Call

সাধারণ সংজ্ঞা অনুযায়ী মাকরুহ এমন কাজ যা পালন করার তুলনায় না করা উত্তম। অর্থাৎ যে কাজ করা যাবে কিন্তু না করা উত্তম।

উদাহরণঃ ইশার পূর্বে নিদ্রা যাওয়া এবং ইশার পর গল্প-সল্প করা মাকরুহ।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইশার পূর্বে ঘুমানো এবং এর পরে কথা বলা অপছন্দ করতেন।

(সূনান তিরমিজী, হাদিস নম্বরঃ ১৬৮ ইবনু মাজাহ ৭০১ হাদিসের মানঃ সহিহ)।

মুস্তাহাব এমন আমল যা পালন না করলে কোনো শাস্তি পেতে হবে না। কিন্তু পালন করা ইসলামের দৃষ্টিতে উত্তম। মুস্তাহাব কাজ করলে সওয়াব ও আল্লাহর দরবারে পুরস্কার আছে। যার ব্যাপারে শরীয়ত উৎসাহ দান করেছে।

উদাহরণঃ প্রতি আরবি মাসের প্রথম ও শেষ বৃহস্পতিবার রোজা রাখা মুস্তাহাব। অথবা, দুই ঈদে উত্তম পোশাক পরিধান করা।

সুন্নতে মুয়াক্কাদার সংজ্ঞাঃ যে আমলকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইবাদত হিসেবে পাবন্দীর সাথে করেছেন। কখনো ওজর ছাড়া ছেড়ে দিয়েছেন বা নিজেতো ছাড়েননি কিন্তু যে ছেড়ে দিয়েছে তাকে ভর্ৎসনা করেননি। যে আমলকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন সেগুলোকে সুন্নাতে মুয়াক্কাদা বলা হয়।

উদাহরণঃ ফজরের দুই রাকআত সুন্নাত নামাজ।

সুন্নাতে গায়রে মুয়াক্কাদার সংজ্ঞাঃ- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তার সাহাবাগণ যে সকল আমল ধারাবাহিকভাবে করেন নি বরং ওজর ছাড়াও মাঝে মধ্যে তরক করেছেন, তাকে সুন্নাতে গায়রে মুয়াক্কাদা বা সুন্নাতে যায়েদা বলে।

উদাহরণঃ আসরের চার রাকআত সুন্নাত নামাজ।

ওয়াজিব : ইসলামী পরিভাষায় যে বিধান সুনিশ্চিত দলিলের আলোকে প্রমাণিত নয় বরং প্রবল ধারণাপ্রসূত দলিলের ভিত্তিতে প্রমাণিত তাকে ওয়াজিব বলা হয়। ওয়াজিব কাজ ফরজের ন্যায় অবশ্য করণীয়। তবে পার্থক্য এতটুকু যে, কেউ ফরজ অস্বীকার করলে কাফের হয়ে যায় কিন্তু ওয়াজিব অস্বীকার করলে কাফের হয় না, তবে ফাসেক হয়ে যায়।

উদাহরণঃ বেতরের নামাজ পড়া, কুরবানী করা, ফেতরা দেয়া ইত্যাদি। এছাড়া দুই লজ্জাস্থান পরস্পর মিলিত হলে গোসল ওয়াজিব হয়।

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন কেউ স্ত্রীর চার শাখার মাঝে বসে তার সাথে সহবাসের চেষ্টা করে, তখন গোসল ওয়াজিব হয়ে যায়।

(সূনান নাসাঈ হাদিস নম্বরঃ ১৯১ হাদিসের মানঃ সহিহ)।

ফরজ: যে বিধানটি অকাট্য দলীল দ্বারা প্রমাণিত তাকে ফরজ বলা হয়।

অর্থাৎ ইসলাম ধর্মে ফরজ বলতে বুঝায় আল্লাহ তায়ালা তার বান্দার উপর যেসব কাজ অাবশ্যক করেছেন। যে সকল কাজগুলো পালন করাই হচ্ছে ফরজ। ফরজ কাজগুলো যে কোনো মুসলমানকে অবশ্যই করতে হবে। ফরজ কাজ করলে সওয়াব আছে, না করলে গুনাহ হবে।

উদাহরণঃ নিশ্চয়ই নামাজ মুমিনদের উপর ফরজ করা হয়েছে নির্দিষ্ট সময়ের ভিত্তিতে। (আন-নিসা আয়াতঃ ১০৩)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ