বয়ঃসন্ধিতে ছেলেদের বীর্যথলিতে বীর্য এবং অন্ডকোষে শুক্রাণু তৈরি হয়। সময়ের সাথে সাথে বীর্য ক্রমাগত বীর্যথলিতে জমা হতে থাকে। বীর্যথলির ধারণক্ষমতা পূর্ণ হওয়ার পর নিদ্রারত অবস্থায় অনিচ্ছাকৃতভাবে বীর্যপথে বীর্যপাত ঘটে দেহে বীর্যের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রিত হয়। অতিরিক্ত বীর্য স্বপ্নদোষের ফলে বাহির হয়ে যায়। এতে স্বাস্থ্যের তেমন কোন ক্ষতি হয় না।
তবে হস্তমৈথুনের ফলে পুরুষের একটি ক্ষুদ্র অংশ পোস্ট অর্গাসমিক ইলনেস সিন্ড্রোমে ভোগে যার ফলে বীর্যপাতের পরপরই পুরো শরীরের মাংসপেশীতে তীব্র ব্যথা অনুভুত হয় এবং অন্যান্য লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে, তা স্বমেহনের পরেই হোক বা যৌনসঙ্গমের পরেই হোক। এই উপসর্গগুলো এক সপ্তাহ যাবৎ থাকতে পারে। এই ধরনের লক্ষণ এক সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। তাছাড়া এটা মস্তিষ্কের বিভিন্ন ক্ষতি হতে পারে। স্বাস্থ্যের উপর চরম বিপর্যয় নেমে আসে। আবার নিয়মিত হস্থমৈথুনের প্রভাবে স্বপ্নদোষের পরিমাণ হ্রাস পায়।
অতিরিক্ত স্বপ্ন দোষ অবশ্যই ক্ষতির কারন।তবে স্বাভাবিক ভাবে স্বপ্ন দোষ খারাপ না। কেননা উদাহরন স্বরুপ, ভরা কলসিতে যদি আরও বেশি পানি দিয়ে পূর্ন করা হয় তাহলে পানি উপচে পড়ে।তেমন ভাবে, আমাদের বীর্য থলি যখন বীর্য দ্বারা পরিপুর্ন হয়, তখন বাড়তি বীর্য প্রাকৃতিক ভাবে স্বপ্নদোষ হয়ে বের হয়ে যায়।স্বাভাবিক স্বপ্নদোষ ক্ষতিকর নয়।তবে অতিরিক্ত হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। তেমনি অতিরিক্ত হস্তমৈথুন যৌন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।