বেশি করে পানি পান করুন ।
রাত নয়টার পর আপনার শরীরে
মেলাটোনিন হরমোন উৎপাদন
শুরু হয় এবং রাত 3 টা পর্যন্ত
তা চলতে থাকে । অতএব একটু
তারাতারি ঘুমানোর অভ্যাস করুন ।
বেশি রাত জাগলে মেলাটোনিন হরমোন
উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটে । যার ফলে
ঘুমের সমস্যা শুরু হয় ।
এছাড়া টেনসন মুক্ত থাকার চেষ্টা করুন ।
সুষম খাদ্য গ্রহন করুন । কমপক্ষে 6
ঘন্টা ঘুমানোর অভ্যাস করুন ।
মনে রাখবেন
Early to bed
Early to rise
Makes a man healthy
Wealthy and wise
ঘুম না হলে কি করবেন;- অনেককেই দেখা যায়, ঘুম হচ্ছে না বলে ঘুমের বড়ি খাচ্ছেন। এভাবে ঘুমের বড়ি খেতে খেতে এমন অবস্থা হয়েছে যে, ঘুমের বড়ি না খেলে একেবারেই ঘুম হয় না। কিন্তু পরে দেখা যায়, আগে আপনি ১টি করে বড়ি খেতেন তাতেই কাজ হতো কিন্তু পরে দেখা যাবে ২টি করে খেয়েও কাজ হচ্ছে না। কারণ আপনার শরীর এটি প্রুফ করে ফেলেছে। আর তাই ঘুম না হলে অন্য পদ্ধতি গ্রহণ করতে পারেন। ১. আপনি সন্ধ্যা থেকে কিছু পরিশ্রমের কাজ করুন। ২. কোন টেনশনে থাকবেন না। ৩. দুপুরে কোন অবস্থাতেই ঘুমাবেন না। ৪. রাতে গভীর রাত না করে সর্বোচ্চ ১১টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়ুন। ৫. টিভি-রেডিও বা কম্পিউটার জাতীয় যন্ত্র বর্জন করুন (অন্তত রাতে)। ৬. ঘরের অন্যদের সঙ্গে গল্প- গুজব না করে নিজের মতো ঘুমিয়ে পড়ুন। ৭. আলো নিভিয়ে দিন। ৮. গরমের দিন হলে রাতে শোবার আগে গোসল করে শুতে পারেন। এতে ঘুম আসবে। ৯. কোন অবস্থাতেই ঘুমের বড়ি না খাওয়ার চেষ্টা করবেন। ১০. রাতে শোবার আগে কিছু পরিমাণ জুস জাতীয় খাবার খেয়ে দেখতে পারেন। এভাবে আপনি আগের অভ্যাসের বিপরিতে কিছু করুন। আর সবচেয়ে বেশি কাজে দেবে যদি আপনি সন্ধ্যায় পরিশ্রমের কিছু কাজ করেন তাহলে। কারণ পরিশ্রম করলে মানুষ এমনিতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। ঘুম তখন তাকে অনায়াসে আক্রমণ করে। এই স্বাভাবিক নিয়মগুলো মেনে চললে আপনি ঘুম না হওয়ার যে সমস্যা রয়েছে তা থেকে নিষকৃতি পেতে পারেন। এরপরও যদি দেখেন রাতের পর রাত আপনার ঘুম হচ্ছে না তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।