অথবা , এতে কি মেয়েদের পর্দা ভঙ্গ হবে ? 
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে


আল্লাহ তাআলা সুরা নুর-এর ৩০ নং আয়াতে পুরুষদেরকে উদ্দেশ্য করে ঘোষণা করেন-

‘মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।’

পরবর্তী আয়াতে নারীদেরকে লক্ষ্য করে আল্লাহ তাআলা বলেন-

‘ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতিত আর কারো কাছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সুরা নুর : আয়াত ৩১)
 
আল্লাহ তাআলা নবি পত্নীদের উদ্দেশ্য  আয়াত নাজিল করেন-

‘হে নবীর স্ত্রীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও [ইহুদী খৃষ্টান)। তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় পাও তবে আকর্ষণধর্মী ভঙ্গিতে কথা বলনা, যাতে যাদের মাঝে যৌনলিপ্সা আছে তারা তোমাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। বরং তোমরা স্বাভাবিক কথা বল। এবং তোমরা অবস্থান কর স্বীয় বসবাসের গৃহে, জাহেলি যুগের মেয়েদের মত নিজেদের প্রকাশ করো না।’ (সুরা আহজাব : আয়াত ৩২)

উল্লেখিত আয়াতসমূহের আলোকে বুঝা যায় যে, শুধু সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে নয়, কোনোভোবেই নারী-পুরুষের অবাধ চলাফেরা, কথা-বার্তা, বিভিন্ন কার্যক্রমে সমানতালে অংশগ্রহণ ইসলাম সমর্থন করে না।

আর এ অবাধ চ্যাটিং, লাইক, কমেন্টস ইত্যাদি যদি হয় ফেসবুক, টুইটার, গুগলপ্লে, ইউটিউব, অ্যান্ড্রয়েড, আইফোন কিংবা আরএসএস-এর মতো মাধ্যমগুলোতে, আর তাতে অপরাধ প্রবণতা বাড়ে কিংবা পর্দার খেলাফ হয় তবে তাও ইসলামে নিষেধ।

সুতরাং নারীরা প্রয়োজন ছাড়া অপরিচিত কোনো পুরুষকে বন্ধু বানানো যেমন ঠিক নয়, তেমনি অপরিচিত পুরুষদের জন্যও অপরিচিত মেয়েকে বন্ধু বানানো ঠিক নয়। যদি বন্ধু হয়েও থাকে তবে আপত্তিকর, অসামাজিক ও ধর্মীয় বিষয়গুলোর প্রতি যথাযথ গুরুত্বারোপ করা আবশ্যক।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

একজন ছেলে হয়ে অন্য একটি অচেনা মেয়ের সাথে ফেসবুকে চ্যাট করা জায়েয হবে তবে তা উদ্দ্যেশ্য অনুযায়ী শর্ত সাপেক্ষে।

উদ্দেশ্য যদি হয় খারাপ তাহলে অচেনা যুবক যুবতীর মাঝে বন্ধুত্ব অতঃপর পোস্ট, এসএমএস, ইমেইল প্রভৃতির মাধ্যমে বার্তা লেখালিখি করে হৃদয়ের আদান প্রদান করা বৈধ নয়।

কেননা, বেগানা যুবক যুবতীর মাঝে নিষ্কাম বন্ধুত্ব অসম্ভব। কারো দ্বারা বিরলভাবে সম্ভব হলেও শরীয়তের তা হারাম। তাদের আপোষে পত্রালাপ ও রসালাপ বৈধ নয়। যেহেতু তাতে ফিতনার আশঙ্কা রয়েছে। আর ফিতনা ও দাজ্জাল থেকে পাকা মুমিনকেও দূরে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

(রেফারেন্সঃ আহমাদঃ ৪/৪৩১, ৪৪১, আবূ দাঊদঃ ৪৩১৯)

কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছেঃ হে নবী পত্নিগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও, যদি তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর সুতরাং পর-পুরুষের সাথে কমল কন্ঠে এমন ভাবে কথা বলো না, কারণ এতে যার অন্তরে ব্যাধি আছে, সে প্রলুব্ধ হয় এবং তোমরা ন্যায়সংগত কথা বলবে। (সূরা আহযাবঃ ৩২)

এখানে আল্লাহ তায়ালা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর স্ত্রীসহ সকল মুমিন নারীদেরকে কয়েকটি অবশ্য পালনীয় নির্দেশ প্রদান করছেনঃ আল্লাহ তায়ালা বলছেনঃ কোমল কন্ঠে কথা বল না! অর্থাৎ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর স্ত্রীদেরকে সম্বোধন করে সকল মুমিন নারীদেরকে বলছেনঃ যদি পর্দার অন্তরাল থেকে পর পুরুষের সাথে কথা বলার প্রয়োজন দেখা দেয় তাহলে কোমল কন্ঠে কথা বলবে না, যদি বল তাহলে যাদের অন্তরে কৃপ্রবৃত্তির ব্যাধি রয়েছে তারা আসক্ত হয়ে যাবে। বরং ন্যায়সঙ্গতভাবে বলবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ