কাউকে ঠকালে কি নিজেকে ঠকতে হয়। উদাহরণসহ বুঝিয়ে দিন। (একটা মেয়ে আমার অনেক টাকা নিয়েছে, ভালবাসা নিয়ে ছলনা করেছে, কিন্তু আমি তাকে ভালবেসেছি এবং কখনো ঠকাইনি, কিন্তু সে আমাকে ঠকিয়েছে আর অনেক কষ্ট দিয়েছে আমাকে, এর ফলে সে কি কোন কষ্ট পাবে না বা ঠকবে না। তখন কি সে নিজের ভুল বুঝতে পারবে।)
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
RushaIslam

Call

কাউকে ঠকালে সব সময়ই নিজেকে ঠকতে হয়।অন্যকে ঠকানোর সাধ্য কিন্তু মানুষের নেই,যারা অন্যকে ঠকায়,তারা নিজেরা নিজেদেরকে ঠকায়। তারা নিজেদের কে অনেক বুদ্ধিমান মনে করে। আসলে তারা বুদ্ধিমান না বরং তারা অনেক বোকা মানুষ। ধরুনঃ আমি একজনকে খুব ভালবাসি,খুবই। কিন্তু নিজের প্রয়োজনে আমাকে ব্যবহার করলো,আমায় কষ্ট দিয়ে চলে গেলো। তাতে আমি কষ্ট পেলেও তা সামলিয়ে নিয়ে এগিয়ে  চললাম। কিন্তু জীবনের কোনো এক সময় সেই ব্যক্তি অবশ্যই কারোর কাছ থেকে কষ্ট পাবেই,এটা পরীক্ষিত। এক আয়াতে আল্লাহতায়ালা বলেন, তারা যদি তোমাকে ধোঁকা দিতে চায়, তবে আল্লাহই তোমার জন্য যথেষ্ট। তিনিই নিজ সাহায্যে মুমিনদের দ্বারা তোমাকে শক্তিশালী করেছেন।–সূরা আনফাল : ৬২। অতএব, ইসলামে ধোঁকা ও প্রতারণার কোনো স্থান নেই। নবী করীম (সা.) ধোঁকা ও প্রতারণাকারী সম্পর্কে কঠোর বাক্য উচ্চারণ করেছেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ধোঁকাবাজ ও প্রতারণাকারী জাহান্নামে যাবে। -বায়হাকি। কাজেই ধোঁকাবাজ রা একদিন নিজেকের শাস্তি নিজেরাই পেয়ে যাবে। এটাই সত্যি। আমরা জানি,ইসলামের মধ্যে সবচেয়ে নিবিড় বন্ধন একটাই, সেটা হলো বিয়ের বন্ধন,সুতরাং বিয়ের আগে প্রেম করাটা ইসলামে নিষিদ্ধ।তবে আপনার বর্ণিত ব্যাপার অনুসারে বলতে পারি,প্রতারণাকারী অবশ্যই একদিন এর ফল ভুগবেই।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ