কিভাবে নামাজ পড়তে হয় ,কখন কি দোয়া পড়তে হয় সঠিক ভাবে জানতেে চাই।  
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

এখানে লিখে বোঝানে যাবে না কিভাবে নামায পড়তে হয় বা কখন কোন দোয়া পড়তে হয়। কারণ নামায অনেক আছে, আর নামাযে অনেক দোয়া ও আছে। এজন্য ভালো হয়, একটি নামায শিক্ষা বই কিনে শিখুন। আপনি ইসলামী লাইব্রেরী থেকে 'সহীহ পদ্ধতীতে নূরানী নামায শিক্ষা' বইটি কিনে পড়তে পারেন। বইটির সর্বচ্চ মূল্য 120 টাকা। যদি বই পড়ে বুঝতে অসুবিধা হয়, তাহলে মসজিদের ইমাম বা কোনো আলেমের সাহায্য নিতে পারেন। ধন্যবাদ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
HMMOBAROKBD

Call

নিচে নামাজ আদায়ের সঠিক নিয়ম উল্লেখ করা হলো-(পুরুষদের জন্য)   কেবলামুখী হওয়া যে জায়গায় নামাজ পড়তে দাঁড়ানো হবে, সেখানে অবশ্যই কেবলা মুখী হয়ে দাঁড়াতে হবে এবং মুখে নিয়্যত উচ্চারণ করবে না, কারণ মুখে নিয়্যত উচ্চারণ করা শরীয়ত সম্মত নয়; বরং বা তা বিদ’আত। কারণ নবী কারীম সাল্লাল্লাহু ‘আলইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর সাহাবাগণ কেউ মুখে নিয়্যত উচ্চারণ করেননি। সুন্নত হলো যে, নামাযী তিনি ইমাম হয়ে নামায আদায় করুন অথবা একা তার সামনে সুত্রাহ (নামাযের সময় সামনে স্থাপিত সীমাচিহ্ন) রেখে নামায পড়বেন। কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলইহি ওয়াসাল্লাম নামাযের সামনে সুত্রাহ ব্যবহার করে নামায পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। কিবলামুখী হওয়া নামাযের শর্ত। তাকবীরে তাহরীমাহ আল্লাহু আকবার বলে তাকবীরে তাহরীমা দিয়ে নামাযে দাঁড়াবে। তাকবীরে তাহরীমায় হাত উত্তোলণ পুরুষ এর ক্ষেত্রেঃ তাকবীরে তাহরীমার সময় উভয় হাত কানের লতি পর্যন্ত উঠানো এবং উভয় তালু কিবলামুখি হওয়া। বুকে হাত বাঁধা পুরুষ এর ক্ষেত্রেঃ উভয় হাত নাভীর ঠিক নিচে রেখে ডান হাতের বৃদ্ধা এবং কনিষ্ঠংগুলি দ্বারা বাম হাতের কব্জি ধরে ডান হাতের মধ্যের তিন আঙ্গুল বাম হাতের পিঠের উপর থাকবে। সানা , সূরা ফাতিহা, সূরা মিলানো হাত বাঁধার পর সানা পড়তে হয় । সানা পড়া সুন্নাত। ( سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالَى جَدُّكَ وَلَا إِلَهَ غَيْرُكَ ) সানা পড়ার পর আউজুবিল্লাহ পড়া সুন্নাত, বিসমিল্লাহ্‌ পড়া সুন্নাত, এর পর সূরা ফাতিহা পড়া। সূরা ফাতিহা পড়া ওয়াজিব। সূরা ফাতিহার শেষে আমীন বলা। সূরা ফাতিহা পড়া শেষে সূরা মিলানোর পুর্বে বিসমিল্লাহ্‌ পড়া সুন্নাত। সূরা মিলানো ওয়াজিব। রুকূ উভয় হাত দু’কাঁধ অথবা কান বরাবর উঠিয়ে আল্লাহু আকবার বলে রুকূতে যাবে। এরপর বলবেঃ (সুবহানা রাব্বি’আল ‘আজিম৷  দোয়াটি তিন বা তার অধিক পড়া ভাল রুকু হতে সোজা হয়ে দাঁড়ানো ওয়াজিব। দাড়ানোর সময় "সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ" বলা এবং তারপর "রাব্বানা লাকাল হামদ" বলা সুন্নাত। সিজদাহ সিজদাতে যাওয়ার সময় আল্লাহু আকবর বলা সুন্নাত । তারপর দুই সিজদাহ করা ফরজ। বলে যদি কোন প্রকার কষ্ট না হয় তা হলে দুই হাটু উভয় হাতের আগে (মাটিতে রেখে) সিজদায় যাবে। আর কষ্ট হলে উভয় হাত হাটুর পূর্বে (মাটিতে) রাখা যাবে। হাত ও পায়ের আঙ্গুলগুলি কিবলামুখী থাকবে এবং হাতের আঙ্গুলগুলি মিলিত ও প্রসারিত হয়ে থাকবে।সেজদাহ অবস্থায় চোখের দৃষ্টি নাকের দিকে নিবন্ধ রাখা এবং হাতের আঙ্গুলগুলি মিশিয়ে রাখা । সিজদাহ্ হবে সাতটি অঙ্গের উপর। অঙ্গগুলো হলোঃ নাক সহ কপাল, উভয় হাতুলী, উভয় হাঁটু এবং উভয় পায়ের আঙ্গুলের ভিতরের অংশ। (সেজদাহ মেয়েলোকগন শরীর একেবারে মিশিয়ে সেজদাহ করবে।) সিজদায় গিয়ে বলবেঃ (সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা) । এই দোয়াটি তিনবার বলা সুন্নত। সিজদা থেকে উঠা সেজদাহ হতে উঠার সময় সর্বপ্রথম কপাল তারপর নাক তারপর হাত উঠবে। (আল্লাহু আকবার)) বলে সিজদাহ থেকে মাথা উঠাবে। বাম পা বিছিয়ে দিয়ে তার উপর বসবে এবং ডান পা খাড়া করে রাখবে। দু’হাত তার উভয় রান (উরু) ও হাঁটুর উপর রাখবে। দ্বিতীয় সিজদাহ (আল্লাহু আকবার) বলে দ্বিতীয় সিজদাহ করবে। এবং দ্বিতীয় সিজদায় তাই করবে প্রথম সিজদায় যা করেছিল। সেজদাহ শেষ করে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আবার প্রথম রাকাতের মত ২য় রাকাতের সিজদাহ পর্যন্ত হুবুহু পড়বে। আরামের বৈঠক ২য় রাকাতের সিজদাহ থেকে ((আল্লাহু আকবার)) বলে মাথা উঠাবে। ক্ষণিকের জন্য বসবে, যে ভাবে উভয় সিজদার মধ্যবর্তী সময়ে বসেছিল। এ ধরনের পদ্ধতিতে বসাকে ((জলসায়ে ইসতেরাহা)) বা আরামের বৈঠক বলা হয়। এরপর আত্তাহিয়্যাতু পাঠ করা ওয়াজিব। যদি দুই রাকাত বিশিষ্ট নামাজ হয় তবে আত্তাহিয়্যাতুর পর দুরুদ শরীফ পাঠ করা এবং তারপর দোয়ায়ে মাসুরা পড়া সুন্নত। বসা অবস্থায় চোখের দৃষ্টি হাতের উপর রাখা এবং আঙ্গুলগুলি স্বাভাবিক অবস্থায় রাখা ও বাম পায়ের উপর বসে ডান পা খাড়া রেখে আঙ্গুলগুলী ভাজ করে কিবলামুখী করে রাখা । তিন বা চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজ হলে আত্তাহিয়্যাতু পাঠ করার পর দাঁড়িয়ে বাকি রাকাতগুলি আদায় করবে। "আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহু" বয়লে প্রথমে ডান দিকে পরে বাম দিকে সালাম ফিরাবে৷  এর থেকে বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়৷   

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

নামাযের মধ্যে যে পঠিত কালামে পাকের কিছু আয়াত, দোয়া, দরূদ, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ ধারাবাহিকভাবে নিম্নে তুলে ধরা হলো      

সংক্ষেপে।

জায়নামাযের দোয়া: 

اِنِّئْ وَجَّهْتُ وَجْهِئَ لِلَّذِئْ فَطَرَالسَّمَوَاتِوَالْاَرْضَ

 حَنِيْفًا وَّمَا اَنَا مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ

উচ্চারণ : ইন্নি ওয়াজ্জাহতু ওয়াজহিয়া লিল্লযী ফাত্বারাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বা হানীফাঁও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকীন ।

অর্থ : নিশ্চয়ই আমি একমুখী হয়ে স্বীয় আসমান এবং জমিনের স্রষ্টা আল্লাহতায়ালার প্রতি একনিষ্ঠভাবে মনোনিবেশ করলাম, আর আমি মুশরিকদের দলভুক্ত নই। (সূরা-৬ আনআম : আয়াত-৭৯)

নিয়ত : ফজরের দু’রাকা’আত ফরয : (যখন যে নামাজ পড়বে তার মনে মনে স্থির করাই নিয়্যাত)

نَوَيْتُ اَن ْاُصَلِّىَ لِلّٰهِ تَعَالٰى رَكْعَتَىْ
 صَلَوةِ الْفَجْرِ فَرْضُ اللهِ
 تَعَالٰىمُتَوَجِّهًا اِلٰى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ اَللهُ اَكْبَر –

অর্থ : নাওয়াইতু আন উসাল্লি¬য়া লিল্লাহি তা’আলা রাকা’আতাই সালাতিল ফাজরি ফারদুল্লহিতা’আলা মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি-আল্লহু আকবার।

অর্থ : আমি ফজরের দু’রাকা’আত ফরজ নামায আদায় করার জন্য নিয়ত করলাম  আল্লাহু আকবার।

ইমামের পিছনে পড়লে বলতে হবে : ‘ইকতিদাইতুল বিহাজাল ইমাম’ এই ইমামের পেছনে নিয়ত করলাম।

একাকী নামায পড়ার সময় বলতে হবে আমি আল্লহর উদ্দেশ্যে কেবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে ফজরের দু‘রাকাত ফরয নামায পড়ছি-আল্লহু আকবার। দুই রাকা’আত নামায হলে رَكْعَتَى “রাকা’আতাই”, তিন রাকা’আত নামায হলে রাকা’আতাই-এর স্থলে ثلَاثَ رَكْعَاتِ ‘‘ছালাছা রাক‘আতি’’ এবং ৪ (চার) রাকাত হলে اَرْبَعْ رَكْعَاتِ “আরবায়া রাক‘আতি” বলতে হবে।

তাকবিরে তাহরিমা : اَللهُ اَكْبَر ُ উচ্চারণ : আল্লহু আকবার। অর্থ : আল্লহই সর্বশ্রেষ্ঠ।

ছানার দোয়া: سُبْحَانَكَ اَللّٰهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالٰى جَدُّكَوَلَا اِلٰهَ غَيْرُكَ

উচ্চারণ : সুবহানাকা আল্লহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়া তা‘আলা জাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গায়রুকা।

অর্থ : হে আল্লহ! আপনার পবিত্রতা এবং প্রশংসা বর্ণনা করছি : আপনার নাম বড় মহান। আপনার মাহাত্ম্য ও সম্মান অতীব উচ্চ এবং আপনি ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই, যার সামনে মাথা নত করা যায়।

তা’উয (আউযুবিল্লাহ) : اَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الْشَّيطَانِ الرَّجِيْمِ

উচ্চারণ : আ’উযু বিল্লাহি মিনাশ শাইতোয়ানির রাজীম।

অর্থ : আমি বিতাড়িত শয়তানের (ওয়াসওয়াসা) কুমন্ত্রণা হতে একমাত্র আল্লহতায়ালার সাহায্য প্রার্থনা করছি।

তাসমিয়াহ : بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيْمِ

উচ্চারণ : বিসমিল্লহির রাহমানির রাহীম।

অর্থ : আমি পরম দাতা দয়াময় আল্লহ্তায়ালার নামে আরম্ভ করছি।

সূরা ফতিহা :

١ اَ لْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ 

﴿٢﴾ ا َلرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ ﴿٣﴾ مَالِكِ يَوْمِالدِّيْنِ ﴿٤﴾

 إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِيْنُ 
﴿٥﴾ اِهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيْمَ
﴿٦﴾ صِرَاطَ الَّذِيْنَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ 
﴿٧﴾غَيْرِالْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْوَلَاالضَّالِّيْنَ ﴿٧﴾

উচ্চারণ : আলহামদু লিল্লহি রাব্বিল আলামীন। আর রাহমানির রাহীম। মালিকি ইয়াওমিদ্দীন। ইয়্যাকা না’বুদু ওয়া ইয়্যাকা নাসতা’ঈন। ইহদিনাস সিরাতোয়াল মুসতাক্বীম। সিরাত্বাল লাযীনা আন‘আমতা আলাইহিম, গাইরিল মাগদূবি আলাইহিম ওয়ালাদ্বোয়াল্লিন। আমীন।

অর্থ: সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ্তা‘আলার জন্য যিনি সকল সৃষ্টিজগতের পালনকর্তা। যিনি দাতা, দয়াময় ও মেহেরবান যিনি বিচার দিনের মালিক (অধিপতি)। আমরা সর্বাবস্থায় একমাত্র তোমারই ইবাদত (দাসত্ব) করি এবং তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি। আমাদেরকে সরল-সঠিক পথ দেখাও, সেসব লোকের পথ যাদেরকে তুমি নিয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গযব (অভিশম্পাৎ) নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে। (সূরা-১ ফাতিহা : আয়াত ১-৭)

আল্লহতায়ালা নিয়ামত প্রাপ্তদের সম্পর্কে বলেছেন :

وَمَنْ يُطِعِ اللهَ وَالرَّسُولَ

 فَاُوْلٰئِكَ مَعَ الَّذِيْنَ اَنْعَمَ اللهُ
 عَلَيْهِمْ مِّنَالْنَّبِيِيْنَ وَالصِّدِّيْقِيْنَ 
وَالْشُهَدَاءِ وَاْلصّٰلِحِيْنَ وَحَسُنَ اُوْلٰئِكَ رَفِيْقْا

উচ্চারণ : ওয়া মাইইয়্যুতিইল্লাহা ওয়ার রাসূলা ফা উলাইকা মা’ আল্লাযিনা আন’আমাল্লাহু আলাইহিম মিনান নাবিয়্যিনা ওয়াসিদ্দিক্বিনা ওয়াশ শুহাদাই ওয়াস্সলিহিনা ওয়া হাসুনা উলাইকা রাফিক্ব।

অর্থ : যারা আল্লহ এবং তার রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আনুগত্য করবে তারা নিয়ামত প্রাপ্তদের সঙ্গী হবে। নিয়ামত প্রাপ্তগণ হলেন নবী, সিদ্দীক, শহীদ ও সালেহীন (আত্মা এবং বক্ষস্থিত অদৃশ্য গোশত পিন্ড কলব ও দেহস্থ রিপুর অনিষ্ট থেকে পরিশুদ্ধ) ব্যক্তিগণ। আর তাদের সাহচর্যই হল সর্বোত্তম। (সূরা-৪ নিসা : আয়াত- ৬৯)।

যে কোনো একটি সূরা বা সুরাংশ : যেমন সূরা ইখলাস :

قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ

 ﴿١﴾ اَللهُ الصَّمَدُ
 ﴿٢﴾ لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ ﴿٣﴾ وَلَمْيَكُنْ لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ ﴿٤﴾

উচ্চারণ : ক্বুল হুয়াল্লহু আহাদ। আল্লহুস সামাদ। লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইউলাদ। ওয়ালাম ইয়াকুল্লহু কুফুওয়ান আহাদ।

অর্থ : বলুন, তিনি আল্লহ এক, অদ্বিতীয় আল্লহ কারো মুখাপেক্ষী নন, সকলেই তার মুখাপেক্ষী, তিনি কাউকে জন্ম দেন নাই এবং তাঁকেও জন্ম দেয়া হয় নাই। এবং তাঁর সমতুল্য কেউ নাই। (সূরা-১১২ ইখলাছ : আয়াত ১-৪)

এরপর তাকবীর বলা হয় : اَللهُ اَكْبَر উচ্চারণ : আল্ল¬াহু আকবর। অর্থ : আল্লহই সর্বশ্রেষ্ঠ।

রুকু অবস্থায় বলা হয় : سُبحَانَ رَبِّىَ الْعَظِيْم

উচ্চারণ : সুবহানা রাব্বিয়াল আজীম।

অর্থ : আমি আমার মহান প্রভুর পবিত্রতা বর্ণনা করছি।

এছাড়া আরো পড়া যায় : سُبْحَانَكَ اَللّٰهُمَّ رَبَّناَ وَبِحَمْدِكَ اَللّٰهُمَّاغْفِرْلِىْ

উচ্চারণ : সুবহানাকা আল্লাহুম্মা রাব্বানা ওয়াবিহামদিকা আল্লাহুম্মাগ-ফিরলী।

অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি পাক পবিত্র, হে আমাদের রব! তোমার প্রশংসা সহকারে ফরিয়াদ করছি! তুমি আমাকে মাফ কর।

রুকু থেকে দাঁড়ানোর সময় বলা হয় : سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ

উচ্চারণ : সামিয়াল্লহু লিমান হামিদাহ।

অর্থ : আল্লহতায়ালা প্রশংসাকারীর প্রশংসা শোনেন।

দাঁড়িয়ে বলা হয় : رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ – حَمْدًا كَثِيْرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيْهِ

উচ্চারণ : রাব্বানা লাকাল হামদ, হামদান কাসিরান, ত্বায়্যিবান মুবারাকান ফীহি

অর্থ : হে আল্লহ, সমস্ত প্রশংসা তোমার জন্য, এমন ব্যাপক প্রশংসা যাতে রয়েছে খুবই উত্তম বরকত। এ প্রশংসায় মঙ্গল হোক, বরকত হোক।

তাকবীরে বলা হয় : اَللهُ اَكْبَر ُ

উচ্চারণ : আল্লহু আকবর।

অর্থ : আল্লহই সর্বশ্রেষ্ঠ

সিজদাতে বলা হয় : سُبحَانَ رَبِّيَ الْاَعْلَي

উচ্চারণ : সুবহানা রাব্বিয়াল আ‘লা।

অর্থ : আমার মহান প্রভুর পবিত্রতা বর্ণনা করছি।

সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম।

এছাড়াও পড়তে হয়-سُبْحَانَكَ اَللّٰهُمَّ رَبَّنَاَ وَبِحَمْدِكَ اَللّٰهُمَّ اغْفِرْلِىْ

উচ্চারণ : সুবহানাকা আল্লাহুম্মা রাব্বানা ওয়াবিহামদিকা আল্লাহুম্মাগ-ফিরলী।

 

اَلتَّحِيَّاتُ لِلّٰهِ وَالصَّلَوٰاتُ وَالْطَيِّبَاتُ – اَلسَّلَامُ عَلَيْكَ اَيُّهَا النَّبِيُّ
 وَرَحْمَةُاللهِ وَبَرَكَاتُهُ – اَلسَّلَام ُعَلَيْنَا وَعَلٰى

 عِبَادِ اللهِ الصَّالِحِيْنَ

 اَشْهَدُاَنْ لَّااِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَاَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ– –

উচ্চারণ : আত্তাহিয়্যাতু লিল্লহি ওয়াস্সালাওয়াতু ওয়াত তাইয়্যিবাতু। আসসালামু আলাইকা আইয়্যুহান্নাবীয়্যু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। আসসালামু আলাইনা ওয়া আ‘লা ইবাদিল্লহিস সালিহীন। আশহাদু আল লা ইলাহা ইল্লল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু।

অর্থ : সমস্ত সম্মান মর্যাদা নামায (শারীরিক ইবাদাত) এবং আত্মিক (জীবত্মার) মানসিক (বক্ষ : স্থিত) অদৃশ্য গোশত পিন্ড কলব) ও শারীরিক (দেহাভ্যন্তরস্থ রিপুর অনিষ্টমুক্ত) পবিত্রতা বা পরিশুদ্ধতা শুধুমাত্র আল্লাহ্ তা‘আলার জন্য নিবেদিত। হে নবী! আপনার প্রতি সালাম (শান্তি) রহমত (করুণা) এবং বরকত (অনুগ্রহ) অবারিত ধারায় বর্ষিত হোক। আমাদের প্রতি এবং সালিহীন (আত্মিক মানসিক শারীরিক পরিশুদ্ধ সম্পন্ন) বান্দাদের প্রতিও সীমাহীন সালাম (শান্তি) বর্ষিত হোক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লহ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দাহ ও রাসূল (প্রেরিত পুরুষ)।

দরূদ :

اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى
 اَلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلٰى اِبْرَهِيْمَ 

وَعَلٰىاَلِ اِبْرٰهِيْمَ اِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ

 اَللّٰهُمَّ بَارِكْ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى اَلِ

 مُحَمَّدٍكَمَا بَارَكْتَ عَلٰى
 اِبْرَ هِيْمَ وَعَلٰى اَلِ اِبْرٰهِيْمَ اِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ –

উচ্চারণ : আল্লহুম্মা সাল্লি¬ আ‘লা মুহাম্মাদিওঁ ওয়া আ‘লা আলে মুহাম্মাদিন কামা সাল্লইতা আ’লা ইবরাহীমা ওয়া আ’লা আলি ইবরাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ। আল্লহুমা বারিক আ’লা মুহাম্মাদিওঁ ওয়া আ’লা আলে মুহাম্মাদিন কামা বারাকতা আ’লা ইবরাহীমা ওয়া আ’লা আলে ইবরাহীম ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ।

অর্থ : হে আল্লহ! তুমি হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তার বংশধরদের প্রতি রহমতন বর্ষণ করো। যেমন রহমত বর্ষণ করেছো হযরত ইব্রাহিম (আ:) এবং তার বংশধরদের প্রতি। নিশ্চয়ই তুমি অত্যন্ত প্রশংসিত এবং মহান। হে আল্লহ! হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর বংশধরদের প্রতি বরকত (অনুগ্রহ) বর্ষণ করো যেমন বরকত (অনুগ্রহ) বর্ষণ করেছো হযরত ইব্রাহিম (আ:) এবং তার বংশধরদের প্রতি। হে মহিমাময়! নিশ্চয়ই সমস্ত প্রকার প্রশংসা তোমারই প্রাপ্য।

দুই, তিন ও চার রাকা’আত শেষে পড়তে হয় : তাশাহুদ ও দরূদ

اَلتَّحِيَّاتُ لِلّٰهِ وَالصَّلَوٰاتُ وَالْطَيِّبَاتُ – اَلسَّلَامُ عَلَيْكَ اَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُاللهِ وَ بَرَكَاتُهُ – اَلسَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلٰى عِبَاد ِاللهِ الصَّالِحِيْنَ

 اَشْهَدُاَنْ لَّااِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَاَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ– –

উচ্চারণ : আত্তাহিয়্যাতু লিল্লহি ওয়াস্সালাওয়াতু ওয়াত তাইয়্যিবাত। আসসালামু আলাইকা আইয়্যুহান্নাবীয়্যু ওয়া রাহমাতুল্লা¬হি ওয়াবারাকাতুহু। আসসালামু আলাইনা ওয়া আ‘লা ইবাদিল্লহিছ ছালেহীন। আশহাদু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লহু ওয়া আশহাদুআন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু।

অর্থ : সমস্ত সম্মান মর্যাদা, নামায এবং আত্মিক, মানসিক, অদৃশ্য গোশত পিন্ড কলব ও শারীরিক পবিত্রতা বা পরিশুদ্ধতা শুধুমাত্র আল্লাহতাআলার জন্য নিবেদিত। হে নবী! আপনার প্রতি সালাম (শান্তি) রহমত (করুণা) এবং বরকত (অনুগ্রহ) অবারিত ধারায় বর্ষিত হোক। আমাদের প্রতি এবং সালিহীন (আতিক মানসিক শারীরিক দিক থেকে পরিশুদ্ধ) বান্দাদের প্রতিও সীমাহীন সালাম (শান্তি) বর্ষিত হোক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লহ ছাড়া অন্য কোন ইলাহ নেই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে,হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দাহ ও রাসূল।

اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍوَّعَلٰى اَلِ مُحَمَّدٍ

 كَمَا صَلَّيْتَ عَلٰى اِبْرٰهِيْمَ
 وَعَلٰىاَلِ اِبْرٰهِيْمَ اِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ

اّللهُمَّ بَارِكْ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى

 اَلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلٰى 
اِبْرَ هِىْمَوَعَلٰى اَلِ اِبْرٰهِيْمَ اِنَّكَ حَمِئْدٌ مَّجِيْدٌ –

উচ্চারণ : আল্লহুমা সাল্লে¬ আ‘লা মুহাম্মাদিওঁ ওয়া আ‘লা আলি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লইতা আ’লা ইবরাহীম ওয়া আ’লা আলি ইবরাহীমইন্নাকা হামীদুম মাজীদ। আল্লহুমা বারিক আ’লা মুহাম্মাদিওঁ ওয়া আ’লা আলি মুহাম্মাদিন কামা বারাকতা আ’লা ইবরাহীমওয়া আ’লা আলি ইবরাহীম ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ।

অর্থ : হে আল্লহ! তুমি হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তার বংশধরদের প্রতি রহমত বর্ষণ করো। যেমন রহমত বর্ষণ করেছো হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম এবং তার বংশধরদের প্রতি। নিশ্চয়ই তুমি অত্যন্ত প্রশংসিত এবং মহান। হে আল্লহ হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর বংশধরদের প্রতি বরকত (অনুগ্রহ) বর্ষণ করো যেমন বরকত (অনুগ্রহ) বর্ষণ করেছো হযরত ইব্রাহিম (আঃ) এবং তার বংশধরদের প্রতি। হে মহিমাময়! নিশ্চয়ই সকল প্রকার প্রশংসা তোমারই প্রাপ্য।

দু’আয়ে মাছুরা :

اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ ظَلَمتُ نَفْسِىْ 

ظُلْمًا كَثِيْرًا وَّلاَيَغْفِرُ الذُّنُوْبَ
 اِلاَّ اَنْتَ فَاغْفِرْلِىْمَغْفِرَةً مِّنْ عِنْدِكَ

 وَارْحَمْنِى ْاِنَّكَ اَنْتَ الْغَفُوْرُالرَّحِيْمُ –

উচ্চারণ : আল্ল¬াহুম্মা ইন্নী জালামতু নাফসী জুলমান কাসীরাওঁ ওয়ালা ইয়াগফিরুজ্জুনুবা ইল্ল¬া আনতা ফাগফিরলী মাগফিরাতাম মিন ইনদিকা ওয়ারহামনী ইন্নাকা আনতাল গাফুরুর রাহীম।

অর্থ : হে আল্লহ! আমি আমার আত্মার উপর বড়ই অত্যাচার করেছি এবং তুমি ভিন্ন কেউই পাপসমূহ ক্ষমা করতে পারে না। অতএব তুমি নিজ হাতে আমাকে ক্ষমা করো এবং আমার উপর রহমত (করুণা) বর্ষণ করো। নিশ্চয়ই তুমি ক্ষমাশীল ও দয়াবান।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ