এই পৃথিবীতে সামাজিক ও সকল শান্তি-শৃংখলা বজায় রাখার প্রথম ও প্রধান শর্ত হলোঃ বংশ পরম্পরা রক্ষা করা। এ লক্ষ্যেই ইসলাম প্রবর্তন করেছে বিবাহপ্রথা।
জ্বীন ও মানুষের মধ্যে বিবাহ সম্পর্কে আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের মতামত হলোঃ বিবাহ বৈধতার মুখ্য উদ্দেশ্য বংশ পরম্পরা টিকিয়ে রাখা। যা কেবল একই জাতির নর-নারীর পারস্পারিক বিবাহ দ্বারা সম্ভব, ভিন্ন দুই জাতির নারী-পুরুষের বিবাহ দ্বারা নয়। তাই মানুষ (মুসলমান) হওয়া সত্ত্বেও জ্বীন জাতির সাথে পারস্পারিক বিবাহ শরীয়ত গর্হিত, ইসলাম বিবর্জিত ও সম্পূর্ণ নাজায়েজ। (ফতোয়ায়ে সিরাজিয়া, অধ্যায়ঃ নিকাহুল মাহারিমী, পৃষ্ঠা নং ৩৭)
জনাব! বিবাহ হওয়ার জন্য সমগোত্র শ্রেণী হওয়া আবশ্যক। এ কারণে মানুষের জন্য অন্য কোন সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া জায়েজ নয়। জ্বীনজাতি যেহেতু মানব জাতি থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক জাতি, মানুষ মাটির তৈরী প্রাণী আর জ্বীন হল আগুনের তৈরী। তাই ভিন্ন প্রজাতির প্রাণী হওয়ায় পরস্পর বিবাহ জায়েজ নয়।