বিবাহ সম্পর্কে ইসলাম ধর্মে কি বলা হয়েছে? বিবাহ কি আল্লাহ পূর্ব নির্ধারণ করে দিয়েছেন? নাকি মানুষের কর্মের উপর নির্ভর করে খারাপ ছেলের সাথে খারাপ মেয়ের আর ভালো ছেলের সাথে ভালো মেয়ের বিয়ে হবে?  যেমন ধরেন, একটি মধ্যবিত্ত ছেলে একটি মধ্যভিত্ত মেয়ে বিয়ের আগে প্রেম করে তারা খারাপ কাজে একজন আরেকজনের সাথে লিপ্ত হয়। পরে মেয়েটির ফ্যামিলি থেকে অন্য একটি উচ্চভিত্ত পরিবারের ছেলের সাথে বিয়ে ঠিক করে। মেয়েটির ভবিষ্যত এর   জন্য উচ্চভিত্ত ছেলেটি বেষ্ট চয়েজ। এখন কি মেয়েটির বিয়ে উচ্চভিত্ত ছেলেটির সাথে হতে পারে নাকি মেয়েটির ভাগ্য যার সাথে লিখা আছে তার সাথেই হবে? খারাপ/ভালো কর্মের ফলে কি বিবাহ ভাগ্য পরিবর্তন হয়? মানে আল্লাহ কি মানুষের বিবাহ ভাগ্য নিজে পূর্ব নির্ধারণ করে দিয়েছেন? কারণ আমি শুনেছি --   জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে  এই ৩টা জিনিস নাকি আল্লাহর হাতে থাকে। (বিঃ দ্রঃ -- পুরো বিষয় টা ভালো ভাবে বুঝিয়ে বললে উপকৃত হবো। এটা আমার একজন বন্ধুর প্রশ্ন ছিল। যদিও ওরা খারাপ কাজটি করেছে তাও ওরা একজন আরেকজন খুব ভালোবাসে। ছেলে এখনো ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারেনি। ছেলেটা ওর প্রেমিকার ভবিষ্যত সুন্দর হোক এটাই চায়। আমার বন্ধু মনে করে উচ্চবিত্ত ছেলেটির সাথে ওর প্রেমিকার বিয়ে মেয়ের ভবিষ্যত সুন্দর হবে।)
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

বিবাহের বিষয় টি তাকদীরের ব্যাপার যা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। তাই বিয়ের আগে প্রেম করা বা ব্যাভিচার করা মারাত্মক কবিরা গুনাহ। এই গুনাহ খাস তওবা ছাড়া মাফ হওয়ার নয়। আল্লাহ বলেন :  আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি জোড়ায় জোড়ায়। (সূরা নাবা : ৮) তোমরা ব্যাভিচারের কাছেও যেও না, নিশ্চয়ই তা অতি মন্দ কর্ম। (সূরা বনী ইসরাঈল : ৩২) যে (সুন্দরী স্ত্রীর ব্যাপারে) আল্লাহর উপর ভরসা করবে আল্লাহই তার জন্য যথেষ্ট। (সূরা তালাক : ৩)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
  • ইসলাম ধর্মে বিবাহের মাধ্যমে নারী ও পুরুষের মধ্যকার যৌন সম্পর্কের অনুমতি রয়েছে। ইসলামী বিবাহরীতিতে পাত্র পাত্রী উভয়ের সম্মতি এবং বিবাহের সময় উভয়পক্ষের বৈধ অভিভাবক বা ওয়ালীর উপস্থিতি ও সম্মতির প্রয়োজন। ইসলামী বিবাহে যৌতুকের কোন স্থান নেই। বিয়ের পূর্বেই পাত্রের পক্ষ হতে পাত্রীকে পাত্রীর দাবি অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা বা অর্থসম্পদ বাধ্যতামূলক ও আবশ্যকভাবে দিতে হয়, একে দেনমোহর বলা হয়। এছাড়া বিয়ের পর তা পরিবার পরিজন ও পরিচিত ব্যক্তিবর্গকে জানিয়ে দেয়াও ইসলামী করনীয়সমূহের অন্তর্ভুক্ত।
  • ইসলামী বিধান অনুযায়ী, একজন পুরুষ সকল স্ত্রীকে সমান অধিকার প্রদানের তার চাহিদা অনুসারে সর্বোচ্চ ৪জন স্ত্রী রাখতে পারে। আর সমান অধিকার দিতে অপারগ হলে শুধুমাত্র একজন স্ত্রী রাখার অনুমতি পাবে। মেয়েদের ক্ষেত্রে নিজের স্বামী জীবিত থাকা অবস্থায় একাধিক বিয়ের অনুমতি নেই। একজন মুসলিম পুরুষ মুসলিম নারীর পাশাপাশি ইহুদী কিংবা খ্রিষ্টান নারীকেও 'নওমুসলিম' করে বিয়ে করতে পারবে, অন‍্যথায় নয়। অনুরূপ, একজন মুসলিম নারী মুসলিম পুরুষের পাশাপাশি ইহুদী কিংবা খ্রিষ্টান পুরুষকেও 'নওমুসলিম' করে বিয়ে করতে পারবে, অন‍্যথায় নয়। ইসলামে বিবাহপূর্ব ও বিবাহবহির্ভূত যৌনতা নিষিদ্ধ। ধন্যবাদ।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ