বছরে পাঁচদিন যে কোন ধরণের নফল রোজা রাখা সম্পূর্ণ হারাম। ঐ পাঁচদিন হল, দুই ঈদের দুই দিন এবং ঈদুল আজহার পরের তিন দিন। অর্থাৎ, ১১-ই, ১২-ই, ১৩-ই জিলহজ্ব। এই পাঁচ দিন যে কোন রোজা রাখা হারাম। ঈদের দুই দিনঃ রাসুল (সাঃ) দুই ঈদের দিন রোজা রাখতে নিষেধ করেছেন। কেননা কুরবানীর দিন তোমরা তোমাদের কুরবানীর গোশত খেয়ে থাকো। আর ঈদুল ফিতরের দিন হল তোমাদের রোজার সমাপ্তি। (সুনান আবু দাউদঃ ২৪১৬)। ঈদুল আজহার পর তিন দিনঃ রাসুল (সাঃ) তাশরীকের দিনগুলিতে রোজা রাখতে নিষেধ করেছেন। এগুলো পানাহারের দিন। (সুনান আবু দাউদঃ ২৪১৯)। এছাড়া শুধু শুক্রবারের দিনঃ নবী (সাঃ) বলেছেন, তোমাদের কেউ যেন কেবল শুক্রবারে রোজা না রাখে। কিন্তু তার সাথে আগে বা পরে রাখলে তা পারবে। (বুখারীঃ ১৯৮৫)। শুধু শনিবারের দিনঃ রাসুল (সাঃ) বলেছেন, ফরজ ছাড়া শুধু শনিবার রোজা রাখবে না। (সুনান আবু দাউদঃ ২৪২১)। সন্দেহের দিনঃ যখন চাঁদ দেখা যায়না এবং লোকেরা সন্দিহান হয়ে পড়ে যে,আজ রমজানের দিন নাকি শাবানের দিন এবং এমতাবস্থায় রোজা রাখা নিষেধ। (তিরমিযিঃ ৬৮৬)। ©