প্রথমত জানাই যে আমি ইন্ডিয়াতে থাকি, আর আমি এখন বাইরে থাকি আর এখানে জিম চালু করেছি, আর আমার একমাত্র সমস্যা হল যে এখানকার স্থানীয় ভাষা আমার জানা নেই তাই জিমের বিষয়ে কিছু উত্তর জানার দরকার।

যারা জানেন, তারা আমার এই প্রশ্নগুলোর উত্তর নাম্বার অনুযায়ী দেওয়ার চেষ্টা করবেন দয়া করে। আমি সন্ধ্যায় জিমে যাই। আর আমার ওজন অনেক কম, তাই বাড়াতে চাই। প্রায় ১৫-২০ কেজি বাড়াতে চাই।


১. জিম যাওয়ার কতখন আগে কি খাওয়া দরকার এবং জিম থেকে আসার কতখন পরে কি খাওয়া দরকার?

২. আমরা জানি কিসমিসে অনেক ক্যালোরি থাকে, আর জিম করার সময় অনেক ক্যালোরি খরচ হয়, তাই   জিম থেকে আসার পর কয়েক মিনিট বিশ্রাম নেওয়ার পর যদি কিছু কিসমিস খাই তাহলে কেমন হবে?

৩. আর জিম করার সময় অনেক দুর্বল লাগে, তাই কোন সময় ঠিক মতো করতে পারিনা, কি করা যেতে পারে?

৪. ওজন বাড়ানোর জন্য প্রতিদিন কখন, কয়টা করে ডিম খাওয়া দরকার?

৫. ওজন বাড়ানোর জন্য এগ আর এগহোয়াইট কি আলাদা ভূমিকা রাখে? কারন আমি শুনেছি যে  ওজন বাড়ানোর জন্য ডিম ঠিক ভাবে খেতে হয়, না হলে ওজন কমে। যদি হয় তাহলে কখন এগ আর এগহোয়াইট খেতে হবে? 

শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
RushaIslam

Call

১.জিমের আগে আপনি ২-১ গ্লাস পানি পান করবেন। জিমের আগে ভারি খাবার খাবেন না।জিম করার আগে ও পরে অন্তত ২০ মিনিট সময় নিন। অর্থাৎ কোনোকিছু খাওয়ার অন্ততপক্ষে ২০ মিনিট পরে জিম শুরু করুন এবং জিম শেষ করার ২০ মিনিট পরে খাবার খান। ভারী খাবার জিমের পরবর্তী সময়ে খাওয়াটাই ভালো। জিমের পরে আপনি তরল খাবার বিশেষ করে বেল অথবা লেবুর শরবত খান। এরপরে ভারি কিছু খেতে পারেন। ২.আপনার যদি গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যা থাকে তাহলে আপনি বাদাম এবং কিসমিস একত্রে করে খান। এতে আরো ভাল ফল পাবেন। ৩.প্রতিদিন পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করুন। জিম করার ১০মিনিট আগে একটি কলা এবং গ্লুকোজ  খেয়ে নিবেন। এতে আপনার দুর্বলতা কেটে যাবে ইনশাআল্লাহ। ৪.সকালের নাস্তার  পরে আপনি ডিম সেদ্ধ খাবেন। একদিন পর পর অথবা সপ্তাহে তিনদিন খাবেন। প্রতিদিন ডিম খাবেন না। ৫.এগহোয়াইট এর থেকে বেশি পরিমাণ পুষ্টি আপনি এগ থেকে পাবেন। একটি এগে কার্টেনল্ড,কোলিন,ক্যালিয়াম থাকে যা এগ হোয়াইটে থাকেনা। এছাড়া এগ থেকে জিঙ্ক, ফ্যাট,ফসফরাস, প্রোটিন সহ আরো অনেক উপাদান পেয়ে থাকি যা এগ হোয়াইটে অনেক কম বিদ্যমান।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ