Call

বিশ্বজগতে আমরা যা কিছু দেখি, এবং যা কিছু চিন্তা করতে পারি, সবকিছুর দুটি দিক থাকে। একটি অংশ পূর্ব থেকে নির্ধারিত, এবং অন্য একটি অংশ পরিবর্তনশীল। এটা হচ্ছে তাকদীরে মুয়াল্লাহ যেটা মানুষের কর্ম তথা তাদবীরের কারণে পরিবর্তন হয় ,যেমন মানুষের জীবনে সুখ শান্তি এবং দুঃখ কষ্ট ইত্যাদি মানুষের কর্মের উপর নির্ভর করে। আল্লাহ পবিত্র কোরআনের সূরায়ে শুরার ৩০ নং আয়াতে ইরশাদ করেন, তোমাদের উপর যেসব বিপদ-আপদ পতিত হয়, তা তোমাদের কর্মেরই ফল এবং তিনি তোমাদের অনেক গোনাহ ক্ষমা করে দেন। বিশ্বের সবকিছুর এমন দুটি দিক আছে। সবকিছুর ক্ষেত্রেই একটু স্বাধীনতা দেয়া আছে, আবার পূর্ব নির্ধারিত একটি ফর্মুলাও দেয়া রয়েছে। আমাদের জীবনের একটি ইচ্ছা শক্তি আছে, আবার আমাদের সীমাবদ্ধতাও আছে। আমাদের ইচ্ছা শক্তি অনেক কিছুই পরিবর্তন করতে পারে, আবার অনেক কিছুই পরিবর্তন করতে পারে না। মানুষ কি পরিবর্তন করতে পারবে, এবং কতটুকু পরিবর্তন করতে পারবে, এটা আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে নির্ধারিত হয়। এই নির্ধারিত হওয়ার বিষয়টাকে বিশ্বাস করার নাম- ই তাকদীর। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে কিছু ইচ্ছা শক্তি দিয়েছেন, আবার ইচ্ছার সীমাবদ্ধতাও দিয়েছেন। ইচ্ছা শক্তির মাধ্যমে আমাদের ভাগ্য আমরা পরিবর্তন পারি ঠিক, কিন্তু আমাদের সেই ইচ্ছা শক্তি এবং ভাগ্য পরিবর্তনের ক্ষমতা স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। আপনি আল্লাহর কাছে একটা জিনিস চাইছেন কিন্তু চেষ্টা না করার কারনে পরে তা পান নাই, এখন এমন বলতে পারবে না যে এটা তাকদীরে ছিল না। যার ভাগ্যে যা আছে তা ঘটবেই। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, আপনি আপনার আমল করা, চেষ্টা করা থেকে বিরত থাকবেন এই ভেবে যে আমার ভাগ্যে যা আছে তা তো ঘটবেই, তাই আমি কিছুই করব না। কিন্তু, বলুন তো, আপনি কি সব জানেন? আপনি কি গায়েবের খবর জানেন? যদি নাই জানেন, তাহলে আপনি কেন আপনার হাত পা গুটিয়ে বসে থাকবেন? আপনি যেহেতু জানেন না যে আপনি জান্নাতি না জাহান্নামি, তাই আপনি আপনার আমল তথা চেষ্টা করে যান।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ