Call

শরিয়ত অনুসারে এ বিয়ে কবুল হবে না আবশ্যই দুজনের মতামত নিতে হবে এবং তাদের কবুল বলার মাধ্যমে বিয়ে হবে। তাই বলা যায় উক্ত বিয়ে হয় নাই, তারা যদি সহবাস করে তাহলে কিয়ামতের দিন আল্লাহ দরবারে যেনা কারের কাতারে দাড়াতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

অকুমারী মহিলাকে তার সুস্পষ্ট অনুমতি ব্যতিরেকে বিবাহ দেওয়া যাবে না। আর যেহেতু মেয়ে কবুল বলেনি তাই এই বিবাহ বৈধ হয়নি। আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, অকুমারী মহিলাকে তার সুস্পষ্ট অনুমতি ব্যতিরেকে বিবাহ দেওয়া যাবে না। কুমারী মহিলাকেও তার সম্মতি ব্যতিরেকে বিবাহ দেওয়া যাবে না। আর চুপ থাকাই তার সম্মতি। (সূনান তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১০৭ হাদিসের মানঃ সহিহ)। এতদানুসারে আলিমগণের আমল রয়েছে যে তারা বলেন, সুস্পষ্ট ভাবে না বলা পর্যন্ত অকুমারী মহিলার বিবাহ হতে পারে না। যদিও তার পিতা তার অনুমতি ব্যতিরেকে তার বিবাহ দিয়ে দেয় এবং সে তা অপছন্দ করে তবে অধিকাংশ উলামার মতে, তার এ বিবাহ বাতিল হবে। পিতা অনুমতি গ্রহণ না করে কুমারী কন্যাকে বিবাহ প্রদানের বিষয়ে আলিমগণের মতবিরোধ রয়েছেঃ কুফাবাসী এবং অপরাপর অধিকাংশ আলিমের মতে পিতা যদি তার সাবালিকা কুমারী কন্যাকে সম্মতি না নিয়ে বিয়ে দিয়ে দেয় আর সে পিতৃপ্রদত্ত এই বিয়েতে সন্তুষ্ট না হয় তবে এই বিবাহ বাতিল হয়ে যাবে। মদীনাবাসী কোন কোন আলিম বলেন, কুমারী কন্যা অমত হলেও তাকে পিতা বিয়ে দিয়ে দিলে জায়েজ হবে। যদি কোন পিতা তার বালিগা কুমারী মেয়েকে তার বিনা অনুমতিতে বিবাহ দেয় এই বিষয়ে ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈকা কুমারী মেয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমাতে উপস্থিত হয়ে অভিযোগ পেশ করে যে, তার পিতা তাকে এমন এক ব্যাক্তির সাথে বিবাহ দিয়েছে, যে তার অপছন্দ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ ব্যাপারে তাকে ইখতিয়ার প্রদান করেন। সে রাখতেও পারে অথবা বিচ্ছেদও ঘটাতে পারে। (সূনান আবু দাউদ হাদিস নম্বরঃ ২০৯২ হাদিসের মানঃ সহিহ)।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ