মসজিদে যেতে দেরি হলে ইমাম সাহেব  নামাজ পড়া শুরু করে দিলে নামাজে  সর্বনিম্ন কতটুকু অংশ পেলে এক রাকাআত  পড়া হবে?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

নামাযে রুকু পেলে সেই রাকাত পেয়েছে বলে ধর্তব্য হবে। রুকু পেলে উক্ত রাকাত ধর্তব্য হওয়ার পক্ষের দলীল সবচেয়ে বেশি ও শক্তিশালী। হযরত মুয়াজ বিন জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেছেনঃ যখন তোমাদের কেউ নামাযে আসে, এমতাবস্থায় যে ইমাম নামায পড়াচ্ছে, তাহলে সে তাই করতে থাকবে যা ইমাম করছে। (সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-৫৮৮, আলমুজামুল কাবীর, হাদীস নং-২৬৭, সুবুলুস সালাম, হাদীস নং-৩৯৬, বুলুগুল মারাম, হাদীস নং-৪২৮) যে ব্যক্তি ইমামকে সেজদাতে পাবে, তার উচিত সেও সেজদাতে চলে যাবে, কিন্তু ইমামের সাথে রুকু না পেয়ে থাকে, তাহলে এ রাকাতটি তার জন্য হয়নি। তথা সে উক্ত রাকাত পায়নি বলে ধর্তব্য হবে। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেছেনঃ যে ব্যক্তি নামাযের রুকু পেয়ে যায় ইমাম তার পিঠ সোজা করার পূর্বে, সে ব্যক্তি উক্ত রাকাত পেয়ে গেল। সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-২৪০৮, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১৩২৯, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-৪৫, কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-২০৬৯৩, নসবুর রায়াহ, হাদীস নং-৩২৭) রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেছেনঃ যখন তোমরা আস আর ইমাম রুকু অবস্থায় থাকে, তাহলে তোমরা রুকু কর। আর যদি সেজদা অবস্থায় থাকে, তাহলে সেজদা কর। তবে সেজদা দ্বারা তা রাকাতের মাঝে গণ্য করো না, যদি না এর সাথে রুকু থেকে থাকে। (সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-২৪০৯, কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-২০৬৯৫) হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ইমামকে রুকু অবস্থায় পাবে, তারপর সে ইমাম মাথা উঠানোর আগে তার সাথে রুকু করে, তাহলে উক্ত রাকাত পেয়ে গেছে। (সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-২৪১৩) হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ যে ব্যক্তি ইমামের সাথে রুকু পায়নি, সে উক্ত রাকাত পায়নি। (সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-২৪১১)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ