খুব সহজ। বিড়াল এখানে প্রতীকী বলে ধরে নেন। শোষিত শ্রেণির প্রতীক। ধরেছেন? এবার আসুন কমলাকান্তের সাথে তার কথা বার্তায়। দেখবেন যে কমলাকান্তের দুধ খাওয়ার পরেই সে বিড়াল কে মারতে উদ্যত হয়। এখন ভাবেন নিজের দিক থেকে, কোন ব্যক্তি চুরি করলে তাকে না মেরে থাকেন আপনি? বা আমি? ঠিক ই তাকে মেরে উচিত শিক্ষা দিয়ে দিই আমরা। এখন বিড়াল কি বলেছিল খেয়াল করুন। তার কথায় এগুলো উঠে এসেছে - সে ক্ষুধার বশে চুরি করেছে, ইচ্ছাকৃত ভাবে নয়। - চোর সে তাতে সে মানতে রাজি, কিন্তু সে কেন চোর টা বুঝতে হবে। তার চুরির পেছনে আছে ধনী শ্রেনির কৃপণতা। - চোরের শাস্তির পূর্বে শাস্তি দিতে হবে যে ধনী, খেতে পায় কিন্তু অন্যকে দেয় না। দেখুন এইসকল বিষয় নিয়মিত ঘটছে । চোরকে মারতে আপনার আমার দেরী হয় না, কিন্তু কেও কি ভাবছি সে কেন চোর? তার চুরির পেছনে তার তীব্র ক্ষুধার কথা কেও ভাবছে না। এই নির্মম বাস্তবতা ই এই রচনাটির মূল বিষয়।