আপনার এরকম হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে। যেমন:১.**ডায়াবেটিস: রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া হচ্ছে ডায়াবেটিস। বারবার পানির পিপাসা ও মুখ শুকিয়ে যাওয়া, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, শরীর দুর্বল লাগা, ওজন কমে যাওয়া, দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া এবং সকালের প্রথম প্রস্রাব একটি স্বচ্ছ পাত্রে রেখে রোদে দিলে যদি ৪ ঘণ্টার মধ্যে তলানিতে (প্রায় ৭০ ভাগ) জমে, তবে বুঝতে হবে এটি ডায়াবেটিসের লক্ষণ।
২. অ্যানিমিয়া: শরীরে রক্তের অভাব দেখা দিলে অনেক সময় পানি তেষ্টা খুব বেড়ে যায়। এ ধরনের পরিস্থিতি দেখা দিলে শরীর, কমে যাওয়া রক্তের ঘাটতি মেটানোর চেষ্টা করে। যে কারণে শরীরে পানির অভাব দেখা দেয় এবং তেষ্টা বেড়ে যায়।
৩. ডিহাইড্রেশন: অতিরিক্ত পিপাসা লাগা। মুখ শুকিয়ে যাওয়া এবং জিহ্বা ভারী হয়ে ফুলে উঠা। শারীরিক দুর্বলতা। মাথা ঘোরা। অনিয়মিত হৃদস্পন্দন ।বুক ধরফর করা।প্রসাবের পরিমাণ কমে যাওয়া।প্রসাবের রঙ গাঢ় হলুদ বর্ণের হওয়া।বিভ্রান্তি বা অসামঞ্জস্যপূর্ণ মানসিক আচরণ।খিঁচুনি কিংবা জ্ঞান হারানো।
তাই যে কারণেই হোক না কেন প্রাথমিক অবস্থায় সেলাইন, পরিমিত পরিমাণে ঘুম এবং বিশ্রাম নিয়ে দেখুন। যদি না কমে অবশ্যই ভালো কোনো বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
এটির সবথেকে বড় কারণ হল ডিহাইড্রেশন। ডিহাইড্রেশনের ফলে দেহে পানি ঘাটতি হলে বারবার পিপাসা লাগতে পারে।এছাড়া রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পেলে কিডনির ওপর প্রবল চাপ পড়ে এবং শরীরে পানির স্বাভাবিক মাত্রা কমে যায়,ফলে বারবার পিপাসা লাগতে পারে। এছাড়া আরো অনেক শারীরিক সমস্যা যেমন ঠোঁটের মিউকাস মেমব্রেন ড্রাই হয়ে গেলে,ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ ইত্যাদি কারণেও এটি হতে পারে।অনেকসময় ইউরিন ইনফেকশন এবং কিডনির জটিলতা বৃদ্ধি পেলেও এটি হতে পারে।আপনি প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ গ্লাস পানি খাবেন এবং প্রতিদিন একটি করে ডাবের জল গ্লাসে ভরে খাবেন।ফল ও শাক সবজি খাবেন,কারন ফল, শাক-সবজিতেও কিছুটা পরিমাণ পানি থাকে।