মোটেই যায়েজ নয় প্রমাণস্বরূপ:- আমাদের রসূল (সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সল্লাম) এর অন্তর ছিলো আমাদের চাইতেও পরিস্কার। এরপরও তিনি যে কোন বেগানা মহিলার সাথে মুসাফাহা করতে পর্যন্ত অস্বীকৃতি জানান। ► রসূল (সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সল্লাম) বলেছেনঃ কোন পুরুষ যেন বেগানা কোন মহিলার সাথে নির্জনে অবস্থান না করে। এমন করলে তখন শয়তানই হবে তাদের তৃতীয় জন। সুনান আত-তিরমিযী, হাদীস ১১৭১ ► রসূল (সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কারোর মাথায় লোহার সুই দিয়ে আঘাত করা তাঁর জন্য অনেক শ্রেয় বেগানা কোন মহিলাকে স্পর্শ করার চাইতে যা তাঁর জন্য হালাল নয়। সহীহ আল-জা'মি, হাদীস ৪৯২১ ► রসূল (সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সল্লাম) বলেছেনঃ নিশ্চয়ই আমি কোন বেগানা মহিলার সাথে মুসাফাহা করতে রাজি নই। সহীহ আল-জা'মি, হাদীস ৩৫০৯ ► রসূল (সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সল্লাম) বলেছেনঃ (১) চোখের যিনা হচ্ছে অবৈধভাবে কারোর দিকে দৃষ্টি ক্ষেপণ, (২) মুখের যিনা হচ্ছে অশ্লীল কথোপকথন, (৩) হাতও ব্যভিচার করে; তবে তার ব্যভিচার হচ্ছে অবৈধভাবে কাউকে হাত দিয়ে ধরা, (৪) পা’ও ব্যভিচার করে; তবে তার ব্যভিচার হচ্ছে কোন ব্যভিচার সংঘটনের জন্য রওয়ানা করা, (৫) মুখও ব্যভিচার করে; তবে তার ব্যভিচার হচ্ছে অবৈধভাবে কাউকে চুমু দেয়া, (৬) কানের ব্যভিচার হচ্ছে অশ্লীল কথা শ্রবণ করা, (৭) মনও ব্যভিচারের কামনা-বাসনা করে। আর তখনই লজ্জাস্থান তা বাস্তবায়িত করে অথবা করে না [অর্থাৎ নিয়ত পরিবর্তন করে]। সুনান আবু দাউদ, হাদীস ২১৫২ ► রসূল (সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি স্বামী অনুপস্থিত এমন কোন মহিলার বিছানায় বসে তার দৃষ্টান্ত সেই ব্যক্তির ন্যায় যাকে কিয়ামতের দিন কোন বিষাক্ত সাপ দংশন করে। সহীহ আত-তারগীব, হাদীস ২৪০৫ ► রসূল (সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সল্লাম) বলেছেনঃ রসূল (সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সল্লাম) কে যখন জিজ্ঞেস করা হলো কোন জিনিস সাধারণত মানুষকে বেশিরভাগ জাহান্নামের সম্মুখীন করে তখন তিনি বলেনঃ মুখ ও লজ্জাস্থান। আত-তিরমিযী, হাদীস ২০০৪

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ