নামাজ, রোজা, কসম ইত্যাদির বিষয়ে  কোন কোন কারণে কাফফারা ওয়াজিব হয়...??? আর প্রতিটি বিষয়ের কাফফারা আদায় করার নিয়ম কী হবে...?? ((কোরআন ও হাদিসের আলোকে জানান))
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

ইসলামী পরিভাষায় নেক আমল ও কৃত অপরাধের বদলা দ্বারা পাপ ঢেকে দেওয়াকে কাফফারা বলে। সালাত, সিয়াম, শপথ, যিহার, হত্যা, ঋতু অবস্থায় স্ত্রী সহবাস, হজ্জের ত্রুটি–বিচ্যুতির জন্য কাফফারা দিতে হয়। নামায ছুটে গেলে কাযা পড়ে নিতে হবে এটাই তাঁর কাফফারা। মহানবী (সাঃ) বলেছেন, যখন কেউ কোন নামায পড়তে ভুলে যায় অথবা ঘুমিয়ে পড়ে, তখন তাঁর কাফফারা হল স্মরণ হওয়া মাত্র তা পড়ে নেওয়া। অন্য এক বর্ণনায় আছে, এই কাযা আদায় করা ছাড়া এর জন্য আর অন্য কোন কাফফারা নেই। অনিচ্ছাকৃত বা উযরবশত ছুটে যাওয়া সাওমের বদলে কাযা, আর উযর ছাড়া ইচ্ছাকৃতভাবে ছেড়ে দেয়া সাওমের বদলে দিতে হয় কাফফারা। কাযা হলে সম পরিমাণ সাওম আদায় করতে হয়। আর কাফফারা হলে, সাওম না রাখার কারণে সুনির্দিষ্ট কিছু কর্তব্য পালন করতে হয়। কাফফারা তিন ধরনের। (১) গোলাম আযাদ করা, আর তা সম্ভব না হলে। (২) একাধারে ৬০টি রোযা রাখা, আর সেটিও সম্ভব না হলে। (৩) ৬০ জন মিসকীনকে এক বেলা খানা খাওয়ানো। কসম ভভঙ্গের কাফফারা হলোঃ দশ জন মিসকিনকে মধ্যম মানের খাদ্যদান যা তোমরা তোমাদের স্ত্রী পরিবারকে খাইয়ে থাক, অথবা তাদেরকে বস্ত্রদান অথবা একজন ক্রীতদাস মুক্তকরণ। আর এগুলো করার যার সামর্থ্য নেই তার জন্য তিন দিন রোযা পালন। এগুলো হল তোমাদের শপথের কাফফারা যখন তোমরা শপথ কর। তোমরা তোমাদের শপথ রক্ষা করবে। আল্লাহ তার আয়াতসমূহ তোমাদের জন্য বিষদভাবে বর্ণনা করেন যাতে তোমরা শোকর আদায় কর। (সুরা মায়েদাঃ ৮৯) (১) দশজন মিসকীনকে মধ্যম মানের খাদ্য খাওয়ানো যা নিজেরা খায়। অথবা প্রত্যেক মিসকিনকে অর্ধ সা করে খাদ্য প্রদান করবে। আমাদের দেশের ওজন অনুপাতে প্রায় সোয়া এক কেজি। (তাফসীর মুয়াসসার।) (২) অথবা দশজন দরিদ্রকে পোশাক প্রদান করা, যা দ্বারা সালাত আদায় করা যেতে পারে। কোন কোন আলিম খাদ্য ও পোশাক সমাজের প্রচলিত নিয়ম নীতিকে অনুসরণীয় মনে করেন। (৩) অথবা একজন দাস বা দাসী আযাদ করা। ইমাম শাওকানী (রহঃ) বলেনঃ আয়াতটি ব্যাপক। তাই দাস, মুমিন হোক বা কাফির যেকোন একটি আযাদ করলেই হবে। (তাফসীর ফাতহুল কাদীর, অত্র আয়াতের তাফসীর) [উল্লিখিত তিনটির যে কোন একটি পালনে অক্ষম হলে তাকে তিন দিন সওম বা রোযা পালন করতে হবে। তিনদিন ধারাবাহিকভাবে, না ভেঙ্গে ভেঙ্গে সওম রাখবে তা নিয়ে মতানৈক্য পাওয়া যায়। সঠিক কথা হলো উভয় অবস্থাই বৈধ] (আয়সারুত তাফাসীর, ১/৫৬৪)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ