"ছাত্রজীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য" এই  রচনাটির  2 টি প্যারা লিখে দিন।

  • স্বাবলম্বন
  • উপসংহার(এই প্যারায় একটি সুন্দর কবিতা দিলে ভালো হতো,না দিলে সমস্যা নেই)
  • দয়া করে লিখে দিন,খুব দরকার।লিখে দিলে খুবই কৃতজ্ঞ থাকব। ~ অগ্রিম ধন্যবাদ।।।।।।

শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

ছাত্রজীবনে স্বাবলম্বন: ছাত্রজীবনই হল স্বাবলম্বন শক্তি অর্জনের যথার্থ ক্ষেত্র। স্বাবলম্বনই ছাত্রজীবনে সাফল্যের সোপান। শুধুমাত্র চর্বিত-চর্বণ করে বা পরনির্ভরশীল হয়ে কখনও স্বাধীন চিন্তাশক্তিকে বিকশিত করা সম্ভব নয়। পঠিত বিষয় সম্পর্কে মৌলিক চিন্তাশক্তির জাগরণ ঘটায় স্বাবলম্বন-শক্তি। এই সময়ই প্রয়োজন স্বাবলম্বন-শক্তি অনুশীলন। মানুষ জীবনের প্রভাতে যে দুর্লভ গুণাবলি আয়ত্তের সাধনা করে, পরবর্তী জীবনে তারই সিদ্ধি। শিশু যেমন স্ব-চেষ্টায় চলার শক্তি সংগ্রহ করে, যেমন করে সে খেতে শেখে, রপ্ত করে কথা বলার কলাকৌশল, সেভাবেই মানুষকে ছাত্রাবস্থায় স্বাবলম্বন- শক্তিকে জাগ্রত করতে হয়। প্রথম থেকেই উপলব্ধি করতে হবে, সে মানুষ। তার মধ্যেই নিহিত আছে সৃষ্টি সর্বশ্রেষ্ঠ প্রকাশ। তারই মধ্যে সুপ্ত আছে অসীম অনন্ত শক্তি। স্বাবলম্বন সেই সুপ্তশক্তিরই জাগরণমন্ত্র। শৈশবই সেই পূজা-দেবী। তা না হলে ভবিষ্যৎ জীবনে তিলে তিলে ব্যর্থতা, হতাশায় মৃত্যু-বরণের দুঃসহ জ্বালা।

উপসংহারঃ দেশ ও জাতি সৎ, চরিত্রবান, নিয়মনিষ্ঠ, কর্তব্যপরায়ণ, সৌজন্যবোধসম্পন্ন পরিশ্রমী ছাত্রসমাজের কামনা করে। সাম্প্রতিককালে ছাত্রসমাজ আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে বিভিন্ন ধরণের অপরাধমূলক কাজ করছে। ছাত্র-রাজনীতির নামে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে। যা দেশ ও জাতির কাছে মোটেও কাম্য নয়। এভাবে চলতে থাকলে জাতি শেকড়হীন হয়ে পড়বে। তাই ছাত্রসমাজের উচিত তাদের প্রকৃত আদর্শে আলোকিত হওয়া। যে শিক্ষা ও মূল্যবোধ ছাত্ররা অর্জন করে ভবিষ্যতে তা পরিপূর্ণ ভাবে কাজে লাগানো, ছাত্রদের প্রকৃত উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।  


আর ভূমিকার জন্য এই কবিতা লিখতে পারেন :

আমরা শক্তি আমরা বল, 
আমরা ছাত্রদল 
মোদের পায়ের তলায় 
মূর্ছে তুফান ঊর্ধ্বে বিমান ঝড়-বাদল, 
আমরা ছাত্রদল।
কাজী নজরুল ইসলাম
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ