আপনাদের দুজনের বয়সই অনেক কম। এই বয়সে আবেগের বশে অনেকেই ভুল করে। তাই এখনই কোন সিদ্ধান্ত না নিয়ে অপেক্ষা করুন। বোঝার চেষ্টা করুন এটি ভাল লাগা নাকি ভালবাসা। এসকল ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময় পরিবার মেনে নেয়না। পরিবার মেনে না নেয়ার পরও যদি সম্পর্ক এগিয়ে নেন সারাজীবন একটা অস্বস্তিকর যন্ত্রণা ভোগ করতে হতে পারে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে কাজিনদের বিয়েতে নিরুৎসাহিত করা হয় । যাই করবেন ভবিষ্যতের মঙ্গলের কথা ভেবে করবেন। তবে সত্যিই যদি এমন ভালবাসা হয় যে তাকে ছাড়া সম্ভব না তাহলে সব যুক্তিই বৃথা।
আপনি যদি আগেই বুঝতে পারেন যে ব্যাপারটা জানাজানি হলে দুই পরিবারে মনোমালিন্য হবে তাহলে সম্পর্ক এগিয়ে না নেয়াই ভাল। কারন যদি দুই পরিবার মেনে না নেয় তাহলে আপনাদের দুই জনকে খুব কষ্ট পেতে হবে। আর আপনাকে প্রচুর মানুষিক চাপ পেতে হবে। তাছাড়া নিকট আত্মীয়ের সাথে প্রেম ভালবাসা করতে নেই এবং বিয়েও করতে নেই। নিকট আত্মীয়ের সাথে বিয়ে হলে তাদের ছেলে মেয়ে কম মেধা সম্পন্ন হয়, অনেক ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী হয়। তাই আমার মতে ব্যাপারটাকে শেষ করে দেওয়াই ভাল। বাকিটা আপনি নিজেই সিদ্ধান্ত নেন।
ভালবাসা একতরফা হয় না তাই দুজনকেই এগিয়ে আসতে হবে।আপনারা দুজন যদি পরস্পরকে ভালবেসে থাকেন তবে অবশ্যই সম্পর্কটাকে এগিয়ে নিয়ে যান।তবে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে বেকার জীবনে বিয়ে নয়।বেকার জীবনে বিয়ে করলে অনেক সমস্যায় জর্জরিত হবেন।তাই প্রেমকে টিকিয়ে রাখুন যে পর্যন্ত আপনি কর্মজীবনে যাচ্ছেন আর এটাই বাস্তবতা।বাকী টুকু আপনার উপর নির্ভর করছে।
আসলে সে ক্ষেত্রে আপনার উচিত যে, আপনাকে অপেক্ষা করা। কারন, আপনি ক্লাস মানে আইয়্যে ২য় পরেন। আর মেয়ে ক্লাস নাইনে পরে। সেহেতু অই মেয়ে আরও পরাসুনা করুক যেমন মেয়েটা ইন্টার বা এস এস সি পর্যন্ত পরা হোক তারপর আপনি ততক্ষন মেয়েটিকে আগে থেকেই বলে রাখতে পারেন যে তুমি এস এস সি পরিক্ষা দাও তারপর তোমাকে আমি প্রপোজ করব তা না হলে আমার বা তোমার সমস্যা হবে। কারন তুমি এখন ক্লাস নাইনে পড় তাই আমিও চাইনা যে তোমার এস এস সি পরীক্ষা খারাপ হোক। এইভাবে আপনি মেয়েটিকে বলতে পারেন।
আমি বললাম কারন আমার মনে হয় এইভাবে বললে হয়ত ওর আর আপনার দুজনার ই ভাল হবে।