Call

যেভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জামাতে ও জুমআর নামাজে মহিলাদের অংশ গ্রহণের অনুমতি দেয়া হয়েছে ঠিক সেভাবেই রাসুল (সাঃ) মেয়েদেরকে ঈদের জামাতে অংশ গ্রহণ করার হুকুম (নির্দেশ) দিয়েছেন। যেমন হাদিসে এসেছে- ‘উম্মে আতিয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন : আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আদেশ করেছেন আমরা যেন মহিলাদেরকে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহাতে সালাতের জন্য বের করে দেই ; পরিণত বয়স্কা, ঋতুবতী ও গৃহবাসিনী সহ সকলকেই। কিন্তু ঋতুবতী মেয়েরা (ঈদগাহে উপস্থিত হয়ে) সালাত আদায় থেকে বিরত থাকবে তবে কল্যাণ ও মুসলিমদের দোয়ায় অংশ নিবে। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল ! আমাদের মাঝে কারো কারো ওড়না নেই। (যা পরিধান করে আমরা ঈদের সালাতে যেতে পারি) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সে তার অন্য বোন থেকে ওড়না নিয়ে পরিধান করবে।’ (- মুসলিম) কিন্তু দু:খের বিষয় আজ অনেকে, বিশেষ করে আমাদের দেশে মেয়েদের ঈদের সালাতে অংশ নিতে নিরুৎসাহিত করেন, বাধা দেন। ঈদের নামাজ পড়া মেয়েদের জন্য ওয়াজিব। নারীদেরকেও ঈদের নামাজে শামিল হওয়া অবশ্য করণীয় ও বরকতময় আমল । রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যুগে মহিলারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে জামাআতে অংশগ্রহণ করতেন এবং ঈদের নামাজও পড়তেন । উম্মে আতিয়্যা রা. এর হাদীসে জানা যাচ্ছে আবাল, বৃদ্ধা, বণিতা সকলকেই নির্বিশেষে ঈদগাহে উপস্থিত হওয়ার আদেশ করা হয়েছিল। যেখানে ঋতুবতী নারীর উপর থেকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের দায়িত্ব রহিত করা হয়েছে, সেখানে তাকেও ঈদাগাহে উপস্থিত হয়ে মুসলমানদের কাতারে শামিল হওয়ার আদেশ করা হয়েছে। তাছাড়া পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ একাকীও আদায় করা সম্ভব। কিন্তু ঈদের নামাজ জামাআত ছাড়া আদায় করা সম্ভব না। সুতরাং নারীরা এত বড় কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হওয়া কোন মতেই উচিৎ হবে না। সংগৃহীত : বেশতো

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ