১/ জামায়াতে নামায পড়ার সময় একামত এর উত্তর দিতে হবে আর একামত এর উত্তর দিলে হবে না কি আবার নামাযের নিয়ত করতে হবে। ২/ একাএকি নামায ফরয নামার পড়ার সময় ও কি একামত দিতে হবে নাকি নিয়ত করতে হবে।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

জামায়াতে নামায পড়ার সময় ইকামত এর উত্তর দিতে হবে না। তবে কেউ যদি উত্তর দেয় তাতেও কোন সমস্যা হবেনা। যেহেতু ইকামতকে দ্বিতীয় আযান বলা হয়, তাই ইকামতও এক প্রকার আযান। (ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ, সঊদী উলামা-কমিটি ১/২৪৯) সুতরাং এর জওয়াব ও আযানের মতই। অবশ্য ‘হাইয়্যা আলাস সলাহ’ ও ‘হাইয়্যা আলাস সলাহ’ এর জওয়াবে ‘লা-হাওলা অলা ক্বুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ এবং শেষে সময় পেলে দরুদ ও অসীলার দুআ পাঠ করা বিধেয়। যেহেতু হাদীস শরীফে মুআযযিনের জওয়াব 'তার মতই' বলতে এবং তার শেষে দরুদ ও অসীলার দুআ পড়তে আমাদেরকে আদেশ করা হয়েছে। (মুসলিম, মিশকাতঃ ৬৫৭) উক্ত হাদীসের ভিত্তিতেই ‘ক্বাদ ক্বামাতিস স্বলাহ’ এর জওয়াবে ‘ক্বাদ ক্বামাতিস স্বলাহ-ই বলতে হবে। নচেৎ এর জওয়াবে ‘আক্বামাহুল্লাহু অআদামাহা’ বলার হাদীস শুদ্ধ নয়। আর যয়ীফ হাদীসকে ভিত্তি করে শরীয়তের কোন আমল ও ইবাদত বৈধ নয়। (দেখুন, মিশকাত, আলবানীর টীকা ১/১২১) মতান্তরে যেহেতু ইকামতের জবাবে কোন স্পষ্ট সহীহ হাদীস নেই, তাই ইকামতের জবাব দেওয়া সুন্নত নয়। একাকি ফরয নামায পড়ার সময় ইকামত দিতে হবে না। কেননা, একা নামাযীর জন্য ইকামত দেওয়া জরুরী নয়। (ইবনে জিবরীন) [আল্লাহ-ই ভাল যানেন]

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ