তারাবীহ নামাজ ২০ রাকআত পড়াই উত্তম। বিতর ছাড়া ২০ রাকআত তারাবীহ সালাতের পক্ষে দলীল হলো মুসান্নাফে আঃ রাজ্জাক হতে বর্ণিত ৭৭৩০ নং হাদীস, যেখানে বর্ণিত হয়েছেঃ উমার (রাঃ) রমযানে উবাই ইবনে কাব ও তামীম আদদারীকে ইমামতিতে লোকদেরকে একুশ রাকআত সালাতের প্রতি জামাআতবদ্ধ করেছিলেন। (অর্থাৎ তারাবীহ ২০ ও বিতর ১ রাকআত)
তারাবীহ এর নামাজের রাকাআত সংখ্যার মতবিরোধের মধ্যে সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য এবং ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) সহ সার্বিক বিশ্লেষণে তারাবীহ নামাজ ২০ রাকআত পড়াই উত্তম।
শাফেয়ী মাযহাবের ইমাম তিনি বলেছেন, তিনি তারাবীহ নামাজ মক্কায় ২০ রাকআত পড়তে দেখেছেন। শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়্যা (রহঃ) বলেছেন, অধিক সংখ্যক রাকআত পড়াই উত্তম। আর যদি কেউ কম সংখ্যক রাকআত পড়তে চায় তাহলে তার উচিৎ হবে তিলাওয়াত, কিয়াম, রুকু ও সিজদা দীর্ঘ করা। তিনি আরো বলেছেন যে, তারাবীহকে রাকআত সংখ্যার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বরং সময় ব্যয়ের পরিমাণ দিয়ে মূল্যায়ন করা উচিৎ।
কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুধু ১১ রাকআতের মধ্যে ৫ ঘণ্টা সময় অতিবাহিত করেছেন। সালাতের কিয়ামে এত দীর্ঘ সময় কেটে যেত যার কারণে সাহাবীগণ লাঠির উপর ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেন।
সবশেষে ইমাম ইবনু তাইমিয়্যা (রহঃ) আরেকটি মত ব্যক্ত করে বলেছেন, সার্বিক বিশ্লেষণে তারাবীহ ২০ রাকআত পড়াই উত্তম।
আপনি তারাবির নামাজ ২,৪,৮,১২,২০ পরতে পারবেন। হাদিসে আছে নবি মুহাম্মাদ (সা) বলেছেন তোমরা তারাবির নামাজ ২ রাকাত করে পড়। তবে ২০ রাকাত পরা উত্তম। যদি আপনার কোন সমস্যা না থাকে সেই ক্ষেত্রে ২০ রাকাত পড়াই উত্তম। সমস্যা হলে আপনি ৮ রাকাত পড়তে পারবেন। তবে আলেমরা বলেন যে তাড়াতাড়ি নামাজ না পড়ে নামাজ ধীর স্থীর ভাবে পড়তে হবে।