কবিঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। 
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
RushaIslam

Call

জীবনের শেষ প্রান্তে এসে প্রজ্ঞাবান কবি রবীন্দ্রনাথ তাঁর সাহিত্য সাধনার ব্যর্থতা সাফল্যের হিসেব নিকেষ করতে বসেছেন। তিনি অকপটে নিজের সাহিত্য সাধনার সীমাবদ্ধতা ও অপূর্ণতার কথা প্রকাশ করেছেন-যা রবীন্দ্র নাথের পক্ষেই শুধু সম্ভব। জীবন-মৃত্যুর নোম্যান্স ল্যাণ্ডে দাঁড়িয়ে কবি অনুভব করেছেন নিজের সংকীর্ণতা ও ব্যর্থতার স্বরূপ। কবি হৃদয় দিয়ে উপলদ্ধি করেছেন এই পৃথিবীর অনেক কিছুই তাঁর অজানা ও অদেখা রয়েগেছে। এ পৃথিবীর আয়োজন বিস্তৃত বিশাল। অথচ এ বিশাল পৃথিবীর ক্ষুদ্র এক কোণ জুড়ে ছিল তার মন। তাঁর জ্ঞানের দীনতা ছিল বলেই তিনি তা সমৃদ্ধ করার জন্য দ্বারস্থ হয়েছেন গ্রন্থের। বিভিন্নগ্রন্থ থেকে তাই তিনি ‘চিত্রময় বর্ণনার বাণী কবি ভিক্ষালব্ধ ধনের মতো’ সযতনে আহরণ করে তার কবিতাকে করেছে ঋদ্ধ। তবু এ-বিশাল পৃথিবীর সর্বত্র তিনি প্রবেশ-দ্বার তিনি খুঁজে পান নি। সভ্যতা ভর করে চলছে শ্রমজীবী মানুষের উপর। কিন্তু কবি এদের পাশাপাশি কোনো দিন যান নি। এদের থেকে দূরে সমাজের একটি উচ্চ আসনে বসেছিলেন কবি, সবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে। সেখানে বসে যে-জগৎজীবন তিনি দেখে ছিলেন, তা ছিল খণ্ডিত তথা অপূর্ণ। অথচ কবি আজ মর্মে মর্মে উপলদ্ধি করেছেন ক্ষুদ্র জীবনের সঙ্গে বৃহৎ মানব-জীবনের ঐকতানসৃষ্টি করতে না পারলে শিল্পীর গানের পশরা তথা সৃষ্টিসম্ভার ব্যর্থতায় পর্যবেশিত হয়। কবি মনে করেন বিচিত্র হরেও সর্বত্রগামী হতে পারে নি। আর এ-কারণে জীবন সায়াহ্ণে এসে রবীন্দ্রনাথঠাকুর মৃত্তিকা সংলগ্ন কবির প্রত্যাশা করেছেন। যিনি শ্রমজীবী মানুষের অংশীদার হবেন, সত্য আর কর্মের মধ্যে গড়বেন আত্মীয়তার বন্ধন।(কালেক্ট) 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ