শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

Call

রোজা কয় প্রকার ও কী কী ঃ- *********************** রোজা পাঁচ প্রকার। ১. ফরজ রোজা:  যা আবার চার প্রকার- ক) রমজান মাসের রোজা।  খ) কোন কারণ বশত রমজানের রোজা ভঙ্গ হয়ে গেলে তার কাযা আদায়ে রোজা।  গ) শরীয়তে স্বীকৃত কারণ ব্যতিত রমজানের রোজা ছেড়ে দিলে কাফ্ফারা হিসেবে ৬০টি রোজা রাখা।  ঘ) রোজার মান্নত করলে তাআদায় করা।  ২. ওয়াজিব রোজা:  নফল রোজা রেখে ভঙ্গ করলে পরবর্তীতে তা আদায় করা ওয়াজিব।  ৩. সুন্নত রোজা: মহরম মাসের নয় এবং দশ তারিখে রোজা রাখা।  ৪. মোস্তাহাব রোজা:  প্রতি চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪, এবং ১৫ তারিখে, প্রতি সাপ্তাহেরসোম ও বৃহস্পতিবারে, কোন কোন ইমামের মতে শাওয়াল মাসে পৃথক পৃথক প্রতি সপ্তাহে দুটো করে ছয়টি রোজা রাখা মোস্তাহাব। তবে ইমাম আবু হানিফা (রহ.)-এর মতে এক সাথে হোক কিংবা পৃথক পৃথক হোক শাওয়ালের ছয়টি রোজা মাকরূহ।(ফতোয়ায়ে আলমগিরী, প্রথম খণ্ড)। একদিন পর পর বারো মাস রোজা রাখাকেও অনেকে মোস্তাহাব বলেছেন। একদিন পরপর বারো মাস রোজা রাখতেন নবি হযরত দাউদ (আ.), তাই এই রোজাকে বলা হয় ‘ছাওমে দাউদ’। মোস্তাহাব হলো এই ইবাদতযা করলে পূণ্য এবং না করলে পাপ নেই। তবে মোস্তাহাব রোজার ফজিলত হযরত নবি করিম (সা.) কর্তৃক স্বীকৃত। ৫. নফল রোজা:  মোস্তাহাব আর নফল খুব কাছাকাছির ইবাদত। সহজ অর্থে নফল হলো যা ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত নয় এমন ইবাদত পূণ্যের নিয়তে করা। রোজার ক্ষেত্রেও তাই। তবে নফল রোজা রেখে ভঙ্গ করলে কাযা ওয়াজিব হয়ে যায়। এইপাঁচ প্রকারের নিয়ত করতে হবে পৃথক পৃথক। রমজান মাসেফরজ রোজা ছাড়া অন্য কোন নিয়ত করলে তা গ্রহণযোগ্য হয়না। কেউ যদি রমজান মাসে ওয়াজিব, নফল, মুস্তাহাবের নিয়ত করে তবু তা ফরজ হিসেবে আদায় হবে। রমজানের রোজার জন্য দুপুর পর্যন্ত নিয়ত করার বিধান থাকলেও বাকিগুলোতে সেহরীর সময়েই নিয়ত করে নিতে হয়। অবশ্য নফল রোজাও দিন ধার্য্য করে রোজার নিয়ত যদি দুপুরের মধ্যে করা হয় তবে নিয়তের শর্ত আদায় হয়ে যাবে। কিন্তু কাযা রোজা বা দিন ধার্য্য না করে মান্নত রোজার জন্য রাত থেকে নিয়ত করা জরুরী।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ