অনেক মুখরোচক খাবার যেমন;পুরি,সিঙ্গারা,নুডুলস, ইত্যাদির সাথে আমরা কিন্তু কাঁচা পেয়াজ খায়।ভাতের সাথেও খায়।কিন্তু বড়রা বলে কাঁচা পেঁয়াজ খেলে নাকি ফেরেস্তা কাছে আসেনা। আসলেই কি ঠিক?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি (কাঁচা) রসুন বা পিঁয়াজ খায়, সে যেন আমাদের নিকট থেকে দূরে অবস্থান করে অথবা আমাদের মসজিদ থেকে দূরে থাকে।” (বুখারী ও মুসলিম) মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে যে, “যে ব্যক্তি (কাঁচা) পিঁয়াজ রসুন ও লীক পাতা খায়, সে যেন অবশ্যই আমাদের মসজিদের নিকটবর্তী না হয়।  কেননা, ফিরিশতাগণ সেই জিনিসে কষ্ট পান, যাতে আদম সন্তান কষ্ট পায়।” কাঁচা পিঁয়াজ রসুন লীক পাতা নামাযের আগে খাওয়া উচিৎ নয়। খেতে বাধ্য হলে এবং মুখ এর গন্ধ দূরীভূত না করতে পারলে জামাআতে শামিল হওয়া বৈধ নয়।  তবে একাকী ও জামা আতে নামায পড়লে নামায শুদ্ধ হয়ে যায়। অনুরূপ বিড়ি সিগারেট খাওয়ার ফলে মুখ বা লেবাসে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়।তা খাওয়া হারাম এবং তাঁর দুর্গন্ধ নিয়ে মসজিদে বা জামাআতে আসাও অবৈধ। একই ভাবে যাঁদের গায়ে কোন প্রকারের দুর্গন্ধ আছে, তাদের জন্য জামাআতে উপস্থিত হওয়া মাকরূহ। সকলের জন্য জরুরী, সকল প্রকার দুর্গন্ধমুক্ত হয়ে জামাআতে উপস্থিত হওয়া।  (ইবনে বায) মহানবী (সাঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি (কাঁচা) পিঁয়াজ, রসুন বা কুর্রাস খাবে, সে যেন আমাদের মসজিদে আমাদের নিকটবর্তী না হয়। কেননা, যে বস্তু দ্বারা মানুষ কষ্ট পায়, সেই বস্তুতে ফিরিশ্‌তারাও কষ্ট পেয়ে থাকেন।” (মুসলিম, তিরমিযী, সুনান, নাসাঈ, সুনান, জামে ৬০৮৯ নং) বলাই বাহুল্য যে, কাঁচা পিঁয়াজ-রসুন অপেক্ষা বিড়ি-সিগারেট, গুল-জর্দা, গালি-তামাক প্রভৃতি মাদকদ্রব্যের দুর্গন্ধ আরো বেশী।  সুতরাং তা খেয়েও মসজিদে এসে মুসল্লী তথা আল্লাহর ফিরিশ্‌তাদেরকে কষ্ট দেওয়া বৈধ নয়। বরং এসব বস্তু খাওয়াইহারাম এবং তা বর্জন করা ওয়াজেব।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ