কবিরা শব্দের অর্থ কি এবং এর সংজ্ঞা  ও এই গুনাহ কত প্রকার ও কি কি? বিস্তারিত জানালে উপকৃত হব। 
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

কবিরা (كبيرة) শব্দের অর্থঃ মহাপাপ বা বড় গুনাহ। অর্থাৎ, তওবা ব্যতীত যে গুনাহ মাফ হয় না, তাকে কবিরা গুনাহ বলে। কবিরা গুনাহের নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা নেই। নিচের কাজগুলোকে সাধারণত কবিরা গুনাহের অন্তর্ভূক্ত করা হয়ঃ ● আল্লাহর সাথে শিরক করা। ● নামায পরিত্যাগ করা। ● পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া। ● অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা করা। ● পিতা-মাতাকে অভিসম্পাত করা। ● যাদু-টোনা করা। ● এতীমের সম্পদ আত্মসাৎ করা। ● জিহাদের ময়দান থেকে পলায়ন করা। ● সতী-সাধ্বী মু‘মিন নারীর প্রতি অপবাদ দেয়া। ● রোযা না রাখা। ● যাকাত আদায় না করা। ● ক্ষমতা থাকা সত্যেও হজ্জ আদায় না করা। ● যাদুর বৈধতায় বিশ্বাস করা। ● প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়া। ● অহংকার করা। ● চুগলখোরি করা (ঝগড়া লাগানোর উদ্দেশ্যে একজনের কথা আরেকজনের নিকট লাগোনো)। ● আত্মহত্যা করা। ● আত্মীয়তা সম্পর্ক ছিন্ন করা। ● অবৈধ পথে উপার্জিত অর্থ ভক্ষণ করা। ● উপকার করে খোটা দান করা। ● মদ বা নেশা দ্রব্য গ্রহণ করা। ● মদ প্রস্তুত ও প্রচারে অংশ গ্রহণ করা। ● জুয়া খেলা। ● তকদীর অস্বীকার করা। ● অদৃশ্যের খবর জানার দাবী করা। ● গণকের কাছে ধর্ণা দেয়া বা গণকের কাছে অদৃশ্যের খবর জানতে চাওয়া। ● পেশাব থেকে পবিত্র না থাকা ● রাসূল (সঃ)এর নামে মিথ্যা হাদীস বর্ণনা করা। ● মিথ্যা স্বপ্ন বর্ণনা করা। ● মিথ্যা কথা বলা। ● মিথ্যা কসম খাওয়া। ● মিথ্যা কসমের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় করা। ● জিনা-ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়া। ● সমকামিতায় লিপ্ত হওয়া। ● মানুষের গোপন কথা চুপিসারে শোনার চেষ্টা করা। ● হিল্লা তথা চুক্তি ভিত্তিক বিয়ে করা। ● যার জন্যে হিলা করা হয়। ● মানুষের বংশ মর্যাদায় আঘাত হানা ● মৃতের উদ্দেশ্যে উচ্চস্বরে ক্রন্দন করা। ● মুসলিম সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা। ● মুসলিমকে গালি দেয়া অথবা তার সাথে লড়ায়ে লিপ্ত হওয়া। ● খেলার ছলে কোন প্রাণীকে নিক্ষেপ যোগ্য অস্ত্রের লক্ষ্য বস্তু বানানো। ● আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে পশু জবেহ করা ● ওজনে কম দেয়া। ● ঝগড়া-বিবাদে অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করা। ● ইসলামী আইনানুসারে বিচার বা শাসনকার্য পরিচালনা না করা। ● জমিনের সীমানা পরিবর্তন করা বা পরের জমি জবর দখল করা। ● গীবত তথা অসাক্ষাতে কারো দোষ চর্চা করা। ● দাঁত চিকন করা। ● সৌন্দর্যের উদ্দেশ্যে মুখ মণ্ডলের চুল তুলে ফেলা বা চুল উঠিয়ে ভ্রু চিকন করা। ● অতিরিক্ত চুল সংযোগ করা। ● পুরুষের নারী বেশ ধারণ করা। ● নারীর পুরুষ বেশ ধারণ করা। ● বিপরীত লিঙ্গের প্রতি কামনার দৃষ্টিতে তাকানো। ● কবরকে মসজিদ হিসেবে গ্রহণ করা। ● পথিককে নিজের কাছে অতিরিক্ত পানি থাকার পরেও না দেয়া। ● পুরুষের টাখনুর নিচে ঝুলিয়ে পোশাক পরিধান করা। ● মুসলিম শাসকের সাথে কৃত বাইআত বা আনুগত্যের শপথ ভঙ্গ করা। ● ডাকাতি করা। ● চুরি করা। ● সুদ লেন-দেন করা, সুদ লেখা বা তাতে সাক্ষী থাকা। ● ঘুষ লেন-দেন করা। ● গনিমত তথা জিহাদের মাধ্যমে কাফেরদের নিকট থেকে প্রাপ্ত সম্পদ বণ্টনের পূর্বে আত্মসাৎ করা। ● স্ত্রীর পায়ু পথে যৌন ক্রিয়া করা। ● জুলুম-অত্যাচার করা। ● অস্ত্র দ্বারা ভয় দেখানো বা তা দ্বারা কাউকে ইঙ্গিত করা। ● প্রতারণা বা ঠগ বাজী করা। ● রিয়া বা লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে সৎ আমল করা। ● স্বর্ণ বা রৌপ্যের তৈরি পাত্র ব্যবহার করা। ● পুরুষের রেশমি পোশাক এবং স্বর্ণ ও রৌপ্য পরিধান করা। ● সাহাবীদের গালি দেয়া। ● নামাযরত অবস্থায় মুসল্লির সামনে দিয়ে গমন করা। ● মনিবের নিকট থেকে কৃতদাসের পলায়ন। ● ভ্রান্ত মতবাদ জাহেলী রীতিনীতি অথবা বিদআতের প্রতি আহবান করা। ● পবিত্র মক্কা ও মদীনায় কোন অপকর্ম বা দুষ্কৃতি করা। ● কোন দুষ্কৃতিকারীকে প্রশ্রয় দেয়া। ● আল্লাহর ব্যাপারে অনধিকার চর্চা করা। ● বিনা প্রয়োজনে তালাক চাওয়া। ● যে নারীর প্রতি তার স্বামী অসন্তুষ্ট। ● স্বামীর অবাধ্য হওয়া। ● স্ত্রী কর্তৃক স্বামীর অবদান অস্বীকার করা। ● স্বামী-স্ত্রীর মিলনের কথা জনসম্মুখে প্রকাশ করা। ● স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিবাদ সৃষ্টি করা। ● বেশী বেশী অভিশাপ দেয়া। ● বিশ্বাস ঘাতকতা করা। ● অঙ্গীকার পূরণ না করা। ● আমানতের খিয়ানত করা। ● প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়া। ● ঋণ পরিশোধ না করা। ● বদ মেজাজি ও এমন অহংকারী যে উপদেশ গ্রহণ করে না। ● কুফুরি কালাম দারা তাবিজ-কবজ, রিং, সুতা ইত্যাদি ঝুলানো। ● ভেজাল পণ্য বিক্রয় করা। ● ইচ্ছাকৃত ভাবে জেনে শুনে অন্যায় বিচার করা। ● আল্লাহ বিধান ব্যতিরেকে বিচার-ফয়সালা করা। ● দুনিয়া কামানোর উদ্দেশ্যে দীনী ইলম অর্জন করা। ● কোন ইলম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে জানা সত্যেও তা গোপন করা। ● নিজের পিতা ছাড়া অন্যকে পিতা বলে দাবী করা। ● আল্লাহর রাস্তায় বাধা দেয়া। (সম্পাদিত+সংরক্ষিত) 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

কাবীরা এর আভিধানিক অর্থ বড়। গুনাহ দুই প্রকার কবীরা গুনাহ ও সগীরা গুনাহ। শরীআতের পরিভাষায় আল্লাহ ও তার রাসূল যে সকল কাজ করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন এবং সে সকল কাজের জন্য শাস্তির বিধান অথবা আল্লাহর রাগের কথা ঘোষণা রয়েছে, তাকে কবীরা গুনাহ বলা হয়। কবীরা গুনাহের আর কোন প্রকার নেই। তবে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি কি তোমাদেরকে বৃহত্তম কবীরা গুনাহ সম্পর্কে অবহিত করব না? সাহাবীগণ বললেন, অবশ্যই বলবেন, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেন, আল্লাহর সাথে শিরক করা। (সহিহ বুখারি, হাদিসঃ ৫৯৭৬; সহিহ মুসলিম, হাদিসঃ ৮৭)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
HMMOBAROKBD

Call

ওলামায়ে কেরাম গুনাহকে দু’ভাগে ভাগ করেছেন। কবীরা গুনাহ ও সগীরা গুনাহ। কবীরা গুনাহের ব্যাখ্যা ক্ষেত্রে একাধিক মত রয়েছে। তন্মোধ্যে একটি হল, যে সব গুনাহ তাওবা ছাড়া মাফ হয় না; তা কবীরা  গুনাহ আর যা তাওবা ছাড়া যে কোন নেক আমলে মাফ হয় তা সগীরা গুনাহ। আবার কেউ বলে, যে গুনাহের ক্ষেত্রে পবিত্র কুরআনুল কারীমে শক্ত ধমক দেওয়া হয়েছে বা তাতে লিপ্ত ব্যক্তির জন্য কঠিন শাস্তির কথা বলা হয়েছে তা কবীরা গুনাহ আর যাতে বলা হয়নি তা সগীরা গুনাহ। মনে রাখতে হবে, সগীরা গুনাহে বারংবার লিপ্ত হলে তা কবীরা গুনাহে রূপ ন্যায়। তাই যথা সম্ভব সগীরা গুনাহ থেকেই বেচেঁ থাকতে হবে। কবিরাহ গোনাহের কোন প্রকারভেদ নেই! তবে তালিকা দেওয়া যায়!যা হিজবুল্লাহ ভাই সুন্দর ভাবে ও বিশদভাবে দিয়েছে!

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ