মুসলিম আইন অনুযায়ী প্রথম স্বামীর
সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক বিদ্যমান থাকাবস্থায়
কোনো মুসলিম নারী যদি আরেকটি বিয়ে
করেন তবে সেই বিয়ে অবৈধ বলে গন্য হয়।
কোন বিবাহিত নারীর স্বামী থাকাকালীন সধবা মহিলাকে বিবাহ করা বৈধ নয়, যতক্ষণ না তার তালাক হয়েছে অথবা তার স্বামী মারা গেছে এবং তার নির্ধারিত ইদ্দত কাল অতিবাহিত হয়েছে।
মহান আল্লাহ বলেছেনঃ নারীদের মধ্যে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ নারীগণও তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ, কিন্তু তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীদের বাদে, আল্লাহ এসব ব্যবস্থা তোমাদের উপর ফরয করে দিয়েছেন। তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ নারীদের ছাড়া অন্যান্য সকল নারীদেরকে মোহরের অর্থের বদলে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করতে চাওয়া তোমাদের জন্য বৈধ করা হয়েছে, অবৈধ যৌন সম্পর্কের জন্য নয়। অতঃপর তাদের মধ্যে যাদের তোমরা সম্ভোগ করেছ, তাদেরকে তাদের ধার্যকৃত মোহর প্রদান কর। তোমাদের প্রতি কোনও গুনাহ নেই মোহর ধার্যের পরও তোমরা উভয়ের সম্মতির ভিত্তিতে মোহরের পরিমাণে হেরফের করলে, নিশ্চয় আল্লাহ সবিশেষ পরিজ্ঞাত ও পরম কুশলী। (আন নিসাঃ ২৪)
আর এমতাবস্থায় প্রথম স্বামী তালাক হয়ে
যায় না। ইসলামে তালাক দেওয়ার ক্ষমতা স্বামীর হাতে দেওয়া হয়েছে। স্ত্রীরা তালাক
দিতে পারেনা বা তালাক আপনা আপনি পতিত হয়না।
কোন মুসলিম নারীর শরীয়তসম্মত বিবাহ বিচ্ছিন্ন না হলে তার সাথে বিবাহ বন্ধন হারাম। সুতরাং যে সকল নারী স্বামীদের ছেড়ে দিয়ে অন্য পুরুষের সাথে অভিভাবক ছাড়া নিজে নিজেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় তাদের সে বিবাহ অবৈধ। বিবাহ শরীয়তসম্মত হবে না, যতদিন তারা এ অবস্থায় থাকবে ততদিন ব্যভিচারে লিপ্ত থাকবে।