যদি কেউ তার প্রেমিকার সাথে যিনায় লিপ্ত হয়, তবে তারা পরে বিয়ে করতে পারবে। তাদের বিয়ে জায়েজ হবে। কেননা, যিনাকারী বা ব্যভিচারীর সাথে মুমিনদের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হারাম করা হয়েছে। তবে তওবা করলে ভিন্ন কথা। আল্লাহ তাআলা বলেন: ব্যভিচারী কেবল ব্যভিচারিণী অথবা মুশরিক নারীকে ছাড়া বিয়ে করবে না এবং ব্যভিচারিণীকে কেবল ব্যভিচারী অথবা মুশরিক ছাড়া বিয়ে করবে না। আর মুমিনদের উপর এটা হারাম করা হয়েছে। [সূরা আন-নূরঃ ৩] ইসলামের দৃষ্টিতে প্রেম- ভালবাসা, শারীরিক সম্পর্ক হারাম। ইসলামে গায়রে মাহরাম নারী-পুরুষের মাঝে প্রেম-ভালবাসা শারীরিক সম্পর্ক নিষিদ্ধ, এটি চরম গুনাহের কাজ। প্রেম-ভালবাসা ব্যক্তিকে যিনা-ব্যভিচারে পতিত করে, এর ফলে অবৈধভাবে দুই যৌনাঙ্গ মিলিত হয়। যিনা করা কবিরা গুনাহ; মহাপাপ ও জঘন্য অপরাধ। এ কারণে আল্লাহ তাআলা আখেরাতের আগে দুনিয়াতেই এ অপরাধের শাস্তি ঘোষণা করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ব্যভিচারিণী নারী ব্যভিচারী পুরুষ; তাদের প্রত্যেককে একশ করে বেত্রাঘাত কর। আল্লাহর বিধান কার্যকর করণে তাদের প্রতি যেন তোমাদের মনে দয়ার উদ্রেক না হয়, যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি ও পরকালের প্রতি বিশ্বাসী হয়ে থাক এবং মুসলমানদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে। [সূরা নূরঃ ২] রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, অবিবাহিত নারী ও অবিবাহিত পুরুষ ব্যভিচার করলে শাস্তি: একশ বেত্রাঘাত ও এক বছরেরর জন্য নির্বাসন। বিবাহিত নারী বিবাহিত পুরুষের সাথে ব্যভিচার করলে শাস্তি একশ বেত্রাঘাত ও পাথর নিক্ষেপে হত্যা। [সহিহ মুসলিমঃ ৩১৯৯]