যেমন এখন অনলাইনে যে প্রতারণা হয় সেরকমভাবে কেও টাকাটা চুরি করলো এখন সে অনুতপ্ত হলো,তবে সে টাকাটা ফেরত দিতে চাইলেও পারবেনা কারণ সে আমাকে চিনে না,আবার কারো এক টাকা রেখে জান্নাতে যাওয়া যাবে না।এমতাবস্থায় সেই চোরটি যে অনুতপ্ত আমিও জানি না জানলেও হয়তো ক্ষমা করব না তাহলে তার এ গুনাহ আল্লাহ ক্ষমা করতে পারবেন?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call
কেউ বান্দার হক নষ্ট করলে তাহলে তার কাছ থেকে অবশ্যই মাফ চেয়ে নিতে হবে কেননা ঐ ব্যক্তি যদি আপনাকে মাফ না করে তাহলে আল্লাহ ও আপনাকে মাফ করবেন না।

বান্দার হক নষ্ট করার গুনাহ ক্ষমা করার এখতিয়ার আল্লাহ নিজ হাতে রাখেননি। যেমন, আমি যদি একজনকে ধোঁকা দিয়ে ১টি টাকাও নিয়ে নিই, একমাত্র সেই লোক (যার হক নষ্ট করলাম) সে বাদে আর কেউ ক্ষমা করতে পারবে না। কারো হক নষ্ট করে থাকলে যে ভাবেই হোক তাকে তার পাওনা ফিরিয়ে দিতে হবে, সামর্থ্য না থাকলে অনুরোধ করে, ক্ষমা চেয়ে তার কাছ থেকে মাফ করিয়ে নিতে হবে। উল্লেখ্য, তওবা করলে আল্লাহ সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেন, এমনকি কারো পাপ জমীন থেকে আকাশ পর্যন্ত পৌঁছে গেলেও আল্লাহ তাকে মাফ করে দেবেন ইনশা- আল্লাহ।

কিন্তু বান্দার কোনো হক নষ্ট করে থাকলে সেটা বান্দা মাফ না করলে আল্লাহও ক্ষমা করবেন না।

এখন অনলাইনে যে প্রতারণা হয় সেরকম ভাবে কেও টাকাটা চুরি করলো এখন সে অনুতপ্ত হলো, তবে সে টাকাটা ফেরত দিতে চাইলেও পারবেনা কারণ সে আমাকে চিনে না। তাই করনীয় হচ্ছেঃ

তাকে যেহেতু পাওয়া যাচ্ছে না এবং তার উপযুক্ত কোন উত্তরাধিকার কেও পাওয়া যাচ্ছে না; তখন দেখতে হবে, অপরাধ এর ধরন কি?

যদি, অপরাধটি আর্থিক ক্ষতি বিষয়ক হয়; তবে, সমপরিমাণ অর্থ কোন সওয়াব এর প্রত্তাশা না করে কোন ভাল কাজে দিয়ে দিতে হবে এবং আল্লাহ-র কাছে মন থেকে ক্ষমা চাইতে হবে।

জনাব! একজন ব্যাক্তি ১০০৳ চুরি করায় তাকে যদি আপনি মাফ না করেন তাহলে আল্লাহ তাকে মাফ করবেন না। যদি তিনি অধিক আল্লাহর নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা ও তওবা করেন সে কথা ভিন্ন।


আল্লাহ তাআলা বলেছেন, হে ঈমানদারগণ! তোমরা সকলে আল্লাহর কাছে তওবা (প্রত্যাবর্তন) কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। (সূরা নূরঃ ৩১ আয়াত)


তোমরা নিজেদের প্রতিপালকের নিকট (পাপের জন্য) ক্ষমা প্রার্থনা কর, অতঃপর তার কাছে তওবা (প্রত্যাবর্তন) কর। (সূরা হূদঃ ৩ আয়াত)


তিনি আরো বলেছেন, হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর নিকট তওবা কর বিশুদ্ধ তওবা। (সূরা তাহরীমঃ ৮ আয়াত)


এছাড়া উলামা সম্প্রদায়ের উক্তি এই যে, প্রত্যেক পাপ থেকে তওবা করা চিরতরে প্রত্যাবর্তন করা ওয়াজেব।


পক্ষান্তরে যদি সেই পাপ মানুষের অধিকার সম্পর্কিত হয়, তাহলে তা গ্রহণীয় হওয়ার জন্য চারটি শর্ত আছে।


তার মধ্যে একটি হলো হকদারদের হক ফিরিয়ে দিতে হবে। যদি অবৈধ পন্থায় কারো মাল বা অন্য কিছু নিয়ে থাকে, তাহলে তা ফিরিয়ে দিতে হবে। অথবা তার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

না। আল্লাহ তায়ালা এই গুনাহ ততক্ষণ পর্যন্ত মাফ করবেন না, যতক্ষণ না ভুক্তভোগী বান্দা মাফ করে। 

হক দুই প্রকারঃ-

  • হাক্কুল্লাহ
  • হাক্কুল ইবাদ।
আল্লাহর হক নষ্ট করলে আল্লাহ মাফ করতে পারেন কিন্তু বান্দার হক মাফের অধিকার আল্লাহ বান্দাকেই দিয়ে দিয়েছেন। আপনি যদি তাকে মাফ না করেন, তবে হাশরের মাঠে তাঁর নেক আমল আপনার কাছে আসবে আর তাঁর নিকট আপনার বদ আমল চলে যাবে। ফলে সে আপনার ও তাঁর গুনাহ নিয়ে জাহান্নামে যাবে।তবে ক্ষমা করে দেওয়াই আপনার জন্য উত্তম। কারণ "নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীলদের ভালোবাসেন।"


عن جابر عن النبي صلى الله عليه و سلم قال : إياكم والظلم فإن الظلم ظلمات يوم القيامة 


হযরত জাবের বিন আব্দুল্লাহ রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ তোমরা জুলম থেকে বেঁচে থাক। কেননা, জুলুম কিয়ামতের দিন ভীষন অন্ধকার হয়ে দেখা দিবে। {আলআদাবুল মুফরাদ, হাদীস নং-৪৮৮, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-২০৯৯, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫১৬, সহীহ বুখারী, হাদীস নং-২৩১৫, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৫৭৮}

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ