শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

প্র‍য়োজনে কিবলার দিকে পা ছড়িয়ে দিয়ে বসা জায়েয আছে। সৌদি আরবের সাবেক গ্র্যান্ড মুফতি শাইখ আব্দুল্লাহ বিন বাজ (রহঃ) বলেন, এতে কোনো সমস্যা নেই। কোনো ব্যক্তি যদি তার দুই পা কিবলার দিকে ফিরিয়ে রাখে তাতে কোনো সমস্যা নেই। এমনকি কেউ যদি মসজিদে হারামে বসেও কাবার দিকে পা ফিরিয়ে রাখে তাতেও কোনো সমস্যা নেই। আর শাইখ মুহাম্মদ বিন সালেহ আল-উছাইমীন (রহঃ) বলেন, কিবলার দিকে পা দিয়ে ঘুমাতে বা বসতে কোনো দোষ নেই। তবে কিবলা ও কাবা অত্যন্ত মর্যাদাবান দুইটি বিষয়। এগুলো ইসলামের শিআর বা নিদর্শনের অন্তর্ভুক্ত। এগুলোকে কোনোভাবে অসম্মান করা, অবজ্ঞা করা বা এগুলোর প্রতি কোনো অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করা মহা অন্যায়। তাই কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে পশ্চিম দিকে পা দিয়ে রাখে তাহলে তা মহা অন্যায় ও কবীরা গুনাহ হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে তা হবে কী হবে না-তা নির্ভর করে যে পা রাখছে তার ইনটেনশন বা নিয়তের উপর। এক প্রশ্ন আসতে পারে যে, পশ্চিম দিকে পা রাখা যদি হারাম হয় তাহলে বিছানায় বা সমান কোনো স্থানে বসা কোনো মাজুর ব্যক্তি 'অসুস্থতা বা কোনো সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তি' কীভাবে বা কোন দিকে পা রেখে সালাত আদায় করবে? উত্তর হবে অবশ্যই পশ্চিম দিকে অর্থাৎ কিবলার দিকে পা রেখেই তিনি সলাত আদায় করবেন। ফিকহ বিশারদরা বলেন, যদি কোনো অসুস্থ ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বা বসে নামাজ পড়তে না পারেন, তাহলে কিবলার দিকে মুখ করে এক পাশে শুয়ে নামাজ আদায় করবেন। যদি সেটাও না পারেন তাহলে চিত হয়ে শুয়ে কিবলার দিকে পা দিয়ে নামাজ পড়বেন। এ দিক দিয়ে বলা যায়, যদি পশ্চিম দিকে পা রাখা হারাম বা নাজায়েজ হতো তাহলে সালাত আদায় কালেও তা হারাম হতো। এছাড়া তা ফিকহের কিতাবেও ফতোয়ায় উল্লেখ থাকতো। সুতরাং বলা যায়, কিবলার দিকে বা পশ্চিম দিকে পা ছড়িয়ে দিয়ে বসাতে কোন সমস্যা নেই।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ