আমাকে "বিজয় দিবস" এই রচনার জন্য নিম্নোক্ত প্যারাগুলো বা রচনার পয়েন্টগুলো লিখে দিন....

রচনার নাম:বিজয় দিবস

প্যারার নাম:

  • আত্নসমীক্ষা 
  • বিজয় দিবসে ভোরের কর্মসূচি 
  • বিজয় দিবসে সরকারি কর্মসূচি 
  • উপাসনালয়ে প্রার্থনা  (এখানে বিজয় দিবসে আমরা প্রভুর নিকট কী প্রার্থনা করি তা লিখবেন)
  • আমাকে এই প্যারাগুলো লিখে দিন....একটি প্যারায় 6-8 লাইন দিলেও চলবে। তাও সুন্দর করে লিখে দিন,,,প্লিজ প্লিজ প্লিজ লিখে দিন,,,,,,খুব দরকার..... .......

শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
RushaIslam

Call

অনেক কষ্টে লিখলাম ভাইয়া :-( *আত্নসমীক্ষাঃবিজয় দিবস বাঙালির জাতীয় জীবনের এক আশ্চর্য অনুভূতিময় আনন্দ-বেদনার শিহরিত এক উজ্জ্বল দিন। বাংলাদেশের ইতিহাসের এ এক লাল তারিখ।প্রতি বছর গৌরবের বিজয় দিবস আসে নতুন সম্ভাবনা নিয়ে। এ দিনটি আমাদের জন্য একটি আত্মসমীক্ষার দিনও বটে।মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত মূল্যবোধ রক্ষায় আরও যতবান হতে হবে। সেক্ষেত্রে অর্থনৈতিক অগ্রগতির পাশাপাশি গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সবার চাই সুস্পষ্ট অঙ্গীকার। জনগণের সক্ষমতা অর্জনে বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের রাজনৈতিক শক্তিকে। বিভেদ-বিভক্তি ভুলে উন্নয়নের পথে জাতি ঐক্যবদ্ধ হোক তবেই বিজয় হয়ে উঠবে অর্থবহ। স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ অক্ষয় ও অমর হোক।   *বিজয় দিবসে ভোরের কর্মসূচি ঃ বিজয় দিবস উপলক্ষে উপলক্ষে প্রতি বছর বাংলাদেশে দিবসটি যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য এবং বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে পালিত হয়। ১৬ই ডিসেম্বর ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা ঘটে। জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে অনুষ্ঠিত সম্মিলিত সামরিক কুচকাওয়াজে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌবাহিনী এবং বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সদস্যরা যোগ দেন। কুচকাওয়াজের অংশ হিসেবে সালাম গ্রহণ করেন দেশটির প্রধান মাননীয় রাষ্ট্রপতি কিংবা প্রধানমন্ত্রী। এই কুচকাওয়াজ দেখার জন্য প্রচুরসংখ্যক মানুষ জড়ো হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের অংশ হিসেবে ঢাকার অদূরে সাভারে অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মী, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে থাকেন।বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ জাতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, চলচ্চিত্র, কবিতা, নিবন্ধ, গণমাধ্যম ইত্যাদি বিভিন্নভাবে এই বিষয়টি ফুটিয়ে তোলা হয়। এই দিন উপলক্ষে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী জাতীয় প্যারেড স্কোয়ারে বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজের আয়োজন করে থাকে, এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান, মতবিনিময় সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। দেশের প্রধান সড়কগুলো জাতীয় পতাকা দিয়ে সাজানো হয়। এই দিনে ঢাকার সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বিশেষ সম্মান প্রদর্শন করা হয়।ভোরেই সবাই খালি পায়ে স্মৃতিসৌধে যায় ফুল প্রদানের উদ্দেশ্যে। এভাবেই দিনটির সুচনা হয়। *বিজয় দিবসে সরকারি কর্মসূচি ঃবিজয় দিবস উপলক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান, মতবিনিময় সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়,যা সরকারি কিংবা বেসরকারি দল আয়োজন করে থাকেন। এছাড়া সরকার কতৃক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যথেষ্ট নিরাপত্তা প্রদান করা হয়। *উপাসনালয়ে প্রার্থনাঃশ্রেয়োবোধ ও শুভবুদ্ধিকে আশ্রয় করে আমরা প্রতিকূল ও অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলাম।সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি প্রতিটি বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মশাল করে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে হতাশা ও নিরাশ্বাস ঠেলে, প্রত্যয়ে ও সাহসে বুক বেঁধে। পরিস্থিতির কাছে আত্মসমর্পণ না করে প্রগতি ও পরিবর্তনের ধারায় অগ্রসর হতে পারলে আমাদের শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা আমাদের জীবনে অর্থবহ হয়ে উঠুক।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ