আসসালামু আলাইকুম,

আমার এক সৎ নানি বয়স ৪৫ হবে, তিনি দাবি করেন যে তার কাছে জিন আছে,ওনার জিনেরা নদীতে পানির নিচে  বাস করে, জিনেরা মুহূর্তের মধ্যে সিঙ্গাপুর দুবাই  সহ সবখানে যাওয়া আসা করতে পারে, আবার জিনেরা নানির শরীরে অবস্থান কালে নানি যা পানাহার করেন (বিড়ি সহ)  সব নাকি জিনেদের পেটে চলে যায়,  কিন্তু আমার কেন যেন মনে হচ্ছে উনি ভন্ড..? 


উনি জিনের নাম ব্যবহার করে গ্রামের মানুষদের ঠকাচ্ছে কিনা 

আপনার মতামত জানালে  উপকৃত হতাম,


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

আলহামদুলিল্লাহ।

জিনের সাথে কথা বলা সম্ভব। তবে গায়েবী বিষয় ও মানুষের অন্তরের বিষয় জানানো ইলমুল গায়ব দাবী করার নামান্তর; যা হারাম। যারা কুরআনের কিছু আয়াত ও শব্দ ব্যবহার করে জিন বশ করে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাদের মাধ্যমগুলো শরিয়তে নিষিদ্ধ। জিনকে ব্যবহার করা সোলাইমান (আঃ) এর বৈশিষ্ট। এ কারণে যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নামাযের মধ্যে যে জিন প্রভাবিত করতে চাইছিল এবং তিনি তাকে বন্দি করার মনস্থ করছিলেন তখন তিনি সোলাইমান (আঃ) এর দুআর কথা স্মরণ করলেন এবং তাকে ছেড়ে দিলেন।

তাই এ সকল লোকদেরকে নসীহত করা কর্তব্য; যদি তারা নসীহত গ্রহণ করে তাহলে ভাল। নচেৎ তাদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করা ও কথা না বলা নিরাপদ।

আহলে কিতাব হচ্ছে ইহুদী ও নাসারাগণ।

যদি কোন চেষ্টা তদবির ছাড়া জিনদের সাথে আপনার কথা হয়ে থাকে তাহলে তাদের সাথে কথা বলতে কোন বাধা নেই। বরং তাদেরকে আল্লাহর দ্বীনে ও শরিয়ত মেনে চলার দাওয়াত দেয়া মুস্তাহাব; যেভাবে মানুষকে দাওয়াত দেয়া হয়। এ সম্পর্ক কোন বইপুস্তক পড়ার উপদেশ দেয়া ঠিক নয়। এবং এ উদ্দেশ্যে কুরআন পড়াও ঠিক নয়। কারণ কুরআন এসব উদ্দেশ্যে নাযিল হয়নি। বরং কুরআন নাযিল হয়েছে মুসলমানের জীবনাদর্শ হওয়ার জন্য। মুসলমান কুরআনের আদেশ-নিষেধ মেনে চলার মাধ্যমে কুরআনের অনুসরণ করবে।

আর ফেরেশতাগণকে দেখা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও অন্যান্য নবীগণ কর্তৃক সংঘটিত হয়েছে। কিছু কিছু ওলিও ফেরেশতাদের সাথে কথা বলেছেন। যেমনটি ইমরান ইবনে হুসাইন (রাঃ) এর ব্যাপারে বর্ণিত আছে ফেরেশতারা তাঁকে সালাম দিত। এক পর্যায়ে তিনি ছ্যাক দিয়ে চিকিৎসা নিলে ফেরেশতাদের সালাম দেয়া বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তিনি ছ্যাক দেয়া বন্ধ করে দেন এবং পুনরায় সালাম দেয়া শুরু হয়।

আল্লাহই ভাল জানেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ