"বাংলা নববর্ষ "রচনাটি নিম্নোক্ত প্যারাগুলো দিন।।।


 রচনা:বাংলা নববর্ষ 

  •  ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের নববর্ষ উদযাপন 
  • দিন বদলের পালায়
  • পান্তা ইলিশ 
  • উপসংহার  ( একটি সুন্দর কবিতা দিলে ভালো হয়,না দিলে সমস্যা নেই)
  • প্লিজ প্যারাগুলো সুন্দর করে লিখে দিন।নেট থেকে সাহায্য নিলেও হুবহু কপি করবেন না।কোন বই থেকে সাহায্য নিয়ে,নিজ থেকে সুন্দর করে লিখে দিন। তাহলে খুবই উপকৃত হবো।।।।

শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
RushaIslam

Call

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের নববর্ষ উদযাপন:  ইউনেস্কো মঙ্গল শোভাযাত্রাকে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টিকে গুরুত্বারোপ করে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় পহেলা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়য়।বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে। বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, বাংলা একাডেমি, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর, জাতীয় আর্কাইভ ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটসমূহ, বিসিক ও ছায়ানট নানা অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে।। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউ-েশন এবং বাংলা একাডেমি ও বিসিক ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী মেলার আয়োজন করে। সকলের পাশাপাশি  ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের নববর্ষ উদযাপন কিছুটা ব্যতিক্রম ধর্মী হয়।প্রতিবছর তারা বৈসাবি বা বিষু উৎসবের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকে। পুরোনো বছরের বিদায় এবং নতুন বছরকে বরণ উপলক্ষে পার্বত্য এলাকায় তিন দিনব্যাপী বর্ষবরণ উৎসব হচ্ছে প্রাচীনকাল থেকে। এ সময় জাতিগতভাবে থাকে না তাদের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব। এ বর্ষবরণ উৎসবকে ত্রিপুরারা ‘বৈসু’, মারমারা ‘সাংগ্রাই’ এবং চাকমারা ‘বিজু’ ও তঞ্চঙ্গ্যারা ‘বিষু’ বলে অভিহিত করলেও পুরো পার্বত্য জেলায় তা ‘বৈসাবি’ নামেই পরিচিত। বিশিষ্টজনরা বলে থাকেন, ‘বৈসাবি অহিংসার প্রতীক, বন্ধুত্বের প্রতীক এবং মৈত্রীর সুদৃঢ় বন্ধন। দিন বদলের পালায়: পয়লা বৈশাখ বাংলার জনসমষ্টি অতীতের সুখ-দুঃখ ভুলে গিয়ে নতুনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ওঠে। জানে এ নতুন অনিশ্চিতের সুনিশ্চিত সম্ভাবনায় পরিপূর্ণ।আমাদের জীবনেতিহাসের সার্বিক পটভূমিতে এ দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। আমাদের জাতীয় চেতনা অর্থাৎ বাঙালি সত্তার সঙ্গে পহেলা বৈশাখের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়।উৎসবে যেখানে একদা হৃদয়-আবেগের প্রাধান্য ছিল, ছিল প্রীতিময় আন্তরিকতা, আজ কৃত্রিমতা তাকে গ্রাস করেছে। সেখানে হৃদয়হীন আচার-অনুষ্ঠানের মাতামাতি। চোখ-ঝলসানো চাকচিক্য আজ উৎসবের বৈশিষ্ট্য। নাগরিক সভ্যতার যান্ত্রিকতা আজ আমাদের হৃদয়-ঐশ্বর্য লুণ্ঠন করেছে। নির্বাসিত করেছে শুষ্ক, নিষ্প্রাণ জড়জগতে। উৎসবে তাই আজ আমাদের হৃদয়-দৈন্যের নগ্নতা।উৎসবের মহতী কল্যাণী রূপটি তাই আজ আমাদের কাছে অনুদ্ভাসিত। নববর্ষের উৎসব-অনুষ্ঠানেও আজ আন্তরিক প্রীতির অনেক অভাব। মাইকে চটুল গানের বাড়াবাড়ি। সেখানেও উল্লাস মত্ততার চিত্র। সেখানে আমাদের হৃদয়-সংকুচিত, আমাদের দ্বার রুদ্ধ। পান্তা ইলিশ: পহেলা বৈশাখে এক শ্রেণির বিত্তবান মানুষের মাঝে পান্তা-ইলিশ খাওয়ার বিলাসিতা লক্ষ করা যায়। নববর্ষের মুখে বাজারে ইলিশ এখন উত্তাপ ছড়াচ্ছে। প্রতি বছর এমনটিই হয়। বিক্রেতারা ইলিশের দাম হাঁকাচ্ছেন ইচ্ছামতো। চড়ামূল্যে তা বিকাচ্ছেও। এক শ্রেণির ক্রেতার কিচেনে এবং বড় বড় হোটেল-রেস্তোরাঁয় সরাসরি পৌঁছে যাচ্ছে শখের ইলিশ। এই পান্তা ইলিশ পাওয়া যায় রমনায় কিংবা ছায়ানট এ।আমাদের গ্রামীণ সমাজে এক সময় পান্তার চল ছিল। রাতের উদ্বৃত্ত ভাতে জল ঢেলে রাখা হতো যেন পচন না ধরে। খুব ভোরে কৃষক কাঁচা লঙ্কা আর পিঁয়াজ সহযোগে পান্তা খেয়ে মাঠে যেতেন হাল চাষ করতে। মূলত গ্রামীণ সভ্যতা থেকেই এটি চালু হয় যা বর্তমান। উপসংহার :বৈশাখী মেলা বাংলা নববর্ষের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ও সর্বজনীন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাঙালি সংস্কৃতির পরিচয়, অভ্যাস ও বিবর্তন এ মেলায় পরিপূর্ণভাবে প্রকাশ পায়। জাতীয় দিক থেকে বিশ্বের কাছে আপন সংস্কৃতির মৌলিকত্ব তুলে ধরতেও এ মেলা আদর্শ।কবি বলেছেন:        "এলো নববর্ষ শুভ নববর্ষ রৌদ্রদগ্ধ দূর দিগন্ত বলছে আজ। এলো নববর্ষ পুষ্প নিবিড় এই উদ্যান বলছে আজ। হৃদয়ে জড়ানো চৈতি স্মৃতির কান্না দৃষ্টিতে জ্বলে জীবন রাঙানোর পান্না জীবন দৃপ্ত ধূধূ প্রান্তর বলছে আজ ॥ কবি-চোখের মতো সন্ধানী চোখ বলে সারা বিশ্বের মঙ্গল হোক।"

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ