আসসালামু আলাইকুম । আপনাদের কাছে আমার বিনিত অনুরুধ আপনারা পুরুটা পড়বেন। প্রশ্ন টির পর হয়ত আপনারা আমাকে পাগল ভাব্বেন।  আমাকে একটা সমস্যা ইদানিং খুব বিরক্ত করছে। সেটা হচ্ছে নামাজের ভিতর আমার মনের মাঝে উলটা পালটা চিন্তা ঘুরঘুর করছে। আমি আল্লাহ তায়ালাকে খুশি করার উদ্দেশ্য এ নামাজ আদায় করি , এবং নামাজের সময় আমি উলটা পালটা চিনতা করি না । তবুও একটি চিন্তা খালি মনের মাঝে বিরক্ত করছে । একজন আমার মনের ভিতর আল্লাহর এর বিরুদ্ধে ও নবি ( সঃ ) এর বিরুদ্ধে উলটা পালটা বলছে , খারাপ কথা বলছে । সেটা আমি অন্তর থেকে বলছি না তবুও আমার কানে খালি আছে । এইটা কি শয়তান ? নাকি অন্য কিছু ???? অন্তরে খারাপ ছিন্তা যদি আমিও অন্তড় থেকে না বলি তাহলে কিছু হবে???? এইটা কি শয়তান আমাকে বিরক্ত করছে?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

ওয়ালাইকুম সালাম ওয়া (রহ:)।নামাযের ভিতর এইসব কুমন্ত্রণা আপনার স্নায়ুবিক দুর্বলতা থেকে আসে।তাই আপনি অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।আল্লাহ্ র রহমতে আপনার সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

নামাজের দুটি রূপ। একটি হলো, দৃশ্যমান রূপ। আরেকটি হলো অদৃশ্যমান রূপ। যদি নামাজের সমস্ত শর্ত পূর্ণ হয় তাহলে নামাজের প্রকাশ্য রূপটি সম্পন্ন হয়ে যাবে। কিন্তু অপ্রকাশ্য রূপটি সম্পন্ন হওয়ার জন্য শুধু বাহ্যিক শর্তগুলো পূর্ণ করাই যথেষ্ট নয়; বরং খুশু খুযু তথা পরিপূর্ণ বিনয় নম্রতা ও ধ্যান ও মনোযোগের সাথে নামাজ আদায় করতে হবে। হাদীসের ভাষায় তুমি এমন ভাবে ইবাদাতে নিরত হও যেন তুমি আল্লাহকে দেখছো। যদি তুমি তাকে না দেখো তবে অন্তত এটা ধ্যান করো যে আল্লাহ তোমাকে দেখছেন। তবে শয়তান তো বসে নেই। সে তার ডিউটি পালন করেই যাচ্ছে। সে নামাজের ভিতরে নানা ধরনের আপত্তিকর বিষয় স্মরণ করিয়ে দেয়। যাতে নামাজটা সুন্দর না হতে পারে। হাদীসের ভাষ্য মতে শয়তান নামাজ রত ব্যক্তিকে বলে, তুমি এটা স্মরণ করো, ওটা স্মরণ করো। তো এতে নামাজ নষ্ট হবে না। তবে নামাজের খুশু খুযু নষ্ট হয়ে যায়। তাই এ ক্ষেত্রে করণীয় হলো, সাথে সাথে মনোযোগ ফিরিয়ে আনা। নামাজে পরিপূর্ণ মনোযোগী হওয়া। নামাজ পড়াকালীন শয়তানের শয়তানির কারণে ভালো মন্দ নানা ধরনের চিন্তা আসতে পারে। এটা তেমন দোষণীয় নয়। কিন্ত সে চিন্তাকে প্রশ্রয় দেয়া হলো দোষণীয়। তাই আল্লাহর শাস্তির ভয়, নামাজের প্রতিটি রুকনের সুন্নাহ পদ্ধতির প্রতি লক্ষ রাখা, কিরাত, দুআ ও যিকরের অর্থগুলো নিয়ে ভাবনা করা-এগুলোর মাধ্যমে আপনার নামাজে আগত বাজে চিন্তা দূরীভূত হতে পারে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ