আমি একটি বিষয় নিয়ে চিন্তিত। আমাদের বাড়ির সমানে একটি ছোট মসজিদ আছে। যেখানে ওয়াক্কিতিয়া নামাজ পড়া হয়।কোনো জুমার নামাজ পড়া হয় না।কিন্তু মসজিদ টিতে কয়েক মাস ইমাম না থাকায় কিছু মুরব্বি ইমামতি করতো ।তাদের তেলাওয়াত সম্পূর্ণ অশুদ্ধ হওয়ায় আমি আমাদের সমাজের জুমা মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তাম।কিন্তু আমি নিজের বাড়ির মসজিদ ফেলে অন্য মসজিদে যায় বলে অনেকে বলে এতে নাকি আমার গুনাহ হবে।কেননা আমাদের বাড়ির মসজিদটিতে মুসল্লি খুব কম হয়।আবার অনেকে বলে জুমা মসজিদে নামাজ পড়লে নাকি সওয়াব বেশি পাওয়া যায়। এখন আমাদের বাড়ির মসজিদে ইমাম রাখা হয়েছে।আমি এখন সেখানে নামাজ পড়ি।আগের থেকে এখন তুলনামুলক মুসল্লি বেশি হয়। কিন্তু আমার বাড়ির মসজিদটিতে নামাজ পড়তে ইচ্ছে হয় না।দীর্ঘদিন জুমা মসজিদে নামাজ পড়ার কারণে মসজিদের প্রতি একটা টান সৃষ্টি হয়েছে। আগে যখন জুমা মসজিদে নামাজ পড়তাম তখন এক ওয়াক্ত নামাজ মিস হলে অনেক আপসোস লাগতো। কিন্তু এখন আপসোস হয়না।কেমন জানি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি। জুমা মসজিদ টি আমাদের বাড়ি থেকে একটু দূরে তবে বেশি না।যেহেতু মসজিদ দূরে সেহেতু একটু তাড়াতাড়ি গিয়ে সুন্নত পড়ার একটা তাগিদ থাকতো।এখন বাড়ির সামনের মসজিদে নামাজ পড়ায় বরাবর টাইমে গিয়ে নামাজ পড়ি যেটা আমার পছন্দ না।মোট কথা আমার জুমা মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে ভালো।কিন্তু বাড়ির সামনের মসজিদে নামাজ পড়তে ভালো লাগে না। কেননা জুমা মসজিদ টি অনেক বড়,খোলামেলা,টাইলস করা,অনেক পরিষ্কার।যেহেতু এটা সমাজের জুমা মসজিদ। জুমা মসজিদটি ও আমাদের কেননা সেখানে আমাদের বেতন দিতে হয়।এখন আমার কথা হচ্ছে আমি যদি জুমা মসজিদে নামাজ পড়ি তাহলে কি আমার সওয়াব বেশি হবে নাকি নিজের বাড়ির মসজিদ ফেলে অন্য মসজিদ মানে আমার জুমা মসজিদে নামাজ পড়ি বলে গুনাহ হবে?
আমার প্রশ্নটি বিস্তারিত পড়ে শরিয়তের আলোকে উওর দিবেন(নিজের মনগড়া উওর দিবেন না)