আল্লাহ তাআলা বলেছেন, হে ঈমানদারগণ! তোমরা সকলে আল্লাহর কাছে তওবা (প্রত্যাবর্তন) কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। (সূরা নূরঃ ৩১ আয়াত)
তোমরা নিজেদের প্রতিপালকের নিকট (পাপের জন্য) ক্ষমা প্রার্থনা কর, অতঃপর তার কাছে তওবা (প্রত্যাবর্তন) কর। (সূরা হূদঃ ৩ আয়াত)
তিনি আরো বলেছেন, হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর নিকট তওবা কর বিশুদ্ধ তওবা। (সূরা তাহরীমঃ ৮ আয়াত)
এছাড়া উলামা সম্প্রদায়ের উক্তি এই যে, প্রত্যেক পাপ থেকে তওবা করা চিরতরে প্রত্যাবর্তন করা ওয়াজেব।
পক্ষান্তরে যদি সেই পাপ মানুষের অধিকার সম্পর্কিত হয়, তাহলে তা গ্রহণীয় হওয়ার জন্য চারটি শর্ত আছে।
তার মধ্যে একটি হলো হকদারদের হক ফিরিয়ে দিতে হবে। যদি অবৈধ পন্থায় কারো মাল বা অন্য কিছু নিয়ে থাকে, তাহলে তা ফিরিয়ে দিতে হবে। অথবা তার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।
না। আল্লাহ তায়ালা এই গুনাহ ততক্ষণ পর্যন্ত মাফ করবেন না, যতক্ষণ না ভুক্তভোগী বান্দা মাফ করে।
হক দুই প্রকারঃ-
عن جابر عن النبي صلى الله عليه و سلم قال : إياكم والظلم فإن الظلم ظلمات يوم القيامة
হযরত জাবের বিন আব্দুল্লাহ রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ তোমরা জুলম থেকে বেঁচে থাক। কেননা, জুলুম কিয়ামতের দিন ভীষন অন্ধকার হয়ে দেখা দিবে। {আলআদাবুল মুফরাদ, হাদীস নং-৪৮৮, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-২০৯৯, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫১৬, সহীহ বুখারী, হাদীস নং-২৩১৫, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৫৭৮}