অনেকের ধারণা চর্বিযুক্ত মাংস, পনির, মাখন বেশি বেশি করে খাওয়াই হলো তলপেটে মেদ জমার সবচেয়ে বড় কারণ। আসল কথা হলো যে কোনও ভাবে হোক বাড়তি ক্যালোরি গ্রহণ করাই কোমর রেখা স্ফীত করার মূল কারণ। তবে তলপেটে মেদের একক কারণ নেই, জণগতি, খাওয়া, বয়স, জীবন যাপনের ধরণ সবগুলোই কোনও না কোনও ভাবে দায়ী। খাওয়ার অভ্যাস বদলালে তলপেটে মেদ অনেক কমানো যায়। তাই বেশি ভাত খাবেন না, চিনি, মিষ্টি, ঘন চর্বি যুক্ত খাবার কম খেতে হবে এবং বেশী করে খেতে হবে সবজি ও ফল।
কোমল পানীয়, ভরাট পেটে খাবার, অতিভোজন, এগুলো সবই মেদভূড়ি বাড়ানোর বড় কারণ। ফাস্টফুড, বিস্কিট, কেক পেস্ট্রিতে রয়েছে ট্রান্সফ্যাট।আর এগুলাতেই শরীরে প্রচুর মেদের সৃষ্টি করে। তাই এগুলো বর্জন করুন।
পেটের মেদ কমাতে গ্রীন টি অনেক কাজ করে। বেশিরভাগ বৈজ্ঞানিক তথ্য প্রমাণ থেকে বোঝা যায় ক্যালোরি নিয়ন্ত্রিত খাবার যাতে থাকে প্রচুর ফল ও শাক সবজি, গোটা শস্যদানা, কম চর্বি দুধ ও দুগ্ধজাতদব্য, বীনস্, বাদাম, বীজ, কৃশ মাংস, কচি মাংস, মাছ, ডিম ও পোলট্রি, এমন সব খাবার যা স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য মূল উপাদান একে অনুস্বরণ করা হলো অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপায়। এমন খাদ্যের সঙ্গে সপ্তাহের প্রায় প্রতিটি দিনে ৩০-৬০ মিনিটের ব্যায়াম যোগ করলে সাফল্য অর্জন সম্ভব, বলেন ওজন হ্রাস বিশেষজ্ঞরা।
কিছু স্পট এক্সারসাইজ আছে যেমন-উঠ-সব, ক্রানেচস এবং সেধবনের পেটের ব্যায়াম করলে যে পেটের মেদ কমবেই তা নয়, এসব ব্যায়ামে পেটের পেশী মজবুত হয় এবং তা মেদ হারাতে সহায়ক নয়। পেটের মেদ বা সার্বিকভাবে মেদ হারানোর উপায় হলো সুষম ও পরিমিত খাদ্য ও নিয়মিত ব্যায়াম। এরোবিক ব্যায়াম, যেমন দৌড়ানো, সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা, টেনিস খেলা বেশ উপযোগী ব্যায়াম
উপরের আলোচনাটি পড়ুন ও সে অনুপাতে চলুন। আশাকরি ফল পাবেন।