের ব্যাপারটা খুলে বলুন। যদি রাজি না হয় তাহলে কিছুদিন সময় নিন আবার ভাল করে বুঝিয়ে বলুন লেগেই থাকুন। আশা করি কাজ হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
সময়

Call

ইসলাম ধর্মে কেবল ১৪ জন মহিলা কে বিবাহ করা হারাম যাদের মধ্যে খালাতো, চাচাতো, ফুফাতো বা মামাতো বোন অন্তর্ভুক্ত নয়। আপনি বিশদভাবে বুঝতে সুরা নিসা পড়ে নিতে পারেন।

আপনার সুবিধার্থে নীচে আলোচনা করা হলো:

কুরআনের আলোকে যাদের সঙ্গে বিবাহ হারাম তারা হলেন:

আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন- তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতা, তোমাদের কন্যা, তোমাদের বোন, তোমাদের ফুফু, তোমাদের খালা, ভ্রাতৃকন্যা, ভগিনীকন্যা, তোমাদের সে মাতা যারা তোমাদেরকে স্তন্যপান করিয়েছে, তোমাদের দুধ-বোন, তোমাদের স্ত্রীদের মাতা, তোমরা যাদের সঙ্গে সহবাস করেছ, সে স্ত্রীদের কন্যা যারা তোমাদের লালন-পালনে আছে। যদি তাদের সঙ্গে সহবাস না করে থাক, তবে এ বিবাহে তোমাদের কোন গোনাহ নেই, তোমাদের ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রী এবং দুই বোনকে একত্রে বিবাহ করা; কিন্তু যা অতীত হয়ে গেছে। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাকরী, দয়ালু। এবং অন্যের বৈধ স্ত্রীকে বিবাহ করা হারাম।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

যেহেতু আপনার ফুফার চাচাতো বোন সেহেতু সেও আপনার ফুফু বা ভাতিজি হয়।আর ফুফু বা ভাতিজিকে বিয়া করা নাজায়েজ।তাই আপনি তাকে বিবাহ করতে পারবেন না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

হ্যা,অবশ্যয় জায়েজ আছে।



ইসলামী শরিয়তের শর্ত মোতাবেক ১৪শ্রেণীর নারীদের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া অবৈধ!

ওই ১৪ শ্রেণির নারী যথাক্রমে(১) মা। (২) আপন দাদি, নানি ও তাদের ঊর্ধ্বতন নারীরা। (৩) সহোদর, বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় বোন। (৪) আপন মেয়ে, ছেলের মেয়ে, মেয়ের মেয়ে ও তাদের গর্ভজাত যেকোনো কন্যাসন্তান ও আপন ছেলেসন্তানদের স্ত্রী। (৫) যে স্ত্রীর সঙ্গে দৈহিক মিলন সংঘটিত হয়েছে, তার পূর্ববর্তী বা পরবর্তী স্বামীর কন্যাসন্তান এবং স্ত্রীর মাঅর্থাৎ শাশুড়ি, নানি শাশুড়ি ও দাদি শাশুড়ি। (৬) ফুফুঅর্থাৎ পিতার সহোদর, বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় বোন। (৭) খালাঅর্থাৎ মায়ের সহোদর, বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় বোন। (৮) ভাতিজিঅর্থাৎ সহোদর, বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় ভাইয়ের মেয়ে ও তাদের অধস্তন কন্যাসন্তান। (৯) ভাগ্নিঅর্থাৎ সহোদর, বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় বোনের মেয়ে ও তাদের অধস্তন কন্যাসন্তান। (১০) দুধসম্পর্কীয় মেয়ে, মেয়ের মেয়ে, ছেলের মেয়ে ও তাদের অধস্তন কোনো কন্যাসন্তান এবং দুধসম্পর্কীয় ছেলের স্ত্রী। (১১) দুধসম্পর্কীয় মা, খালা, ফুফু, নানি, দাদি ও তাদের ঊর্ধ্বতন মহিলারা। (১২) দুধসম্পর্কীয় বোন, দুধবোনের মেয়ে, দুধভাইয়ের মেয়ে এবং তাদের গর্ভজাত যেকোনো কন্যাসন্তান। (১৩) যৌনশক্তিহীন এমন বৃদ্ধা, যার প্রতি পুরুষের কোনো প্রকার আকর্ষণ নেই। (১৪) অপ্রাপ্তবয়স্ক এমন বালিকা, যার প্রতি পুরুষের এখনো যৌন আকর্ষণ সৃষ্টি হয়নি। উল্লেখ্য, ১৩ ও ১৪ নম্বরে বর্ণিত মেয়েদের সঙ্গে বিবাহ জায়েজ আছে। উপরোক্ত নারীরা ছাড়া পুরুষের জন্য অন্য কোনো মহিলার সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ জায়েজ নয়। (সুরা নিসা : ২৩, তাফসিরে মাজহারি : ২/২৫৪)

কিভাবে উভয় পরিবারকে রাজি করাবেন?

উত্তরটা আসলে একেক পরিবারের ক্ষেত্রে একেকরকম! আপনার পরিবারে আপনার বা তার মতামত কতটা গুরুত্ববহ তার উপরও অনেকাংশে নির্ভর করে।আপনি একজনকে ভালবাসেন এবং তাকে বিয়েও করতে চান এবং যাকে ইসলামের দৃষ্টিতে বৈধ বলা হচ্ছে, এক্ষেত্রে রাজি না হওয়ার কোনো কারণ নেই।

আশা করি উত্তরটা পেয়েছেন।

ধন্যবাদ।



ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ