Call

বিয়ের আগে প্রেম ভালোবাসা ইসলামে পরিপূর্ণ নিষেধ বা হারাম। এ সম্পর্কে একটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে, " ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, আমি আবূ হুরায়রা (রাঃ) এর কাছ থেকে এ হাদিসটি শুনেছি। তিনি বলেন, নবী করিম (সঃ) বলেছেন, মহান আল্লাহ প্রতিটি আদম সন্তানের মধ্যে যেনার একটি অংশ নির্ধারণ করে রেখেছেন, যা সে অবশ্যই করবে। সুতরাং দৃষ্টি হচ্ছে চোখের যেনা, প্রেমালাপ হচ্ছে জিহ্বার যেনা এবং অন্তরের যেনা হচ্ছে তা ভোগ করার আকাঙ্খা, আর গুপ্তস্থান তা সত্য কিংবা মিথ্যায় পরিণত করে। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ২১৫২)। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন, “স্বাধীনভাবে লালসা পূরণ কিংবা গোপনে লুকিয়ে প্রেমলীলা করবে না [সূরা আল মায়িদা: ৫]  এরপর সূরা নূর এর ৩০ নং আয়াতে পুরুষদের চোখ নীচু রাখতে এবং লজ্জা স্থান হিফাজত করতে বলা হয়েছে। ৩১ নং আয়াতে নারীদেরও একই কথা বলা হয়েছে, পর্দা করার কথা বলা হয়েছে আর নারীরা কাদের সাথে সাক্ষাত করতে পারবে তাদের একটা তালিকা দেওয়া হয়েছে। সূরা আহযাবের ৫৯ নং আয়াতে পর্দা করার নির্দেশ আরো পরিস্কার ভাষায় বলা হয়েছে। যেখানে দৃষ্টি নীচু ও সংযত রাখা, লজ্জা স্থান হিফাজত করার কথা এবং পর্দা করার কথা বলা হয়েছে আর সূরা মায়িদাতে গোপন প্রেমলীলাকে নিষেধ করা হয়েছে সেখানে বিবাহ পূর্ব প্রেম বৈধ হতে পারে কি করে? এটা হারাম। জিনা তথা অবৈধ শারীরীক সম্পর্ক হারাম। [সূরা ইসরা আয়াতঃ ৩২],[সূরা ফুরকানঃ ৬৮] জিনার নিকট যাওয়াই নিষেধ অর্থাৎ যে সকল জিনিস জিনার নিকটবর্তী করে দেয় তার কাছে যাওয়াই নিষেধ। কেউ মজা মারার জন্যে প্রেম করে, কেউ শারীরিক চাহীদা মেটাতে প্রেম করে, আবার কেউ বিয়ে করবে এজন্যে প্রেম করে ইত্যাদি। অনেক ক্ষেত্রে এই প্রেম জীবনের বড় অশান্তি ও ক্ষতির কারন হয়ে যায়, যেমন, অবৈধ গর্ভপাত, মাদকাশক্তি, অনেক ক্ষেত্রে আত্তহত্যা ইত্যাদির দিকে আমাদের কে নিয়ে যায় এই প্রেম নামক পাপাচারটি । হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ লালসার দৃষ্টি চোখের ব্যভিচার, লালসার বাক্যালাপ জিহবার ব্যভিচার, কামভাবে স্পর্শ করা হাতের ব্যভিচার, এ উদ্দেশ্যে হেঁটে যাওয়া পায়ের ব্যভিচার, অশ্লীল কথাবার্তা শুনা কানের ব্যভিচার, কামনা বাসনা মনের ব্যভিচার, গুপ্তাঙ্গ-যা বাস্তবে সূপদান করে কিংবা দমন করে। [বোখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযি]  ইবনে আব্বাস কর্তৃক বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কোন পুরুষেরই কোন নারীর সাথে একাকী অবস্থান করা যাবে না। [বুখারী ও মুসলিম] রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন, কোন পুরুষই কোন নারীর সাথে একাকী থাকে না বরং সেখানে তৃতীয় একজন অবস্থান করে আর সে হচ্ছে শয়তান। [সহীহ, তিরমিযী]

সুতরাং প্রশ্নোক্ত মন্তব্য পোষণকারী যে দলেরই লোক হোক না কেন তার কথা সম্পূর্ণ পরিপন্থি। তা কোনক্রমেই গ্রহণযোগ্য না। মহান আল্লাহ তাআলা আমাদের বুঝার ও তা মেনে চলার তাওফীক দান করুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ