ভাইজান সম্ভবত আপনি প্রচুর সাই ফাই বই পড়েন।অথবা আপনি নাস্তিকদের প্রশ্ন গুলোর উত্তর জানেন না কিংবা তাদের সাথে বেশি উঠাবসা করেন। যার জন্য আপনার এমন হতে পারে। আপনি হয়ত ভাবছেন সৃষ্টি কর্তা বলে কিছুই নাই। যদি এমনটা হয়, তাহলে আমি বলব নাস্তিকদের সাথে উঠাবসা বন্ধ করুন। সায়েন্স ফিকশন পড়া বন্ধ করুন। এগুলো আপনার ঈমান নস্ট করে দিবে। পরিশেষে, তওবা করুন। আর ধর্মিও অনুশাষন মেনে চলুন। আর সাইমুম সিরিজগুলো পড়তে পারেন। আসা ঠিক হয়ে যাবেন। শুভ কামনা রইল।
আপনি হিনমন্যতায় ভুগবেন না। অন্তরে এগুলো উদয় হলে প্রকাশ করবেন না। এ সমস্ত বিষয় অন্তরে উদিত হওয়া ইমানে লক্ষণ। আপনার ইমান আছে বিদায় আপনার এমন অস্বস্তি লাগছে। যে বেইমান তার কখনো এ পরিস্থিতিতে এমন অনুভূত হয় না। একবার সাহাবায়ে কেরামও এমন প্রশ্ন করেছিল, যে তাদের অন্তরে এমন কিছু প্রশ্ন জাগ্রত হয় যা প্রকাশ করাকে তারা ধ্বংস মনে করে। (যেমন আপনার মনে উদিত হচ্ছে) হুজুর সা. বলেন, এটাই তোমাদের ইমানের লক্ষণ। _কাফের মুশরিকদের অন্তরে যা আসে তা প্রকাশ করে দেয়। আর মুমিন খুব সতর্ক থাকে। যেমন আপনি সতর্ক থাকছেন। . এখন আপনার করণীয় হলো, মনকে বলুন_ বিনা দলিল প্রমাণে আল্লাহ এক। সবকিছু আল্লাহর সৃষ্টি। এর পর, বেশি বেশি আউযু বিল্লাহ... পড়েন। এবং কালেমায়ে শাহাত পড়ুন। আর কুলহুয়াল্লাহ পড়েন। হাদিসে এমন পরিস্থিতিতে এ তিনটি পড়তে বলা হয়েছে বেশি বেশি। আশা করি সব ঠিক হয়ে যাবে। #বিশেষ করে নাস্তিকদের বই পড়া ছেড়ে দেন।
এ সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য আপনাকে যা যা করতে হবেঃ ১। নাস্তিকবাদী ব্লগ পড়া থেকে চিরদিনের জন্য বিরত থাকতে হবে। ২। সবসবময় 'লা হাওলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ' পাঠ করতে হবে। যার অর্থঃ 'আল্লাহর সাহায্য ব্যতীত পাপ কাজ থেকে বিরত থাকা ও নেক কাজ করার কোনো উৎস নেই'। হাদীসে এটিকে জান্নাতের ভান্ডার বলা হয়েছে এবং এটিকে ৯৯টি রোগের ঔষধ বলা হয়েছে, তন্মধ্যে সর্বনিম্ন রোগ হলো দুঃশ্চিন্তা বা পেরেশানী। ৩। নিয়মিত আল্লাহর নাম নিয়ে দুধ, মধু ও কালোজিরা খেতে হবে। পবিত্র কুরআনে মধুকে সর্বোত্তম খাবার, দুধকে সর্বোত্তম পানীয় এবং পবিত্র হাদীসে কালোজিরাকে মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের ঔষধ বলা হয়েছে। এ হালাল খাবারগুলো খেলে আপনার শরীর ধর্মের দিকে কাজ করবে। ৪। আপনি নিজের মধ্যে এই বিশ্বাসটুকু ধারণ করুন, কোনো দলিল প্রমাণ ছাড়াই, আমার আল্লাহ সত্য, আমার রাসূল (সাঃ) সত্য, কুরআন সত্য, হাদীস সত্য, জান্নাত-জাহান্নাম সত্য। ৫। যেহেতু আপনি বাংলা কুরআন পড়ে ভুল ব্যাখ্যার দিকে ধাবিত হচ্ছেন, সেহেতু একজন ভালো আলেমের সাহায্য নিয়ে অর্থসহ কুরআন বুঝে পড়বেন। ৬। নিয়মিত নামাজ পড়ুন ও রোজা রাখুন। ৭। তওবা পড়ে আল্লাহর পথে ফিরে আসুন। ৮। নামাজ পড়ে নীরবে কান্নাকাটি করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান। তিনি অতি ক্ষমাশীল, অতি দয়ালু ও বান্দার তওবা কবুলকারী। ৯। আপনি জাহান্নামী হয়ে গেছেন, অবিশ্বাসী হয়ে গেছেন, এমন ধারণা কখনো পোষণ করবেন না। সবসময় 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সাঃ)' পড়েন। এতে ঈমান শক্ত ও মজবুত হবে। ১০। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার পাশাপাশি ভোর রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার অভ্যাস করুন। তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য ও করুণা লাভ সহজ হয়। ১১। বিশ্বাস করুন, 'সকল জ্ঞানীর উপরে আছেন এক মহাজ্ঞানী (আল্লাহ)'। মানুষের জ্ঞানের পরিধি সীমাবদ্ধ বিধায়, মানুষ অনেক কিছুই সহজে বোঝে না। আর শয়তান মানুষের এই সীমাবদ্ধ জ্ঞানের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে নাস্তিক করে তুলে। তাই কখনো নাস্তিক বা শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করা যাবে না। কোনো কিছু বুঝতে অসুবিধা হলে আলেমদের শরণাপন্ন হবেন। ১২। আল্লাহ আপনার আমার সকলের সহায় হোন। আমিন।