পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন, “স্বাধীনভাবে লালসা পূরণ কিংবা গোপনে লুকিয়ে প্রেমলীলা করবে না” [সূরা আল মায়িদা: ৫] এরপর সূরা নূর এর ৩০ নং আয়াতে পুরুষদের চোখ নীচু রাখতে এবং লজ্জা স্থান হিফাজত করতে বলা হয়েছে। ৩১ নং আয়াতে নারীদেরও একই কথা বলা হয়েছে,পর্দা করার কথা বলা হয়েছে আর নারীরা কাদের সাথে সাক্ষাত করতে পারবে তাদের একটা তালিকা দেওয়া হয়েছে। সূরা আহযাবের ৫৯ নং আয়াতে পর্দা করার নির্দেশ আরো পরিস্কার ভাষায় বলা হয়েছে। যেখানে দৃষ্টি নীচু ও সংযত রাখা, লজ্জা স্থান হিফাজত করার কথা এবং পর্দা করার কথা বলা হয়েছে আর সূরা মায়িদাতে গোপন প্রেমলীলাকে নিষেধ করা হয়েছে সেখানে বিবাহ পূর্ব প্রেম বৈধ হতে পারে কি করে? এটা হারাম। জিনা তথা অবৈধ শারীরীক সম্পর্ক হারাম। [সূরা ইসরা আয়াতঃ ৩২],[সূরা ফুরকানঃ ৬৮] জিনার নিকট যাওয়াই নিষেধ অর্থাৎ যে সকল জিনিস জিনার নিকটবর্তী করে দেয় তার কাছে যাওয়াই নিষেধ। কেউ মজা মারার জন্যে প্রেম করে, কেউ শারীরিক চাহীদা মেটাতে প্রেম করে,আবার কেউ বিয়ে করবে এজন্যে প্রেম করে ইত্যাদি। অনেক ক্ষেত্রে এই প্রেম জীবনের বড় অশান্তি ও ক্ষতির কারন হয়ে যায়, যেমন,অবৈধ গর্ভপাত, মাদকাশক্তি, অনেক ক্ষেত্রে আত্তহত্যা ইত্যাদির দিকে আমাদের কে নিয়ে যায় এই প্রেম নামক পাপাচারটি । হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ“লালসার দৃষ্টি চোখের ব্যভিচার, লালসার বাক্যালাপ জিহবার ব্যভিচার, কামভাবে স্পর্শ করা হাতের ব্যভিচার, এ উদ্দেশ্যে হেঁটে যাওয়া পায়ের ব্যভিচার, অশ্লীল কথাবার্তা শুনা কানের ব্যভিচার, কামনা বাসনা মনের ব্যভিচার,গুপ্তাঙ্গ-যা বাস্তবে সূপদান করে কিংবা দমন করে।” [বোখারী, মুসলিম, আবু দাউদ,তিরমিযি] ”ইবনে আব্বাস কর্তৃক বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,কোন পুরুষেরই কোন নারীর সাথে একাকী অবস্থান করা যাবে না।” [বুখারী ও মুসলিম] রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন, কোন পুরুষই কোন নারীর সাথে একাকী থাকে না বরং সেখানে তৃতীয় একজন অবস্থান করে আর সে হচ্ছে শয়তান। [সহীহ,তিরমিযী] আর এই কারনেই প্রেম ভালোবাসা ইসলামে অবৈধ এবং সার্বিকভাবে খারাপ।( আমিরুল ইসলাম)
আমার মতে এটা খারাপ। এটার কিছু উপকার থাকলেও খারাপ দিক আছে বেশি। যেমন-
নিজের স্বাধীনতা হারিয়ে যায়। প্রেমিকাকে দিতে হয় বেশি সময়। আবার প্রেমিকা বা প্রেমিক একটু খারাপ কিছু বললে খারাপ লাগে। এমনকি সুইসাইড করে ফেলে।
ব্যক্তিগত বিষয় ঠিক থাকে না। ব্যক্তিগত বিষয় ঠিক থাকেনা। মানে ধরুন সেই সম্পর্কের প্রেম প্রেমিকা মনে করে তাদের ব্যক্তিগত বলে কিছু নেই। সব কিছু শেয়ার করা যায়। অনেক সময় দেখা যায় ফেসবুক আইডি পাসওয়ার্ড দিয়ে পরে যায় বিপদে।
প্রেমে প্রয়োজনের চাই বেশি অর্থ অপচয় হয়। যা আপনাকে অনেক সময় খারাপ কাজ করাতে বাধ্য করে।
নিজস্বতা হারানো প্রেম করলে নিজস্বতা থাকে না। প্রেমিকার সাথে সব শেয়ার না করলে উল্টো ঝগড়া বাধে।
বিয়ের আগে একজন নারী বা পুরুষের সাথে প্রেম-ভালোবাসা অবশ্যই খারাপ বলে আমি মনে করি। দেখুন আপনি একজন কে নিজের সবটুকু দিয়ে ভালোবাসলেন....কিন্তু সে আপনার ভালোবাসার দাম দিলো না বরং আপনার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে দিলো...তখন অবশ্যই আপনি কষ্ট পাবেন. এমনকি অনেকে এসব কষ্ট সামলা তে না পেরে ভুল পথে চলে যায় এবং জীবন টাকে তিলে তিলে শেষ করে দেয়। অপর পক্ষে বিয়ের পর নিজের স্ত্রী কে ভালোবাসার ভিতর আলাদা একটি বরকত আছে কেনোনা আপনার স্ত্রী সারাজীবন আপনার ই থাকবে। অত:পর কেনো আপনি আপনার ভালোবাসার ভাগ অন্য একজন কে দিবেন? তাছাড়া আজকাল কের সম্পর্কগুলোতে প্রচুর সন্দেহ,অজুহাত,মিথ্যাকথা ইত্যাদি থাকে। যা আপনার ব্যাক্তিত্ব নষ্ট করে দেয়,আবার অনেকে শুধু টাইমপাস বা সময় নষ্ট করে। পরিশেষে আমি বলবো আপনি আপনার পবিত্র ভালোবাসা আপনার স্ত্রীর জন্য রাখুন।। .... ধন্যবাদ