প্রথম দুই রাকাত স্বাভাবিকভাবে অর্থাৎ ফরয নামাযের প্রথম দুইরাকাত আদায় করার ন্যায় আদায় করবে। বাকি বিতরের নামাযোর তৃতীয় রাকাতের কিরাআত পাঠ তথা সুরা বা অন্য আয়াত মিলানোর পর তাকবির বলে দু’হাত কান পর্যন্ত উঠিয়ে তাকবিরে তাহরিমার মতো হাত বাঁধতে হয়। তারপর নিঃশব্দে দুআয়ে কুনুত পড়া। দুআয়ে কুনুত এই-
اللهم إنا نستعينك ونستغفرك ونؤمن بك ونتوكل عليك ونثني عليك الخير كله، نشكرك ولا نكفرك ونخلع ونترك من يفجرك، اللهم إياك نعبد ولك نصلي ونسجد وإليك نسعى ونحفد، نرجو رحمتك ونخشى عذابك إن عذابك بالكفار ملحق.
দুআয়ে কুনুত পড়ে পূর্বের ন্যায় রুকু, সিজদার পর শেষ তাশাহহুদ, দুরূদ, দুআয়ে মা’ছুরা পড়ে সালাম ফিরানোর মাধ্যমে বিতরের নামাজ সমাপ্ত করতে হয়।
বিতরের নামাজ অন্যান্য ফরজ নামাজের ন্যায় দুই রাকাআত নামাজ পড়ে প্রথম বৈঠকে বসে তাশাহহুদ পড়া। তারপর তৃতীয় রাকআত পড়ার জন্য উঠে সুরা ফাতিহার সঙ্গে অন্য কোনো সুরা বা আয়াত মিলানো। কিরাআত (সুরা বা অন্য আয়াত মিলানোর পর) শেষ করার পর তাকবির বলে দু’হাত কান পর্যন্ত উঠিয়ে তাকবিরে তাহরিমার মতো হাত বাঁধতে হয়। তারপর নিঃশব্দে দোয়া কুনুত পড়া। দোয়া কুনুত পড়ে পূর্বের ন্যায় রুকু, সিজদার পর শেষ তাশাহহুদ, দরূদ, দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফিরানোর মাধ্যমে বিতরের নামাজ শেষ হয়।
ভাই বেতের নামাজ তিন রাকাত ,বীথির অর্থই বিজোড় ,যেভাবে পড়বেন অন্য সব নামাজ যেভাবে পড়েন প্রথম দুই রাকাত এভাবেই পড়বেন ,তৃতীয় রাকাতে সূরা ফাতিহা ও অন্য একটি সূরা পড়ার পর!আল্লাহু আকবার বলে কান পর্যন্ত হাত তুলতে হবে আর দোয়ায়ে কুনুত দোয়াটি পড়তে হবে. এবং এরপর রুকু সিজদা করতে হয় অন্য নামাজে যা কিছু পড়া হয় রুকু সিজদায় তাই পড়তে হয় .এবং বৈঠকে বসে আত্তাহিয়্যাতু দুরুদ শরীফ দোয়ায়ে মাসুরা পড়ে সালাম ফিরাবেন! এটা হচ্ছে হানাফী মাযহাবের বিতির নামাজের নিয়ম আশা করি বুঝতে পেরেছেন||||