ছেলে মেয়ে উভয়ে যদি দুজন সাক্ষীর সম্মুখে ইজাব কবুল করে, অর্থাৎ, একজন বলল আমি তোমাকে বিবাহ করলাম, অপরজন বলল আমি কবুল করলাম, এবং সাক্ষীগন তা একইসঙ্গে শুনতে পান, তাহলে তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। তবে অবশ্যই সাক্ষী দুজন প্রাপ্তবয়স্ক ও মুসলিম হতে হবে। আর তারা যদি সাক্ষী না রেখে ইজাব কবুল করে, এবং একি সঙ্গে বসবাস করে তাহলে জিনা ও ব্যভিচার বলে গণ্য হবে। সুতরাং যদি উপরুক্ত প্রক্রিয়া অবলম্বন না করে থাকে তাহলে অতিসত্বর তা সম্পন্ন করতে হবে, এবং কায়মনোবাক্যে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে।
একজন মেয়ে আর একজন ছেলে যদি একে অপরকে গোপনে বিয়ে করতে চায় তাহলে ইসলামে এমন বিয়ে বৈধ নয়। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: যে নারী তার অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া বিয়ে করবে তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল। (তিরমিযিঃ ১০২১) যিনা বা ব্যভিচার বলতে বুঝায় ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক বিবাহ বন্ধন ছাড়া অবৈধ পন্থায় যৌন তৃপ্তি লাভ করাকে। ইসলামী শরীয়াতে অবৈধ পন্থায় যৌন সম্ভোগ সম্পূর্ণ হারাম এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তারা সাক্ষী বা যতই বিয়ে করতে রাজি হোক না কেন যতক্ষন না বিবাহ সম্পাদনা হয়েছে ততক্ষন তারা যিনার গুনাহে লিপ্ত হচ্ছে। আল্লাহ তাআলা যিনাকে হারাম ঘোষণা করে বলেনঃ তোমরা যিনার ধারের কাছেও যাবে না। কেননা তা অত্যন্ত নির্লজ্জ এবং খারাপ কাজ। (সূরা বনী ইসরাঈলঃ ৩২) তারা যেহেতু যিনা-ও করছে! তারা ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ায় তাদের শুধু পাপ-ই হয়নি তারা কবিরা গুনাহ করেছে।