কারণ আল্লাহ তায়ালা মানুষ এবং জিনকে সৃষ্টি করেছে তার ইবাদাত করার জন্য। আর যে তার ইবাদাত করবে তার জন্য পুরষ্কার হিসেবে জান্নাতের ঘোষনা দিয়েছে। যে তা অস্বীকার করবে বা পালন করবে না তার জন্য রয়েছে জাহান্নাম। আর একমাত্র মুসলিমরাই আল্লাহর একত্ববাদকে মেনে নিয়ে তার ইবাদাত করে। তাই প্রতিশ্রুতিস্বরুপ মুসলিমদের জন্য জান্নাত নির্দিষ্ট করা। আর একটা ব্যাপার হলো আল্লাহ সব গোনাহ ক্ষমা করেন শুধুমাত্র শিরক ছাড়া। আপনি খেয়াল করলে দেখবেন ইসলাম ছাড়া বাকি সব ধর্মে মূর্তিপূজা রয়েছে। যে কাজটি আল্লাহ এক্কেবারেই সহ্য করতে পারে না মুসলিম ছাড়া বাকি সব ধর্মের লোক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে সেই কাজটিই করে। তাই ইসলাম ছাড়া বাকি সব ধর্মের লোকেরা জাহান্নামী।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

জন্ম কারো হাতে নেই। যে যে ধর্মেই থাকুক না কেনো গুনাহর কাজ থেকে বিরত থাকলে এবং ন্যায় কাজ করলে সৎকর্মশীল হলে অবশ্যই সে জান্নতে জাবে। তবে শিরক করলে কোনো মানুষ এমনকি কোনো মুসলিমই জান্নাতে জেতে পারবে না। কারন আল্লাহ বলেছেন যে একবার শিরক করলো আল্লাহ তার জন্য জান্নাত কে হারাম করে দিল। আর আল্লাহ শিরকের গুনাহ ক্ষমা করেননা। তবে মানুষ আল্লাহর কাছে জিজ্ঞেস করতে পারে যে হে আল্লাহ আমার মা বাবা আমাকে শিরক করতে শিখিয়েছে তারপরে আমি শিরক করেছি। মা-বাবার শিখানো ব্যতিত নিজইচ্ছায় শিরক করলে আল্লাহ তার গুনাহ ক্ষমা করবেনা।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
HMMOBAROKBD

Call

রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “প্রতিটি নবজাতক তার স্বাভাবিক প্রবৃত্তির উপর জন্মগ্রহণ করে। অতঃপর তার পিতা-মাতা তাকে ইহুদী বানায়, খ্রিস্টান বানায় বা অগ্নিপূজক বানায়।”[বুখারী, ১৩৫৮ ও মুসলিম, ২৬৫৮]

বিবেকবান মাত্রই বুঝতে পারে যে, পৃথিবীর আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত যত মাখলুকাত অতিবাহিত হয়েছে বা হবে এদের একজন স্রষ্টা থাকতেই হবে। না থেকে কোন উপায় নেই। কেননা, কোন সৃষ্টি যেমন নিজে নিজেকে অস্তিত্ব দিতে পারে না, তেমনি দৈবক্রমে অস্তিত্বে আসাও সম্ভব নয়। সে নিজে নিজেকে অস্তিত্ব দিতে পারবে না। কারণ কোন বস্তুই আপনাকে সৃষ্টি করার ক্ষমতা রাখে না। অস্তিত্বে আসার আগে যে নিজে অস্তিত্বহীন ছিল,(মূর্তি ইত্যাদি)  সে কিভাবে স্রষ্টা হবে? অনুরূপভাবে দৈবক্রমে হয়ে যাওয়াও সম্ভব নয়। কেননা প্রতিটি ঘটনার, প্রতিটি কর্মের পেছনে একজন কর্মকার থাকে। 

যারা সঠিক অর্থে সনাতন ধর্মাবলম্বী বা অন্য যে কোন ধর্মে বিশ্বাসী, সত্যকে খুঁজে, তারা একত্ববাদে বিশ্বাসী! আল্লাহ একও অদ্বিতীয়৷ 

সনাতন ধর্মাবলম্বীরাও অনেকে এটা বিশ্বাস করে যে,আল্লাহ বা ইশ্বর এক,মূর্তি হলো এক ইশ্বরের অনেক রূপ!কিন্তু এদের এধারণাও ভুল৷ এদের এবিশ্বাস এদের মুক্তির উপায় নয়৷ (স্রষ্টার কোন রূপ নেই,তিনি শিরক থেকে মুক্ত!) 

সৃষ্টির শুরু লগ্ন থেকে মানুষ জাতির হেদায়াতের জন্য মহান রাব্বুল ‘আলামীন পৃথিবীর বুকে প্রেরণ করেছেন অসংখ্য নবী-রাসূল (‘‘আলাইহিমুস সালাম)। নাযিল করেছেন বহু আসমনী কিতাব ও সহীফা। তাঁরা যুগে যুগে তাওহীদের বাণী প্রচার করে গেছেন মানুষের দ্বারে দ্বারে। নবীর অবর্তমানে মানুষ যে বাতিল ও মিথ্যাকে সত্য মনে করে গ্রহণ করেছিল নবীগণ এসে মানুষের সামনে সে বাতিল ও মিথ্যার অসারতা বর্ণনা করেছেন এবং সত্যের পরিচয় তুলে ধরেছেন। বহু ঈশ্বরের বাণীর পরিবর্তে মহান আল্লাহ তা‘আলার তাওহীদের বাণী শুনিয়েছেন।

সর্বশেষ আল্লাহ তা‘আলা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সাইয়িদুল মুরসালিন, খাতামুন্নাবিয়্যিন হিসেবে কিয়ামত পর্যন্ত মানব ও জিন জাতির হেদায়াতের জন্য নবী হিসেবে পাঠিয়েছেন। সেই সাথে তার উপর নাযিল করেছেন সর্বশেষ মহাগ্রন্থ পবিত্র কুরআনে কারীম। অতএব কুরআন নাযিল হওয়ার পর যেমন অপরাপর সকল ধর্মের কিতাব রহিত হয়ে যায়। তেমনি শেষ নবীর আবির্ভাবের মাধ্যমে পূর্ববর্তী সকল নবীর আনীত ধর্মও নিষিদ্ধ হয়ে যায়। এবং মুক্তির একমাত্র পথ হিসেবে ইসলাম ধর্মকেই মনোনীত করা হয়। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ তা‘আলা ঘোষণা করেন, إِنَّ الدِّينَ عِنْدَ اللَّهِ الْإِسْلَامُ

অর্থ: ‘আল্লাহর নিকট মনোনিত ধর্ম একমাত্র ইসলাম’। (সূরা আলে ইমরান: ১৯)

উক্ত আয়াতের তাফসীরে হযরত ইবনে কাসীর রহ. লেখেন,

এই আয়াত দ্বারা এই সংবাদ দেয়া উদ্দেশ্য যে, আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য দীন কেবল ইসলাম। আর সর্বযুগে আল্লাহ তা‘আলার প্রেরিত নবীদের ওহীর অনুসরণ করার নাম ইসলাম। সর্বশেষ  এবং সকল নবীর সমাপ্তকারী হচ্ছেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তার নবুয়তের পর পূর্বের সকল পথ রুদ্ধ করে দিয়েছেন। এখন যে কেউ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রেরিত হওয়ার পর তার শরী‘আত ব্যতীত অন্য কোন শরী‘আত গ্রহণ করে মৃত্যু বরণ করবে তা আল্লাহ তা‘আলার নিকট গ্রহণযোগ্য হবে না। যেমন আল্লাহ তা‘আলা অপর আয়াতে বলেন,  وَمَنْ يَبْتَغِ غَيْرَ الْإِسْلَامِ دِينًا فَلَنْ يُقْبَلَ مِنْهُ وَهُوَ فِي الْآخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِينَ

যে ব্যক্তি ইসলাম ভিন্ন অন্য কোন ধর্ম তালাশ করবে কখনো তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে হবে ক্ষতিগ্রস্ত। (সূরা আলে ইমরান: ৮৫)।


হযরত মাওলানা মুফতী মুহাম্মাদ শফী রহ. إِنَّ الدِّينَ عِنْدَ اللَّهِ الْإِسْلَامُ এই আয়াতের অধিনে লেখেন, এই আয়াতে নাস্তিক্য চিন্তাধারার মূলৎপাটন করা হয়েছে। যাতে উদারতার নামে কুফর ও ইসলামকে এক করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং একথা প্রচার করা হচ্ছে যে, ভাল কাজ করলে ও উত্তম চরিত্রের অধিকারী হলে যে কোন ধর্মাবলম্বীই মুক্তি পাবে- সে ইহুদী, খ্রীষ্টান অথবা মূর্তিপূজারী যেই ধর্মেরই অনুসারী হোক না কেন। শর্ত হল ভাল কাজ ও উত্তম চরিত্রের পাবন্দী থাকতে হবে। এটা মূলত ইসলামী নীতিমালাকে মূলৎপাটন করারই নামান্তর। কারণ, এর সারমর্ম দাঁড়ায় এই যে, ইসলামের কোন ভিত্তি নেই। এটা একটা কাল্পনিক বিষয়, যা কুফরের পোষাকেও পাওয়া যেতে পারে।  পবিত্র কুরআনের এই আয়াত এবং এজাতীয় অসংখ্য আয়াত দ্ব্যার্থহীনভাবে ঘোষণা করেছে, যেমনিভাবে অন্ধকার ও আলো একত্র হতে পারে না অনুরুপভাবে এটা একেবারেই অযৌক্তিক ও অসম্ভব বিষয় যে, ইবাদত ও আনুগত্য যেমন আল্লাহর নিকট পছন্দনীয় তদ্রুপ অবাধ্যতা ও বিদ্রোহও আল্লাহর নিকট পছন্দনীয় হবে। যে ব্যক্তি ইসলামের কোন একটি মূলনীতি অস্বীকার করবে সে নি:সন্দেহে আল্লাহ তা‘আলার প্রতি বিদ্রাহী ও রাসূলগণের শত্রু। চাই সে ব্যক্তি শাখাগত আমল ও প্রথাগত চরিত্র মাধুর্যে যতই সুন্দর দৃষ্টিগোচর হোক না কেন, পরকালের মুক্তির উপায় সর্বপ্রথম আল্লাহ ও তার রাসূলের অনুগত্যের মাঝে নির্ভরশীল। যে ব্যক্তি এ থেকে বঞ্চিত তার কোন কর্ম ধতব্য নয়।

পবিত্র কুরআন এমন লোকদের সম্পর্কেই বলা হয়েছে, فَلَا نُقِيمُ لَهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَزْنًا  অর্থ: ‘কিয়ামতের দিন আমি তাদের কোন {আমল} ওজন করার ব্যবস্থা রাখব না’। (সূরা কাহ্ফ: ১০৫)


ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ ধর্ম বিধান। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্র সম্পর্কে তাতে দিক নির্দেশনা রয়েছে। এই আধুনিক যুগেও কুরআনের বিধান যুগোপযোগী। পক্ষান্তরে অন্যান্য ধর্মে জীবনের অনেক বিষয়ের সমাধান নেই। আর আধুনিক বিষয়ের তো আলোচনাই নেই। এই বিষয়েও ইসলামের সত্যতা ফুটে উঠে। নতুন করে ইসলামে কোন বিধানের সংযোজনের প্রয়োজন নেই। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,  الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الْإِسْلَامَ دِينًا

অর্থ: আজ আমি তোমাদের জন্য আমার দীনকে পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম এবং আমার নিয়ামতকে তোমাদের উপর পরিপূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দীন {ধর্ম} মনোনীত করলাম। (সূরা মায়িদা: ৩)

পৃথিবীতে ইসলামের পূর্বে অনেক ধর্ম ছিল এবং এখনও আছে। ইসলামের পূর্বে আসমানী কিতাব অবতীর্ণ হয়েছে এমন যেসব ধর্ম ইসলাম আবির্ভাব কালে ছিল সেগুলোর মধ্যে ইয়াহুদী ও খ্রিষ্ট ধর্ম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। অন্যান্য ধর্ম যেমন বৌদ্ধ ধর্ম এবং হিন্দু ধর্ম ইত্যাদি ধর্ম যেহেতু আসমানী কিতাব নাযিলকৃত ধর্ম নয় এবং তৎকালিন সময়ে ইয়াহুদী ও খ্রিষ্ট ধর্মই বিস্তৃত পরিমন্ডলে বিরাজমান ছিল। বিধায় পবিত্র কুরআনে অসংখ্য আয়াতে উক্ত দুই ধর্মের আলোচনা করা হয়েছে। উক্ত দুই ধর্মের অনুসারীরা তাদের আসমানী কিতাবের বিভিন্ন বিধানকে পরিবর্তন করে ফেলেছে পবিত্র কুরআনের অসংখ্য আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা সেই কথা বলেছেন। অন্যান্য ধর্ম অক্ষত থাকেনি। বরং তাতে পরিবর্তন হয়েগেছে। সেই ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র কুরআনে বলেন,

َإِنَّ مِنْهُمْ لَفَرِيقًا يَلْوُونَ أَلْسِنَتَهُمْ بِالْكِتَابِ لِتَحْسَبُوهُ مِنَ الْكِتَابِ وَمَا هُوَ مِنَ الْكِتَابِ وَيَقُولُونَ هُوَ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ وَمَا هُوَ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ وَيَقُولُونَ عَلَى اللَّهِ الْكَذِبَ وَهُمْ يَعْلَمُونَ

অর্থ: আর তাদের মধ্যে একদল রয়েছে যারা বিকৃত উচ্চারণে মুখ বাকিয়ে কিতাব পাঠ করে যাতে তোমরা মনে কর তারা কিতাব থেকেই পাঠ করছে। অথছ তারা যা আবৃত্তি করছে তা আদৌ কিতাব নয় এবং তারা বলে যে, এসব কথা আল্লাহর তরফ থেকে আগত। অথচ এসব আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত নয়। তারা বলে যে, এটি আল্লাহর কথা অথচ এসব আল্লাহর কথা নয়। আর তারা জেনে শুনে আল্লাহর প্রতি মিথ্যারোপ করে। (সূরা আলে ইমরান: ৭৮)

সুতরাং -মুল কথা হলো,ইসলাম আসার আগে যে সমস্ত ধর্ম ছিলো,ইসলাম আসার পর সব রহিত হয়ে গেছে৷এক আল্লাহ'র বাণী এটাই যে,মুক্তির উপায় একমাত্র ইসলাম!

যে ব্যাক্তি যতই ভদ্র আর সুন্দর হওক না কেন,ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্মকে নিজের বিশ্বাসে পরিনত করলে,আখেরাতের অফুরন্ত কঠিন শাস্তি ভোগ করতেই হবে৷ইসলাম ছাড়া আল্লাহর কাছে বিকল্প কোন পদ্ধতি নেই৷ 

প্রিয় বোন!এ ব্যাপারে আরো অনেক বিস্তৃত বক্তব্যের প্রয়োজন,আপনি এসব কথার মুল কথাগুলো ওনাকে বুঝিয়ে বলুন৷ 

হেদায়েতের মালিক একমাত্র আল্লাহ, আপনি /আমার কাজ শুধু বুঝানো৷       

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ