Call

পিতা মাতাকে না জানিয়ে বালিগ ছেলে মেয়ের বিবাহ নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।

প্রথম মত, অনেক উলামায়ে কেরাম অভিভাবকহীন বিয়েকে বাতিল বলে মনে করেন।

দ্বিতীয় মত, হানাফি মাযহাব মতে কু'ফু হিসেবে ছেলেটি মেয়ের সমকক্ষ বা বেশী মর্যাদার অধীকারী হলেই কেবল বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে।নতুবা মেয়ের অভিভাবকের অনুমতির উপর বিয়ে মওকুফ থাকবে।

তাই পিতা মাতার সম্মতি ছাড়া বিয়ে করার পড়ে যদি তারা বিয়ে মেনে নেয় তাহলে সহবাস করলে গুনাহ হবে না। যদি দুই সাক্ষীর উপস্থিতিতে বিয়ে হয়ে থাকে তাহলে বিয়ে হয়ে যায়।

প্রথম মতের রেফারেন্সঃ অভিভাবক ব্যতীত বিয়ে সম্পন্ন হয় না।

আইশা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অভিভাবকের অনুমতি ব্যতীত কোন মহিলা বিয়ে করলে তার বিয়ে বাতিল, তার বিয়ে বাতিল, তার বিয়ে বাতিল। কিন্তু তার সাথে তার স্বামী সহবাস করলে তবে সে তার লজ্জাস্থান হালাল মনে করে সংগত হওয়ার কারণে তার নিকট মোহরের অধিকারী হবে। যদি অভিভাবকগণ বিবাদ করে তাহলে যে ব্যক্তির কোন অভিভাবক নেই তার ওয়ালী হবে দেশের শাসক।

(সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত], অধ্যায়ঃ ৯/ বিবাহ।, হাদিস নম্বরঃ ১১০২, হাদিসের মানঃ সহিহ)।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিশেষজ্ঞ সাহাবীদের মধ্যে উমার ইবনুল খাত্তাব, আলী ইবনু আবু তালিব, আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস, আবু হুরাইরা (রাঃ) ও অন্যরা “অভিভাবকের অনুপস্থিতিতে বিয়ে হতে পারে না” এ হাদীস অনুযায়ী মত দিয়েছেন।

একদল ফিকহবিদ তাবিঈ বলেছেন, অভিভাবকগণের বিনা অনুমতিতে কোন মহিলা বিয়ে করতে পারে না করলে তা বাতিল বলে গণ্য হবে। এদের মধ্যে আছেন সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যিব, হাসান বাসরী, শুরাইহ, ইবরাহীম নাখঈ, উমার ইবনু আবদুল আযীয ও অন্যরা। এই কথা বলেছেন সুফিয়ান সাওরী, আওযাঈ, মালিক, আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারাক, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাকও।

কাজেই মেয়েদের ক্ষেত্রে অবশ্যই তার পিতা কিংবা অভিভাবক যিনি থাকেন তার অনুমতিক্রমে বিয়ে করতে হবে। যদি তার বংশের কোন অভিভাবক না থাকে তাহলে রাষ্ট্রীয় অভিভাবক যেমন কাজী বা কোনো বিচারক বা আদালতে নিজেকে সম্পন্ন করে তিনি রাষ্ট্রীয়ভাবে নিজের বিয়ে সম্পন্ন করবেন। আর ছেলেরা যদি পিতামাতার অনুমতি না নিয়ে বিয়ে করে তাহলে গুনাহ হবে না তবে মা বাবার দোয়া নিয়ে তাদের মনকে জয় করার চেষ্টা করা তার জন্য কর্তব্য।

পিতামাতার অনুমতি না নিয়ে স্বামী-স্ত্রী সুলভ আচরণ করা প্রতিটি মুহূর্ত গুনাহ হবে। এক্ষেত্রে, অবশ্যকরনীয় হল, আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করে অতীতের ভুলের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করা। তওবা করা। ইনশাল্লাহ আল্লাহ্‌ মাফ করবেন।

◄❖► ◄❖ আল্লাহ-ই ভাল জানেন। ❖► ◄❖► ▬▬▬▬▬▬▬ ◄❖► ▬▬▬▬▬▬▬


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ