HMMOBAROKBD

Call

রাসুল (সা.) দাড়ি ছেড়ে দিতে বলেছেন। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা দাড়ি ছেড়ে দাও।’ তিনি নিজে দাড়ি ছেড়ে দিয়েছেন। আয়েশা (রা.) হতে হাদিস বর্ণিত, তিনি এতটুকু দাড়ি ছেড়ে দিয়েছেন যে তার কণ্ঠ মুবারক দেখা যেত না। দাড়ি লম্বা করে ছেড়ে দিয়েছেন। আল্লাহর রাসুল এক মুষ্ঠির কথা বলেননি। এক মুষ্ঠির বিষয়টি এসেছে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) হজ বা ওমরাহ করার পরে তিনি মোটামুটি দাড়ি এক মুষ্ঠি রাখতেন। এটি আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে একটি হাদিস এসেছে। মূল বিধান হলো, দাড়ি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আমাদের সমাজে প্রচলন আছে যে দাড়ি রাখাটা সুন্নত। নবী (সা.) রেখেছেন এ কারণে সুন্নত হতে পারে, কিন্তু দাড়ি রাখা তো নির্দেশনামূলক। নির্দেশনা আসার কারণে এটি ওয়াজিব হয়ে গেছে। আর কতটুকু দীর্ঘ রাখতে হবে, সেটি ওমর (রা.)-এর বর্ণিত হাদিস থেকে আমরা জানতে পারলাম। রাসুল (সা.) যেহেতু দাড়ি ছেড়ে দিয়েছেন, তাই ছেড়ে দিতে হবে। শেভ করা যাবে না, মুণ্ডন করা যাবে না। ★বর্তমান যামানায় দাঁড়ির মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল পরিত্যাগ করার জন্য যৎসামান্য অজুহাতও একটি বাহানারূপে দাড়িয়ে যায়। আর আমল করার জন্য - শক্তিশালী থেকে শক্তিশালী প্রমান, মজবুত থেকে মজবুত দলীল এবং কঠোর থেকে কঠোরতর সতর্কাবলীও নিস্ফল হয়ে যায়। এর একমাত্র কারণ শয়তানের প্রভাব। বাহ্যিক সৌন্দর্য্য ও শরীরকে পরিপাটি করে রাখা মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি বা প্রেরণা। ইসলামী শরিয়ত উক্ত প্রেরণা বা প্রকৃতিকে ধামাচাপা না দিয়ে বৈধ সাব্যস্ত করে বাহ্যিক সৌন্দর্য্য এবং অভ্যন্তরীন সৌন্দর্যের উত্তমতার সনদ প্রদান করেছে। কোন কাজ শরীয়ত মোতাবেক হওয়ার চারটি মাধ্যম হতে পারে। (১) নবী (সাঃ) কর্তৃক উত্তমরুপে সাব্যস্ত হওয়া (২) তাঁর মহান চরিত্ররুপে বর্ণিত হওয়া। (৩) কোন কাজের ব্যাপারে উৎসাহী বাক্য উচ্চারিত হওয়া। (৪) কোন কাজের ব্যাপারে স্পষ্ট নির্দেশ বা নিষেধ ঘোষিত হওয়া। মুসলীম শরীফের হাদীসে বর্ণিত, হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) বলেন, দাড়ি বৃদ্ধি করা স্বভাবজাত প্রেরণা। দাঁড়ির অস্তিত্ব আসল, মুন্ডন নয় অর্থাৎ দাঁড়ি কামানো নয়। তাই, দাড়ি রাখার ইচ্ছা এবং আগ্রহ প্রতিটি মুসলিমের শিরায় শিরায় প্রোথিত থাকার কথা। কোন বাহ্যিক বা অস্বাভাবিক শক্তির আলোকে তাকে অহেতুক বলা হয়নি। দাড়ি রাখা আল্লাহপাকের বিধান বিধায় এরজন্য কোন বিশেষ কার্যকরণ, শিক্ষণ প্রশিক্ষণ বা অন্য কোন দলীল প্রমানের প্রয়োজন নেই। শুধু স্বভাবের বিশুদ্ধতাই যথেষ্ট। স্বভাব সুস্থ্য হলে, তাতে অসুস্থ্য প্রবণতা দেখা না দিলে, তার অভ্যন্তরীন প্রেরণাই প্রত্যেকের দাড়ি রাখার জন্য যথেষ্ট হতে পারে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ