Call

রাসূল (সা.) পাত্র-পাত্রী পছন্দের ক্ষেত্রে লক্ষণীয় বিষয়ের নির্দেশনা দিতে গিয়ে বলেন, ‘ চার বিষয় বিবেচনা করে কোনো মেয়েকে বিবাহ করা হয়। তা হলো- বংশ, সম্পদ, সৌন্দর্য ও দীনদারী। হে লোকসকল! তোমরা দীনদার মেয়েকে বিবাহ করবে। (মুসন্নাফে ইবনে আব্দির রাজ্জাক) কোনো বর্ণনায় এসেছে, ‘দীনদারীকে প্রাধান্য দিবে, অন্যথায় তোমার দুহাত ধ্বংস হোক।’


এক্ষেত্রে প্রথমে আপনার পছ্ন্দ। তারপর বাবা মায়ের।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
HMAbubakar

Call

বিয়ের ক্ষেত্রে ইসলামের দৃষ্টিতে পাত্র-পাত্রীর পছন্দ ই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। পিতা-মাতার উচিত ছেলে-মেয়ের পছন্দ কে যথাসম্ভব মেনে নেওয়া।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

মহানবী (সা) বিয়ের ক্ষেত্রে কন্যার (বিধবা/অবিবাহিতা) ব্যাক্তির সম্মতি নিতে আদেশ করেছেন। আবার অন্যদিকে মেয়েদের অভিবাবক(বাবা বেচে থাকলে অবশ্যই মেয়ের বাবা অভিবাবক বলে গন্য হবে) ছাড়া বিয়েকে বাতিল বলে ঘোষণা করেছেন। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

ইসলামের দৃষ্টিতে বিয়ের ক্ষেত্রে প্রথমত পাত্র-পাত্রীদের পছন্দ প্রাধান্য দেওয়া উচিত। তাই বলে হারাম পন্থায় প্রেম ভালবাসা পছন্দ নয়। এরপর বাবা-মার।

ইসলামী বিবাহ-বন্ধনের জন্য প্রথমতঃ শর্ত হল পাত্র-পাত্রীর সম্মতি। সুতরাং তারা যেখানে বিবাহ করতে সম্মত নয় সেখানে জোরপূর্বক বিবাহ দেওয়া তাদের অভিভাবকের জন্য বৈধ নয়।

প্রিয় নবী (সাঃ) বলেন, অকুমারীর পরামর্শ বা জবানী অনুমতি না নিয়ে এবং কুমারীর সম্মতি না নিয়ে তাদের বিবাহ দেওয়া যাবে না। আর কুমারীর সম্মতি হল মৌন থাকা।

 সুতরাং অকুমারীর জবানী অনুমতি এবং কুমারীর মৌনসম্মতি বিনা বিবাহ শুদ্ধ হয় না। এই অনুমতি নেবে কনের বাড়ির লোক।

বিয়ের ব্যাপারে কুমারী (বিকর) ও অকুমারীর (সায়্যিব) মহিলার অনুমতি নেয়ার রেফারেন্সঃ

আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রাপ্তবয়স্কা (সায়্যিব) নারীকে তার সুস্পষ্ট অনুমতি ব্যতীত বিয়ে দেয়া যাবে না। কুমারী মেয়েকে তার অনুমতি ব্যতীত বিয়ে দেয়া যাবে না। নীরবতাই তার অনুমতি। (সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত], অধ্যায়ঃ ৯/ বিবাহ।, হাদিস নম্বরঃ ১১০৭ সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৮৭১)।

 এ হাদীস অনুযায়ী আলিমগণ আমল করেছেন। তাদের মতে, প্রাপ্তবয়স্কা (সায়্যিব) নারীকে তার সুস্পষ্ট অনুমতি ব্যতীত বিয়ে দেয়া যাবে না। তার পিতা যদি তার প্রকাশ্য অনুমতি ব্যতীত তাকে বিয়ে দেয় এবং সে মেয়ে যদি এ বিয়ে পছন্দ না করে তাহলে সকল আলিমের মত অনুযায়ী তা বাতিল বলে গণ্য।

যদিও এ বিষয়ে আলিমদের মধ্যে মত পার্থক্য আছে। যদি প্রাপ্তবয়স্কা কুমারী মেয়েকে তার পিতা তার অনুমতি ব্যতীত বিয়ে দেয় এবং এ বিয়ে যদি সে অপছন্দ করে, তবে কুফার বেশিরভাগ আলিমের মতে বিয়ে বাতিল বলে গণ্য হবে।

মদীনার একদল আলিমের মতে, যদি পিতা তাকে বিয়ে দেয় এবং তা যদি সে পছন্দ না করে তবুও এ বিয়ে জায়িয হবে। এই মত দিয়েছেন ইমাম মালিক, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

পিতা মাতার অনুমতি নিতে হবে, আর পছন্দ যার বিয়ে তার

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ