এখানে কি কন্যা সন্তানকে পুত্র সন্তানের চেয়ে অনেক বেশি মর্যাদা দেয়া হয়েছ? পুত্র সন্তানকে কি তাদের চেয়ে ছোট করা হয়েছে?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

ইসলামে নারীদেরকে বেশি সম্মান ও মর্যাদায় গুণান্বিত করা হয়েছে, তবে সেটা পুরুষের চেয়ে বেশি নয়। এ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেছেন, ".......নারীদের তেমন ন্যায়-সঙ্গত অধিকার আছে যেমন আছে তাঁদের উপর পুরুষদের। কিন্তু নারীদের উপর পুরুষদের কিছুটা মর্যাদা আছে। আর আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।" (বাকারা, আয়াত নং ২২৮)। নারীদের ওপর পুরুষদের শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে। দৈহিক শক্তি, চারিত্রিক মর্যাদা, হুকুম, আনুগত্য, খরচ, রক্ষণাবেক্ষণ সব দিক দিয়েই নারীদের ওপর পুরুষদের শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে। মোট কথা, ইহলৌকিক ও পারলৌকিক মর্যাদা হিসাবে পুরুষদের প্রাধান্য রয়েছে। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে অন্য জায়গায় এরশাদ করেছেন, "পুরুষরা নারীদের ওপর তত্ত্বাবধানকারী ও ভরণপোষণকারী, যেহেতু মহান আল্লাহ্‌ তাদের মধ্যে একের ওপর অপরকে বৈশিষ্ট্য দান করেছেন এবং এটা এজন্য যে, তারা স্বীয় ধন সম্পদ হতে তাদের জন্য ব্যয় করে........।" (সূরা নিসা, আয়াত নং ৩৪)। এর থেকে বোঝা যায়, নারীদের মর্যাদা বেশি থাকলেও সেটা পুরুষদের চেয়ে বেশি নয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

ইসলাম পূর্ব যুগে ছেলেদেরকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে মেয়েদের প্রতি অবিচার করা হতো। এবং তাদেরকে মূল্যহীন ও অলুক্ষণে মনে করা হত। ইসলাম মানুষের মাঝ থেকে উক্ত ধারণার মূল উৎপাটন করার লক্ষে এমন ফযীলত তোলে ধরেছে যে, ছেলেদের ন্যায় মেয়েরাও পৃথিবীর জন্য আলোকময় ও কল্যাণের বার্তা বাহক। তাই ছেলে সন্তানের ফযীলত সবার সামনে স্পষ্ট ছিল বিধায় মেয়ে সন্তানের কী ফযীলত তা তুলে ধরা উক্ত বাণীর মূল প্রতিপাদ্য।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ